রমাবাঈ ভীমরাও আম্বেদকর (৭ই ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮ - ২৭ মে ১৯৩৫; রামাই বা মা রামা নামেও পরিচিত) ছিলেন বি আর আম্বেদকারের প্রথম স্ত্রী,[১] তিনি বলেছিলেন যে তাঁর উচ্চতর শিক্ষা এবং তাঁর সত্যিকারের সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করার ক্ষেত্রে তার সমর্থন সহায়ক ছিল। [২] তিনি বেশ কয়েকটি জীবনীমূলক চলচ্চিত্র এবং বইয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ভারত জুড়ে বেশ কয়েকটি জায়গা তার নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে।
জীবনের প্রথমার্ধ
রমাবাঈ ভিকু ধাত্রী (ভালংকার) এবং রুক্মিনী-র একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি তার তিন বোন এবং এক ভাই শঙ্করের সাথে থাকতেন ভানান্দ গ্রামের মহাপুরা লোকালয়ের কাছেই l
তার বাবা ডাবল হরবার থেকে বাজারে মাছের ঝুড়ি বয়ে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি যখন খুব ছোট ছিলেন তাঁর মা মারা যান এবং তার বাবা মারা যাওয়ার পর তার মামারা ভালাঙ্কর ও গোবিন্দপুরকর শিশুদের বম্বে বাইকুল্লা বাজারের কাছে নিয়ে গেছিল তাদের সঙ্গে থাকার জন্য। [৩]]
বিবাহ
১৯০৬ সালে ড.বি আর আম্বেদকরের সাথে বাইকুল্লার সব্জি বাজারে রমাবাইএর বিবাহ হয় খুবই সাধারণ ভাবে।ঐ সময় বাবাসাহেব আম্বেদকরের বয়স ছিল ১৫ বছর এবং রমাবাঈএর ৯ বছর.[৩] বাবা সাহেব তাঁকে "রামু" বলে ডাকতেন এবং রমাবাঈ তাঁকে "সাহেব"বলে ডাকতেন.[৪] তাঁদের পাঁচ জন সন্তান ছিল-যশবন্ত, গঙ্গাধর,ইন্দু (কন্যা),রমেশ এবং রাজ রত্ন। যশবন্ত ছাড়া (1912–1977) বাকিরা শৈশবেই মারা যান। [৫][৬]
মৃত্যু
দীর্ঘকালীন অসুস্থতার পরে রমাবাঈ ১৯৩৫ সালের ২৭ শে মে বোম্বের দাদার হিন্দু কলোনির রাজগ্রহে মারা যান। তিনি ২৯ বছর ধরে আম্বেদকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। [৩]
স্বামীর কৃতিত্ব
১৯৪১ সালে প্রকাশিত বিআর আম্বেদকের বই থিংস অন পাকিস্তান, রমাবাইকে উত্সর্গ করেছিইলেন।এই প্রবন্ধে, আম্বেদকর তাঁর একটি সাধারণ ভিভা বা ভীম থেকে ডঃ আম্বেদকের হয়ে ওঠার কৃতিত্ব দেন।