মো. কামরুল হোসেন মোল্লা বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ একজন বিচারপতি।[১][২]
প্রাথমিক জীবন
মোল্লা ১৯৬০ সালের ১লা জানুয়ারি পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান নরসিংদীর পারুলিয়া পলাশ উপজেলা একটি বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩]
কর্মজীবন
মোল্লা ১৯৮৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মুন্সিফ হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিচার বিভাগে যোগদান করেন।[৩]
১৯৯৭ সালের ৫ মে মোল্লা যুগ্ম দায়রা জজ পদে উন্নীত হন।[৩] ২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি অতিরিক্ত জেলা জজ পদে উন্নীত হন।[৩]
২০০৮ সালের মে মাসে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোল্লা বিস্ফোরক মামলায় জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ দুই সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।[৪] তিনি ২০০৯ সালের ২৮শে এপ্রিল মোল্লা জেলা ও দায়রা জজ পদে উন্নীত হন।[৩] ২০১৪ সালের ২৮শে এপ্রিল তাঁকে সিনিয়র জেলা জজ করা হয়।[৩] ২০১৫ সালের জুন মাসে মিরপুর থানা ২৫ জানুয়ারি একটি বাসে বোমা হামলার ঘটনায় তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ৩৩ জন রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।[৫]
২০১৬ সালের মে মাসে মোল্লা জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলা এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আরও ২৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।[৬]
২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন দায়ের করা একটি মামলায় সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক হিসেবে মোল্লা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।[৭] ১৯৯২ সালের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় তিনি বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেন মোহাম্মদ এরশাদ , বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দুই প্রাক্তন প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদ এবং ইউনাইটেড ট্রেডিংয়ের এ কে এম মুসা পরিচালককে নির্দোষ বলে মনে করেন।[৮]
২০১৮ সালের ৩১মে মোল্লা হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন।[৩][৯]তাঁর নিয়োগের পর মোল্লা ও অন্যান্য ১৭জন বিচারক গোপালগঞ্জ গিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান প্রতি শ্রদ্ধা জানান।[১০]
২০২০ সালের ৩০শে মে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মোল্লা হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক নিযুক্ত করেন।[১১][১২]
মোল্লা ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন অনলাইন সাইট থেকে আল জাজিরা অল প্রাইম মিনিস্টার্স মেন রিপোর্ট সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।[১৩] ২০২১সালের জুন মাসে মোল্লা এবং বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া শিশু আইন ২০১৩ লঙ্ঘন করে একটি ধর্ষণের মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামীদের জামিন না দেওয়ার জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহর সমালোচনা করেন এবং তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।[১৪] ২০২১ সালের অক্টোবরে মোল্লা ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস একাডেমি নির্মাণের জন্য কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনভূমির ৭০০ একর সরকারি বরাদ্দের ওপর তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন।[১৫]
তথ্যসূত্র