যব (ইংরেজি: Barley; বৈজ্ঞানিক নাম: Hordeum vulgare) (বাংলায় পায়রা নামেও পরিচিত) পোয়াসিয়া (Poaceae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং শস্য বা বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। এটি গম জাতীয় একধরনের শস্য দানা যা স্বল্পজীবী ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ থেকে সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিতে শীতকালে সীমিত পরিমাণে এর চাষাবাদ হয়। কিন্তু এটি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন করা যায়। যবের ছাতু খুবই উপাদেয় খাদ্য গম আর যব উভয় একই পরিবার ভুক্ত। তবে স্বাদের দিক থেকে যব কিছুটা নোনতা এবং উষ্ণ প্রকৃতির। গমের স্বাদ মিষ্টি এবং ঠান্ডা ধরনের। যবে রয়েছে মালটোজ, গ্লুকোজ, স্যাকারিন, লেসিথিন, এল্যানটয়েন, এমাইলেস এবং ভিটামিন-বি।
যব মনোকট শ্রেণির উদ্ভিদ। এই শ্রেণির উদ্ভিদগুলো একবীজপত্রী হয়। এই শ্রেণির উদ্ভিদে একটি মাত্র বীজপত্র থাকে বলে একে একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলা হয়।
ব্যবহার
যবের বহু রকমের ব্যবহার রয়েছে। গবাদি পশুর জন্যে প্রধান খাদ্য হিসেবে যব ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও যবের দানা বিয়ার ও অন্যান্য পানীয় তৈরি করার প্রধান উপাদান। যব বিভিন্ন রকম সুষম খাদ্য প্রস্তুতিতে উপাদান হিসেবে দেয়া হয়। স্কটল্যান্ড থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত এলাকায় খাবার সুপ ও স্ট্যু তৈরিতে এবং যবের রুটিতে যবের দানা বা গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়।
আয়ুর্বেদিক ব্যবহার
যবের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যব প্লীহা আর পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং অজীর্ণ রোগ যাকে ইংরেজিতে ডিসপেপসা (বদহজম) বলে, যা এক ধরনের পেটের পীড়া তা দূর করতে এবং নিরসনে সহায়তা করে।
গরমের সময় মাত্রাতিরিক্ত গরমের জন্য নানান শারীরিক সমস্যা নিরসনে প্রতিষেধক হিসেবে যব কার্যকরী ভূমিকা রাখে।[২]
উৎপাদন
১০ টি সর্বাধিক উৎপাদক দেশ— ২০০৯ (মিলিয়ন মেট্রিক টন)
ইউরোপীয় ইউনিয়ন মাঝে রয়েছে, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইউ.কে.।
১৯৭৪ সালে বিশ্ব উৎপাদন ছিল ১৪৮,৮১৮,৮৭০ টন। এরপর থেকে সারা বিশ্ব যব উৎপাদনের পরিমাণ কমে গেছে। ২০০৭ সালে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে যব উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর বিশ্বের মোট উৎপাদিত শস্যপণ্যের মধ্যে পরিমাণের (১৩৬ মিলিয়ন টন) দিক থেকে ও চাষের জমির (৫৬৬,০০০ বর্গ কিলোমিটার) পরিমাপের দিক থেকে যব ছিল চতুর্থ অবস্থানে।