যমুনানগর জেলাটি ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে একটি। জেলাটি ১ নভেম্বর ১৯৮৯ সালে গঠিত হয় এবং এর আয়তন ১,৭৫৬ বর্গকিলোমিটার (৬৭৮ মা২)। যমুনানগর শহরে জেলার সদর দপ্তর অবস্থিত।
যমুনানগরে বর্ষায় গড় বৃষ্টিপাত ৮৯২ মিমি, যেখানে হরিয়ানায় গড় বৃষ্টিপাত ঘটে ৪৬২ মিমি, যা রাজ্যের গড়ের তুলনায় খুব বেশি।
জেলাটির উত্তরে হিমাচল প্রদেশ, পূর্বে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য, দক্ষিণে কার্নাল জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে কুরুক্ষেত্রের জেলা এবং পশ্চিমে আম্বালা জেলা দ্বারা পরিবেষ্টিত।
বিভাগ
জেলাটি তিনটি তহসিল নিয়ে গঠিত: জগধ্রি, ছছড়াউলি এবং বিলাসপুর। এগুলি আরও ছয়টি উন্নয়ন ব্লকে বিভক্ত: বিলাসপুর, সাধাউড়া, মুস্তাফাবাদ, রাদৌড়, জগধ্রি এবং ছাছরৌলি।
এই জেলায় চারটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে : সাধাউড়া, জগধ্রি, যমুনা নগর এবং রাদৌর। সাধাউড়া, জগধ্রি এবং যমুনা নগর অম্বলা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, তবে রাদৌর কুরুক্ষেত্র লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে যমুনানগর জেলার জনসংখ্যা হল ১২,২৪,১৬২ জন, যা [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] প্রায় বাহরাইন দেশের সমান[১] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের সমান।[২] জনসংখ্যার হিসাবে এটি ভারতে জেলাগুলির মধ্যে ৩৯৩তম স্থান অর্জন করে (মোট ৬৪০টির মধ্যে)। এই জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৬৮৭ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৭৮০ জন/বর্গমাইল)। ২০০২ -২০১১-এর দশকে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ১৬.৫৬%। যমুনানগরে লিঙ্গ অনুপাত প্রতি এক হাজার পুরুষে প্রতি ৮৭৭ জন মহিলা এবং সাক্ষরতার হার৭৮ .৯%।
২০১১ সালের আদমশুমারিতে মোট যমুনানগর জনসংখ্যার মধ্যে ৩৮.৯৪ শতাংশ জেলার নগর অঞ্চলে বাস করেন। মোট ৪,৭২,৮২৯ জন মানুষ শহুরে অঞ্চলে বাস করেন, যার মধ্যে পুরুষ ২,৫২,৭৬১ এবং মহিলা ২,২০,০৬৮ জন। যমুনানগর জেলার ৬১.০৬% জনগোষ্ঠী গ্রামে গ্রামে বাস করে। যমুনানগর জেলার গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত মানুষের মোট জনসংখ্যা ৭,৪১,৩৭৬ জন, যার মধ্যে পুরুষ ও মহিলা যথাক্রমে ৩৯৩,৯৯৭ জন এবং ৩,৭৭,৪৯৯ জন।[৩]
ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জেলার জনসংখ্যার ৯১.১১% হিন্দি, ৭.২৪% পাঞ্জাবি এবং ১.২০% উর্দুকে তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে উল্লেখ করেছে।[৪]
ঐতিহাসিক জনসংখ্যাবছর | জন. | ±% |
---|
১৯০১ | ২,৩৪,৬০৩ | — |
---|
১৯১১ | ১,৯৮,৬৪৯ | −১৫.৩% |
---|
১৯২১ | ২,১৪,৪২৭ | +৭.৯% |
---|
১৯৩১ | ২,১৩,০০৭ | −০.৭% |
---|
১৯৪১ | ২,৪৩,৮০৩ | +১৪.৫% |
---|
১৯৫১ | ২,৬২,৯০৬ | +৭.৮% |
---|
১৯৬১ | ৩,৭০,২২৪ | +৪০.৮% |
---|
১৯৭১ | ৪,৭৮,৪৮৩ | +২৯.২% |
---|
১৯৮১ | ৬,৩২,৮২০ | +৩২.৩% |
---|
১৯৯১ | ৮,০৬,২৭৯ | +২৭.৪% |
---|
২০০১ | ১০,৪১,৬৩০ | +২৯.২% |
---|
২০১১ | ১২,১৪,২০৫ | +১৬.৬% |
---|
প্রধান শহর এবং নগর
উল্লেখযোগ্য স্থান
যমুনানগরের আশেপাশে বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে আদিবাদ্রি, সুঘের প্রাচীন স্থান, বিলাসপুর ও কাপলমোচন, বৌদ্ধ স্তূপ চেনি, ছ দেবী লাল ভেষজ প্রকৃতি উদ্যান, ছাছরৌলি, বুড়িয়া এবং রঙ মহল, হার্নোল এবং তোপড়া, কালেসার বন সংরক্ষণাগার, কালেসার বন্যজীবন অভয়ারণ্য, কোস মিনার, পাঁচমুখী হনুমান মন্দির ও সাদাউর।[৫] ডাঃ শচীন দুয়ার অমৃতশ আয়ুর্বেদিক যোগ এবং পঞ্চকর্মে আয়ুর্বেদিক ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ নিরাময়ের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এখানে আসেন।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ