এফ. মারি রাউল্টের প্রতিষ্ঠিত রাউল্টের সূত্রমতে, একটি আদর্শ দ্রবণের বাষ্পচাপ, দ্রবণটিতে অবস্থিত যৌগসমূহের বাষ্পচাপ ও তাদের মোল ভগ্নাংশের উপর নির্ভরশীল।[১]
ধারাবাহিকভাবে কোন মিশ্রণে উপাদানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হলে, উপাদানগুলোর নিজস্ব বাষ্পচাপের হ্রাস ঘটে, কেননা প্রতিটি নতুন উপাদান যোগ হওয়া সাথে এর মোল ভগ্নাংশ ছোট হয়। যদি একটি বিশুদ্ধ দ্রাবককে কোন দ্রবে দ্রবীভূত করা হয় তবে চূড়ান্ত মিশ্রণে বাষ্পচাপের অবনমন ঘটবে।
এই সূত্রটি কেবল দুটি উপাদানের মৌলসমূহের অণুর পারষ্পরিক আকর্ষণ নিজেদের মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণের সমান ধরলে প্রযোজ্য হয়। যদি বাষ্পচাপের মাত্রা অনুমিত মাত্রা থেকে কম হয়, তবে মিশ্রণ থেকে আকাঙ্খিত পরিমাণের চেয়ে কম সংখ্যক অণু চলে গিয়েছে। এক্ষেত্রে দুটি উপাদানের মধ্যকার বন্ধন তাদের নিজস্ব বন্ধনের তুলনায় অধিক দৃঢ়। পক্ষান্তরে বাষ্পচাপের মাত্রা বেশি হলে অনুমিত পরিমাণ থেকে বেশি অণু চলে যাবে এবং এক্ষেত্রে পারষ্পরিক আকর্ষণ বলের মাত্রা কম হবে।
আদর্শ মিশ্রণ
একটি আদর্শ মিশ্রণ রাউল্টের সূত্র মেনে চললেও বাস্তবে আদর্শ মিশ্রণ বলে কিছু নেই। জটিলতা কমানোর জন্য বাষ্পকে আদর্শ ধরা হয়। গ্যাসীয় অণূসমুহের পারষ্পরিক আকর্ষণ বল অপেক্ষাকৃত কম বিশেষ করে যখন তা নিম্নচাপে অবস্থান করে। কোন মিশ্রণকে আদর্শ ধরতে আমরা অবশ্যই মনে করব যে, একটি অণূ A এর নিকটে কোন A বা B থাকার আলাদা কোন প্রভাব নেই। এই ধারণাটি দুটি উপাদানের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য না থাকলে মোটামুটি সঠিক।
অনাদর্শ দ্রবণ
রাউল্টের সূত্র অনাদর্শ দ্রবণের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে যদি দুটি বিষয় সংশোধন করা যায়। এর প্রথমটি হল, গ্যাসকে আদর্শ না ধরা বা আদর্শ গ্যাস সূত্র থেকে সরে আসা। একে fugacity কোএফিশিয়েণ্ট () বলে। দ্বিতীয়টি হল তরল অবস্থায় দুটি ভিন্ন উপাদানের মধ্যকার সম্পর্ক ()।
রাউল্টের সূতের সংশোধিত ও বর্ধিত রূপ হল:
এক্ষেত্রে দুটি মিশ্রণ যোগ করা হলে মোট আয়তন এর পরিবর্তন ঘটে। এনথালপি এর পরিবর্তন ঘটে।