যোগরাজ সিং ভাণ্ডাল (উচ্চারণⓘ; গুরুমুখী: ਯੋਗਰਾਜ ਸਿੰਘ; জন্ম: ২৫ মার্চ, ১৯৫৮) পাঞ্জাবের চণ্ডীগড় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অভিনেতা। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সময়কালে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে হরিয়ানা ও পাঞ্জাব দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন যোগরাজ সিং। তার সন্তান যুবরাজ সিং ভারতীয় ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলেছেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত যোগরাজ সিংয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার দোরাহার কাছাকাছি কানেচ গ্রামে যোগরাজের জন্ম।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও ছয়টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন যোগরাজ সিং। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১ তারিখে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।
বিস্ময়করভাবে ১৯৮০-৮১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমনের জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়েছিল। শক্ত মজবুত গড়নের অধিকারী যোগরাজ সিং মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে খেলতেন। একমাত্র ইনিংসে বোলিং করে ৬৩ রান খরচায় কেবলমাত্র জন রাইটের উইকেটটি পেয়েছিলেন তিনি। তবে, অভিষেক টেস্ট খেলাটি মোটেই সুখকর হয়নি তার। ঐ খেলায় ভারত দল ৬২ রানে পরাভূত হয়েছিল।[১]
এ সফরে সাতটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েও তেমন সুবিধে করতে পারেননি। মাত্র ১৩ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে কম্বাইন্ড ইউনিভার্সিটিজের সদস্যরূপে এমসিসি দলের বিপক্ষে খেলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
আঘাতের কারণে তার খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি ঘটে। এরপর তিনি পাঞ্জাবের চলচ্চিত্র শিল্পে প্রবেশ করেন। তিন থাই ভাই, সিং ইজ ব্লিং ও ভাগ মিল্খা ভাগের ন্যায় বলিউড চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন যোগরাজ সিং। শবনম সিংয়ের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। তবে, পরবর্তীতে বিবাহ-বিচ্ছেদে রূপান্তরিত হয় তাদের দাম্পত্য জীবন।[২] এ দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান যুবরাজ সিং ভারতীয় ক্রিকেট দলে অল-রাউন্ডার হিসেবে প্রভূতঃ সুনাম কুড়িয়েছেন। পরবর্তীতে, পাঞ্জাবী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শতবীর কৌরকে (বিবাহ-পূর্ব: নীনা সিঁধু) বিয়ে করেন।
আগস্টে, ২০১৪ সালে ঝগড়াঝাঁটি করার অভিযোগে গ্রেফতার হন। এরপূর্বে নভেম্বর, ২০০৪ সালে রাস্তায় মোটর সাইকেলে দুর্ঘটনা ঘটানোর কারণে চার বছরের পুরনো অভিযোগের নিষ্পত্তি ঘটানো হয় ও ছয় মাসের সাজাভোগ করেন।[৩]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ