মোঃ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা যিনি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব ছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন
মোঃ নজরুল ইসলাম ৫ জুন ১৯৫৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার শেরপুর থানার চন্দ্রকোণায় মোঃ আনছার আলী এবং মোছাম্মাৎ রেজিয়া খাতুনের গৃহে প্রথম সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮২ সালে ইতিহাসে স্নাতক পাশ করার পর পরবর্তী বছরে স্নাতকোত্তর করতে ভর্তি হয়েছিলেন।[১]
পেশাজীবন
ইসলাম ১৯৮৪ সালের বিশেষ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ব্যাচে জনপ্রশাসন ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন।[২] তিনি বোদা, নবীগঞ্জ, বাহুবল ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, ময়মনসিংহে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক, নেত্রকোণায় জেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তা, ময়মনসিংহের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমীর মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ছিলেন।[৩] তিনি অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হওয়ার পর তিনি ১২ অক্টোবর ২০১৭ সালে সড়ক বিভাগের সচিব পদে এম এ এন ছিদ্দিকের স্থলাভিষিক্ত হোন।[২] নভেম্বর ২০১৭ সালে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি তাকে চায়ের প্যাকেটের ভেতর ১ লাখ মার্কিন ডলার ঘুষ হিসেবে দিলে সেটি পরে তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে চীনা দূতাবাসে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।[৪] ৪ জুন ২০১৮ সালে তার অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও তাকে আরও ২ বছরের জন্য সড়ক বিভাগের সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।[৫] ২০২০ সালে তার চুক্তির মেয়াদ আরও ২ বছর বাড়ানো হয়েছিল।[৬] ২১ মে ২০২২ সালে তাকে এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়।[৭]
তথ্যসূত্র