শাহ আলম কিরণ |
---|
জন্ম | (1951-11-21) ২১ নভেম্বর ১৯৫১ (বয়স ৭২)
|
---|
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, অভিনেতা |
---|
কর্মজীবন | ১৯৭৩-বর্তমান |
---|
দাম্পত্য সঙ্গী | শায়লা আলম () |
---|
সন্তান | ২ |
---|
শাহ আলম কিরণ (জন্ম ২১ নভেম্বর ১৯৫১) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, ও অভিনেতা। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র নিয়তির খেলা। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল সুজন সখি (১৯৯৪), বিচার হবে (১৯৯৬), চুড়িওয়ালা (২০০১), সাজঘর (২০০৭), মাটির ঠিকানা (২০১১), ও ৭১ এর মা জননী (২০১৪)। তিনি চুড়িওয়ালা চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন এবং মাটির ঠিকানা চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
শাহ আলম কিরণ ১৯৫১ সালের ২১ নভেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতা মফিজুর রহমান ভূঁইয়া এবং মাতা আয়েশা রহমান। তার যখন দেড় বছর বয়স, তখন তার পিতামাতা নোয়াখালী থেকে ঢাকার নাখালপাড়ায় চলে আসেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তার ছোট আরও পাঁচ ভাইবোন রয়েছে।[১]
কিরণ নাখালপাড়া স্কুলে পড়াশোনা করেন। স্কুলে পড়াকালীনই তার অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মে। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন তিনি মঞ্চে প্রথম কৌতুক পরিবেশন করেন। এরপর তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অভিনয় করতেন। ফার্মগেট স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন পত্রিকায় উর্দু ভাষার আধিরাত চলচ্চিত্রের জন্য শিশুশিল্পী নেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে সেই ঠিকানায় ছবি ও অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে যান। কিন্তু বিদ্যালয় পড়ুয়া কিরণ নিবন্ধন ফির ৩০০ টাকা দিতে না পারায় সেই চলচ্চিত্রে তার কাজ করা হয়নি।[১] নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন তার প্রতিবেশী ছিলেন চলচ্চিত্রের নৃত্য পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। তার সাথে তিনি এফডিসিতে শুটিং দেখতে যেতেন। আলমই তাকে সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার পরিচালিত পারুলের সংসার চলচ্চিত্রে সাত রাজপুত্রের এক রাজপুত্রের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। কিন্তু শুটিং শুরুর আগে তার পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হওয়ায় এই চলচ্চিত্রেও তার অভিনয় করা হয়নি। সে সময় তিনি মঞ্চে কল্যাণ মিত্র ও শৈলেন গুহঠাকুরতার প্রযোজনায় কাজ করতেন। তিনি কুয়াশার কান্না নাটকে অভিনয় করে প্রসংশিত হন।[১]
কর্মজীবন
২০০১ সালে তিনি ফেরদৌস আহমেদ ও মধুমিতাকে নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার চুড়িওয়ালা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।[২] এরপর তিনি শেষ বংশধর (২০০২), আগুন জ্বলবেই (২০০৪), ও ঘর জামাই (২০০৭) চলচ্চিত্র পরিচালনা ও চিত্রনাট্য রচনা করেন। ২০০৭ সালে তিনি হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে সাজঘর চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।[৩] চলচ্চিত্রটি তিনটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।[৪]
২০১১ সালে তিনি শাকিব খান ও পূর্ণিমাকে নিয়ে মাটির ঠিকানা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি আনিসুল হকের জননী সাহসিনী উপন্যাস অবলম্বনে যুদ্ধভিত্তিক ৭১ এর মা জননী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর মুক্তি পায়।[৫] চলচ্চিত্রটি ৩৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে একটি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।[৬]
ব্যক্তিগত জীবন
কিরণ শায়লা আলমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাদের ছেলে মাহফুজ রহমান ভূঁইয়া এবং মেয়ে শৈলী শারমীন দুজনেই প্রবাসে বসবাস করছেন।[১]
চলচ্চিত্রের তালিকা
অভিনেতা
পরিচালক
বছর
|
চলচ্চিত্র
|
টীকা
|
১৯৮৭
|
নিয়তির খেলা
|
|
১৯৯০
|
কৈফিয়ত
|
|
১৯৯০
|
অশান্ত সংসার
|
|
১৯৯৪
|
জীবন দিয়ে ভালবাসি
|
|
১৯৯৪
|
সুজন সখি
|
|
১৯৯৫
|
আসামী বধূ
|
|
১৯৯৫
|
প্রতিশোধের আগুন
|
|
১৯৯৬
|
বিচার হবে
|
চিত্রনাট্যকার
|
১৯৯৭
|
শেষ ঠিকানা
|
|
১৯৯৯
|
মনের মিলন
|
|
২০০১
|
চুড়িওয়ালা
|
চিত্রনাট্যকার
|
২০০২
|
শেষ বংশধর
|
|
২০০৪
|
আগুন জ্বলবেই
|
চিত্রনাট্যকার
|
২০০৭
|
ঘর জামাই
|
চিত্রনাট্যকার
|
২০০৭
|
সাজঘর
|
|
২০১১
|
মাটির ঠিকানা
|
চিত্রনাট্যকার
|
২০১৪
|
৭১ এর মা জননী
|
|
পুরস্কার ও মনোনয়ন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ