মার্থা গ্রাহাম (১১ মে ১৮৯৪ - ১ এপ্রিল ১৯৯১) ছিলেন একজন মার্কিন আধুনিক ধারার নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালক। তার নৃত্যের ধরন গ্রাহাম কৌশল নামে পরিচিতি, যা মার্কিন নৃত্যের পদ্ধতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং এখনো বিশ্বব্যাপী চর্চিত হচ্ছে।
গ্রাহাম ১৯৭০-এর দশক জুড়ে নৃত্য চর্চা করতেন এবং নৃত্য শেখাতেন। তিনি হোয়াইট হাউজে পরিবেশনকারী প্রথম নৃত্যশিল্পী এবং সাংস্কৃতিক দূত হিসেবে বিদেশ সফরে যেতেন। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অভ ফ্রিডমে ভূষিত করা হয়। তার জীবনের শেষভাগে তিনি প্যারিসের কি টু দ্য সিটি থেকে শুরু করে জাপানের রাজকীয় হোকান-শো পদকে ভূষিত হন। ১৯৯৮ সালে টাইম পত্রিকা তাকে মরণোত্তর "শতাব্দীর সেরা নৃত্যশিল্পী" হিসেবে অভিহিত করে,[১] এবং পিপল পত্রিকা তাকে "শতাব্দীর সেরা আইকন"-দের একজন বলে অভিহিত করে।[২]
প্রারম্ভিক জীবন
গ্রাহাম ১৮৯৪ সালের ১১ই মে পেন্সিলভেনিয়ার আলগেনি শহরে (বর্তমান (পিটসবার্গ) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জর্জ গ্রাহাম মনস্তত্ত্বের অনুশীলনকারী ছিলেন। গ্রাহামের পরিবার কঠোর প্রেসবাইটেরিয়ান ছিলেন। জর্জ আইরিশ বংশোদ্ভূত এবং তার তিন প্রজন্ম পূর্বে তার পূর্বপুরুষগণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। মার্থার মাতা জেন বিয়ার্সের দুই প্রজন্ম পূর্বে তার পূর্বপুরুষগণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন এবং তারা আইরিশ, স্কটস-আইরিশ ও ইংরেজ বংশোদ্ভূত ছিলেন।[৩]
কর্মজীবন
১৯২৫ সালে গ্রাহাম ইস্টম্যান স্কুল অভ মিউজিকে যোগদান করেন, যেখানে রুবেন মামুলিয়ান নাট্যকলা শাখার প্রধান ছিলেন। মামুলিয়ান ও গ্রাহাম সেখানে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যার নাম দ্য ফ্লুট অভ কৃষ্ণ। এই চলচ্চিত্রে অংশগ্রহণ করে ইস্টম্যানের শিক্ষার্থীবৃন্দ। মামুলিয়ান কিছুদিন পরেই ইস্টম্যান ত্যাগ করেন এবং গ্রাহামও ইস্টম্যান ত্যাগ করেন, যদিও তাকে সেখানে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছিল।
১৯২৬ সালে আপার ইস্ট সাইডে একটি ছোট স্টুডিওতে মার্থা গ্রাহাম সেন্টার অভ কনটেম্পরারি ড্যান্স প্রতিষ্ঠিত হয়। একই বছরের ১৮ই এপ্রিল গ্রাহাম তার প্রথম স্বাধীন কনসার্ট করেন। এই কনসার্টে তার নৃত্য পরিচালনায় ১৮টি ছোট একক এবং ত্রয়ী পরিবেশিত হয়। এই পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয় ম্যানহাটনের ফোর্টি এইটথ স্ট্রিট থিয়েটারে। এই কনসার্টটি সম্পর্কে তিনি পরবর্তী কালে বলে, "আমি যা করেছি সবকিছুর অনুপ্রেরণা ছিল ডেনিশন।"[৪]