রক গার্ডেন (বারবতে রক গার্ডেন হিসেবেও পরিচিত)[১]ভারতেরপশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিংয়ে অবস্থিত পর্যটন আকর্ষণ। ১৯৮০-এর দিকে রাজনৈতিক গোলযোগের কারণে পর্যটন বাধাগ্রস্ত হলে পরবর্তীতে রক গার্ডেন প্রতিষ্ঠিত হয়। লয়েডস বোটানিক্যাল গার্ডেনে অবস্থিত স্যার জন অ্যান্ডারসন রক গার্ডেন নামক অপর একটি উদ্যানও দার্জিলিংয়ে অবস্থিত।[২]
প্রেক্ষাপট
১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা সিকিমের রাজা হতে দার্জিলিং অধিগ্রহণ করে এবং এ অঞ্চলের উন্নয়ন করে। এই অঞ্চলে তারাই চা বাগান প্রতিষ্ঠা করে। নগরের পত্তন হয়, হোটেল নির্মিত হয় এবং দ্রুত এ অঞ্চলের জনসংখ্যা বেড়ে যায়। ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে ১০০ থেকে ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে এই সংখ্যা ১০,০০০ এ উন্নীত হয়। ২,১৩৪ মিটার (৭,০০০ ফুট) উচ্চতার পাহাড়ি অঞ্চল জুড়ে গড়ে ওঠা এ নগর গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়।[৩]
১৯৮০-এর দিকে গোর্খা ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্ট (জিএনএলএ) কর্তৃক পরিচালিত আন্দোলন ব্যাপকতর রূপ ধারণ করে দার্জিলিংয়ে। পর্যটকদের আগমন বেশ হ্রাস পায়, গণ্ডগোল চলমান থাকে। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ (ডিজিএএইচসি) প্রতিষ্ঠার পর থেকে অঞ্চলে শান্তি ফিরে আসে। ডিজিএএইচসি পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা শুরু করে। ডিজিএএইচসির প্রধান সচিব ডি.টি. তামলং ফ্রন্টলাইন ম্যাগাজিনকে বলেন, "আমরা শুধুমাত্র দার্জিলিং শহরকেই নয়, বরং আশেপাশের অঞ্চলেও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবছি।"[৪]
রক গার্ডেন
দার্জিলিং থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬.২ মা) দূরে উদ্যানটি অবস্থিত। ঘুম স্টেশনের পূর্বে ডানদিকে মোড় নিয়ে রক গার্ডেন যাওয়া যায়। এই পথ নানাবিধ তীক্ষ্ণ মোড় নিয়ে রক গার্ডেনে পৌঁছায়।[১]
গোর্খা পার্বত্য কাউন্সিল পর্যটন বিভাগ রক গার্ডেন প্রতিষ্ঠা করে,[১] এবং জিএনএলএফ সুপ্রিমো সুভাষ ঘিসিং এর উদ্বোধন করেন।[৫] রক গার্ডেনের বৈশিষ্ট্য হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় "পথের পার্শ্ববর্তী সৌন্দর্যস্থল যা কীনা বেশ খানিকটা কংক্রিট দিয়ে নির্মিত।"[৬] উদ্যানে ফুলবাগানের পাশাপাশি বিভিন্ন উচ্চতায় পাহাড়ের গা ঘেঁষে বসার স্থান তৈরি হয়েছে। এখানে একটি ছোট হ্রদও রয়েছে। পর্যটক বৃদ্ধির সাথে সাথে এখানে চায়ের দোকানও গড়ে উঠেছে।[৭]
গঙ্গা মায়া পার্ক
রক গার্ডেন থেকে আরো ৩ কিলোমিটার (১.৯ মা) নিচে গঙ্গা মায়া পার্ক অবস্থিত। এর নামকরণ করা হয় জিএনএলএফ প্রতিবাদে পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তির নামে। এখানে নৌকা চালানো সহ নানাবিধ সুযোগ রয়েছে।[৪] গোর্খা লোকনৃত্যের আয়োজন করা হয় পর্যটকদের জন্য।
যাতায়াত
নিরাপত্তার জন্য পাহাড়ি অঞ্চলে রাস্তা ভালো থাকাটা প্রয়োজনীয়। রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায়শই এখানে পরিবহন সংস্থাগুলো প্রতিবাদ করে থাকে। বিটুমিনের অভাবে এখানে প্রায়শই রাস্তা সংস্কার বিঘ্নিত হয়।[৮][৯]
↑ কখগ"Places of interests"। Barbotey Rock Garden। exploredarjeeling.com। ২০০৭-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-০২।
↑"Places of interests"। Lloyd Botanical Garden। exploredarjeeling.com। ২০০৭-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-০২।
↑Agarwala, A.P. (editor), Guide to Darjeeling Area, 27th edition, pp. 49-52, আইএসবিএন৮১-৮৭৫৯২-০০-১.
↑ কখChattopadhyay, Suhrid Sankar। "Return of the Queen"। Focus on Darjeeling। Frontline, 1–14 January 2005। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০০৭।
↑"Darjeeling – Queen of hill stations"। Chunnu Summer Falls (Rock Garden) & Gangamya Park। West Bengal tourism। ২০০৭-০৬-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-০২।