মুসলিম ইউনাইটেড লিবারেশন টাইগার্স অব আসাম (মাল্টা) একটি ইসলামপন্থী চরমপন্থী সংগঠন যা ১৯৯৬ সালের দিকে পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যে অসমীয়া আদিবাসী মুসলমানদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়া সন্ত্রাসবাদ পোর্টাল এসএটিপি.অর্গ এটিকে সমস্ত মুসলিম ইউনাইটেড লিবারেশন ফোরাম অব আসামের (আমুলফা) অংশ হিসাবে বর্ণনা করেছে এবং মুসলিম ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (মুলফা) আমুলফার ছত্রচ্ছায়ায় সহযোগী সংস্থা।[১]
ইতিহাস
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, সংগঠনটি আসাম জুড়ে মূলত ধুবরি জেলায়, তবে নাগাঁও, মরিগাঁও এবং দারাং জেলায়ও সন্ত্রাসবাদী অভিযান ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। এটি অবৈধভাবে অস্ত্র বিক্রি করে এবং এর ক্রিয়াকলাপগুলির জন্য অর্থ ব্যয় করতে অপহরণ এবং চাঁদাবাজি চালায়।
টাইগার্স অব আসাম অন্যান্য উগ্রবাদী সংগঠনের সাথে একত্রে কাজ করে যেমন ২০ এপ্রিল ২০০৯ লোকরার কাছে ভারতীয় পুলিশের বিরুদ্ধে বন্দুক যুদ্ধ হয়েছিল, যেখানে ভারতীয় রেড হর্নস বিভাগ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বোড়োল্যান্ডের (এনডিএফবি) তিনজন মাল্টা সদস্য বাউল আলী ও ইউনিস আলীকে হত্যা করেছিল।[২]
এটি নাগাল্যান্ডের মাওবাদী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক কাউন্সিল- ইস্ক মুইভা (এনএসসিএম-আইএম) সাথে সহযোগিতা করার জন্য এসএটিপি.ও.আর দ্বারা জোর দিচ্ছে।[১][৩]
সন্দেহ
অক্টোবর ২০১৮ সালে নাগরিকপঞ্জির নবায়ন ও নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে চাপা উত্তেজনা আর সন্দেহ বিরাজ করেছে। এ বিলের বিরুদ্ধে আসামের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ শুরু হয়। আসামে বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ বরাক উপত্যকার একাধিক শহর ছাড়াও গুয়াহাটি ও তিনসুকিয়ায় বিক্ষোভে যুক্ত হয়। পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিবাদে রাস্তায় নামে তৃণমূল কংগ্রেস, জাতীয় কংগ্রেস, বিজেপি ও বাম দল। ঘটনায় সন্দেহের তীর উগ্রবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম বা উলফা-র দিকে নেয়া হয়। এ বিষয়টি নভেম্বর ‘আলোচনাপন্থি' উলফা নেতা মৃণাল হাজরিকা ও উলফা (স্বাধীন)-এর প্রধান পরেশ বড়ুয়া আসামে বাঙালি নিধনের ডাক দেন।
১৩ই অক্টোবর ২০১৮ সালে গুয়াহাটির সুক্লেশ্বর ঘাটে একটি বিস্ফোরণে চারজন আহত হন। উলফা (স্বাধীন) পরে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে বলে যে, এই বিস্ফোরণ ‘আসামের স্বার্থবিরোধী' হিন্দু বাঙালি গোষ্ঠীগুলির জন্য একটি সতর্কবার্তা দেয় এবং সন্দেহের তীর লিবারেশন টাইগার্স অব আসামের দিকে সন্দেহের তীর ধরা হয়।[৪]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ