লক্ষ্য ২০০৪ সালের একটি ভারতীয় হিন্দি ভাষার যুদ্ধ-নাটক চলচ্চিত্র। এই সিনেমার পরিচালনায় ছিলেন ভারতের স্বনামধন্য কবি, গীতিকার এবং চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের তনয় দক্ষ পরিচালক ফারহান আখতার ও প্রযোজনায় ফারহান আখতার এবং রিতেশ সিধওয়ানি। ভারত সেনার লেফটেন্যান্ট ও পরবর্তিতে পরিস্থিতির জেরে একজন ভারপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন, করণ শের্গিল এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা হৃতিক রোশন। এই ছবিতে বিভিন্ন সহায়ক চরিত্রে আরো অভিনয় করেন ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম খ্যাতিমান শিল্পী অমিতাভ বচ্চন, হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম বিশিষ্ট অভিনেতা, স্বর্গীয় ওম পুরি, বোমান ইরানি, জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা ও অন্যান্যরা। ছবির কাহিনী একজন লক্ষ্যহারা যুবক করণ শের্গিলকে নিয়ে যার রোমিলা দত্তার (প্রীতি জিন্টা) সংস্পর্শে এসে জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিকোণ পাল্টে যায় ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে ভারত সেনার একজন অফিসার হওয়ার দিকে সে কঠোর পরিশ্রম করে। এটি ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের সময়কার কাল্পনিক পটভূমিতে বানানো একটি চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্র দেখে ভারতে বহু যুবক ভারতীয় সেনায় ভর্তি হতে অনুপ্রাণিত হয়।
কাহিনী সংক্ষেপে
শ্রেষ্ঠাংশে
- লেফটেন্যান্ট (পরবর্তিতে ভারপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন) করণ শেরগিলের চরিত্রে হৃতিক রোশন
- ৩, পাঞ্জাব রেজিমেন্টের অধিনায়ক অফিসার সুনীল দামলের চরিত্রে অমিতাভ বচ্চন
- সাংবাদিক রোমিলা দত্তার চরিত্রে প্রীতি জিন্টা
- ৩, পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ওসি মেজর বিনোদ সেনগুপ্তর চরিত্রে শরদ কাপুর
- সুবাদার মেজর প্রিতম সিংহের চরিত্রে ওম পুরি
- মেজর কৌশল ভার্মার চরিত্রে রাজ জুৎসি
- ক্যপ্টেন জালাল আকবরের চরিত্রে সুশান্ত সিংহ
- পাকিস্তানি মেজর শাহবাজ হামদানির চরিত্রে পারমিত সেঠি
- করণ শের্গিলের পিতা, সঞ্জীব শের্গিলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বোমান ইরানি
- রোমিলা দত্তার মা, শ্রীমতি দত্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিলেট্ দুবে
- ক্যাপ্টেন আহ্লুয়ালিয়ার চরিত্রে বিশাল বিজয়
- ক্যাপ্টেন ও ডাঃ সুধীর মিশ্র (আর্মি কোর) এর চরিত্রে প্রয়াত অভিনেতা আবির গোস্বামী
- ক্যাপ্টেন রাকেশ ভাবনানীর চরিত্রে বিপুল গুপ্তা
- মেজর সতিশ বব্বরের চরিত্রে নবাব শাহ্
- ক্যাপ্টেন মঞ্জিত সিংহ ঢিংরার চরিত্রে আরব চৌধুরী
- লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রদীপের চরিত্রে আদিত্য শ্রীবাস্তব
- ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমি কম্পানি মেজরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিত বেহল
- সিপাই তর্সিম সিংহের চরিত্রে রণবীর শুরে
- রোমিলা দত্তার বাগ্দত্ত রাজীব গোয়েলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কুশল পাঞ্জাবী
- ক্যাপ্টেন বিশাল শ্রীবাবাস্তবের চরিত্রে প্রশান্ত ছৈনানি
- নাইক রাজ তিলক সিংহের চরিত্রে শাকিল খান
- লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রতাপ সিংহ (আইএমএ-র সেনাপতির সহকরিবিশেষ) এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিমন্যু সিংহ
- সিপাই বাবুলালের চরিত্রে অশোক কুমার
- আইএমএ এর চরিত্রে সুরেন্দ্র পাল
- রোমিলার পিতা, অখিলেশ দত্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন এমকে রাইনা
- ব্রিগেডিয়ার গৌতম পুরি (সেনাপতির সহকরিবিশেষ) এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমরিশ পুরি
পুরস্কার প্রাপ্তি
- জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
- শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক – "মে ঐসা কিউ হু..." এর জন্য প্রভু দেবা
- ফিল্মফেয়ার পুরস্কার
বক্স অফিস
সঙ্গীত
লক্ষ্য |
---|
|
মুক্তির তারিখ | ২৪ এপ্রিল ২০০৪ (2004-04-24) |
---|
শব্দধারণের সময় | পার্পেল হেজ ষ্টুডিওয |
---|
ঘরানা | সঙ্গীত |
---|
সঙ্গীত প্রকাশনী | সোনি মিউজিক |
---|
প্রযোজক | ফারহান আখতার রিতেশ সিধওয়ানি |
---|
|
রুদ্রাক্ষ (২০০৪)
|
লক্ষ্য (২০০৪)
|
কিউ হো গেয়া না (২০০৪)
| |
|
|
- "মে ঐসা কিউ হু"
মুক্তির তারিখ: ২০০৪
|
|
জাভেদ আখতার ছবিটির গানের কথা রচনা করেন ও শঙ্কর-এহসান-লয়দের দ্বারা সঙ্গীতের সুর প্রদান করা হয়।[৪] হৃতিককে চিত্রিত করে শানের "মে আইসা কিউ হু" একটি মজাদার হিপ হপ-ট্র্যাক।[৫] "আগার মে কাহু" হৃতিক-প্রীতির যুগলকে চিত্রিত করে তৈরী একটি একটি প্রেমের গান. শঙ্কর-এহসান-লয় এই ট্র্যাকটির জন্য হারমোনিকা ব্যবহার করেছিল।[৬] "লক্ষ্য" টাইটেল ট্র্যাকটি শঙ্কর মহাদেবনের গাওয়া একটি প্রযুক্তিগত স্বাদযুক্ত দেশাত্মবোধক গান। কুণাল গাঞ্জাওয়ালা ও বিজয় প্রকাশের কণ্ঠে গাওয়া "কান্ধো সে মিলতে" আরেকটি দেশাত্মবোধক গান। "কিতনি বাতেঁ" নামের একটি প্যাথো গান, হরিহরণ এবং সাধনা সরগম দ্বারা গাওয়া। ছবিতে দুটি যন্ত্রসঙ্গীত রয়েছে, "বিজয়" এবং "বিচ্ছেদ"। এক্সেল দ্বারা তাদের লোগোটির জন্য "বিজয়" এর শিঙা অংশটি আবহ সঙ্গীতরূপে ব্যবহৃত হয়েছে।
ট্র্যাক তালিকা
তথ্যসূত্র
15. https://m.rediff.com/movies/2004/jun/17preity.htm
বহিঃসংযোগ