(উপর থেকে: বাম থেকে ডানে) মোরোনি, ২০০৮ সালের জুলাই মাসে তোলা আলোকচিত্র, মোরোনির মসজিদ, মোরোনি ক্যাথলিক চার্চ এবং ইটসান্দ্রা সমুদ্র সৈকত।
লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 480 নং লাইনে: নির্দিষ্ট অবস্থান মানচিত্রের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়নি। "মডিউল:অবস্থান মানচিত্র/উপাত্ত/Comoros" বা "টেমপ্লেট:অবস্থান মানচিত্র Comoros" দুটির একটিও বিদ্যমান নয়।Location of Moroni on the island of Grande Comore
মোরোনি (আরবি: موروني,) আফ্রিকার পূর্ব উপকূলবর্তী ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র কোমোরোসের রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী। নগরীটি দেশটির বৃহত্তম ও আংশিক-স্বশাসিত দ্বীপ এনজাজিজা-র (বা বৃহত্তর কোমোর দ্বীপে) দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে, কার্থালা নামের একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির পাদদেশে অবস্থিত। মোরোনি কথাটির অর্থ "নদীতে"। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী এখানে প্রায় অর্ধ লক্ষ অধিবাসীর বাস।
মোরোনিতে একটি সমুদ্র বন্দর রয়েছে। বন্দরটি মূলত একটি প্রাকৃতিক খাঁড়িতে অবস্থিত একটি ছোট জাহাজঘাট নিয়ে গঠিত। তবে এটিতে জাহাজ ভেড়ার জন্য প্রাকৃতিক সুরক্ষা নেই। এখান থেকে ভ্যানিলা, লবঙ্গ ও ইলাং-ইলাং নামক সুগন্ধীর কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত ফুলের মতো পণ্য জাহাজযোগে রপ্তানি করা হয়। বন্দরে আমদানি-রপ্তানি দ্রব্য ও খনিজ তেলের জন্য গুদামের ব্যবস্থা আছে। মোরোনিতে কোমোরোসের সিংহভাগ আধুনিক বাণিজ্যিক ও শিল্পোৎপাদন সুবিধাগুলি অবস্থিত।
এছাড়া পর্যটন খাত থেকেও নগরীটির তাৎপর্যপূর্ণ আয় হয়। মোরোনি নগরীটি সড়কপথে উত্তরের উপকূলীয় নগরী হাহাইয়া ও দক্ষিণে উপকূলীয় নগরী মিতসুজে-র সাথে সংযুক্ত। নগরীর সন্নিকটে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে।
এখানে বাজানানি মসজিদসহ বেশ কিছু মসজিদ আছে, যাদের মধ্যে শিউন্দা মসজিদটি একটি তীর্থকেন্দ্র। যদিও শহরটিতে অনেক আধুনিক শৈলীর কার্যালয় ভবন আছে, তার পরেও এটি এক ধরনের ঐতিহ্যবাহী আরব রূপ ধরে রেখেছে। ২০০৩ সালে এখানে কোমোরোস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।
মুসলমান আরবরা সম্ভবত খ্রিস্টীয় ১০ম শতক বা তার পরে মোরোনি নগরীটি প্রতিষ্ঠা করে। ১৯শ শতকে ফরাসিরা মোরোনি এবং কোমোরোসের অবশিষ্টাংশ বিজয় করে নেয়। ১৯৫৮ সালে এটি কোমোরোস দ্বীপপুঞ্জের রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯৭৫ সালে কোমোরোস একটি স্বাধীন দেশে পরিণত হয় এবং মোরোনি এর রাজধানী হিসেবে বহাল থাকে। স্বাধীনতার পরে এখানে বহু সহিংস প্রতিবাদ ও দেশটির সরকারের বহুবার ক্ষমতাবদল হয়েছে।