ব্রিস্টল দক্ষিণ পশ্চিম ইংল্যান্ডের একটি শহর এবং কাউন্টি,[৪] যার জনসংখ্যা হল ৪,৬৩,৪০০ জন।[৫] বিস্তৃত জেলাটিতে ইংল্যান্ডের দশম বৃহত্তম জনসংখ্যা রয়েছে।[৬] শহরাঞ্চলের জনসংখ্যা ৭,২৪,০০০ জন, যা যুক্তরাজ্যের মধ্যে অষ্টম বৃহত্তম।[২] শহরটি উত্তরে গ্লৌচেস্টারশায়ার এবং দক্ষিণে সমারসেটের মধ্যে অবস্থিত। সাউথ ওয়েলসসেভেন মোহনা জুড়ে রয়েছে।
লৌহযুগে পার্বত্য দুর্গ ও রোমান ভিলাফ্রেম ও অ্যাভন নদীর মিলনের নিকটে নির্মিত হয় এবং একাদশ শতাব্দীর শুরুতে এই বসতিটি ব্রাইকস্টো (প্রাচীন ইংরেজি "ব্রিজের স্থান") নামে পরিচিত ছিল। ব্রিস্টল ১১৫৫ সালে একটি রাজকীয় সনদ পায় এবং একটি কাউন্টিতে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত ১৩৭৩ সাল অবধি এটি গৌচেস্টারশায়ার ও সমারসেটের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে বিভক্ত ছিল। ত্রয়োদশ থেকে আঠারো শতক পর্যন্ত, ব্রিস্টল কর আদায়ের ক্ষেত্রে লন্ডনের পরে শীর্ষ তিনটি ইংরেজ শহরগুলির মধ্যে একটি ছিল। শিল্প বিপ্লবে বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার ও
লিভারপুলের দ্রুত উত্থানের ফলে ব্রিস্টলকে ছাড়িয়ে যায়।
ব্রিস্টল নতুন বিশ্ব অনুসন্ধানের যাত্রা শুরু করার স্থান ছিল। ১৪৯৭ সালে ব্রিস্টল থেকে বেরিয়ে একটি জাহাজে ভেনিস নিবাসী জন ক্যাবোট উত্তর আমেরিকা মূল ভূখণ্ডে অবতরণকারী প্রথম ইউরোপীয় হয়ে ওঠেন। ১৪৯৯ সালে ব্রিস্টলের বণিক উইলিয়াম ওয়েস্টন প্রথম ইংরেজ হিসাবে উত্তর আমেরিকা অনুসন্ধানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ক্রীতদাস ব্যবসায়ের শীর্ষ সময় ১৭০০ সাল থেকে ১৮০৭ সাল পর্যন্ত ব্রিস্টল থেকে প্রায় ২ হাজারেরও বেশি দাস জাহাজে আনুমানিক ৫০০,০০০ লোককে আফ্রিকা থেকে আমেরিকার দাসত্বের জন্য বহন করা হয়। ব্রিস্টল বন্দরটি তখন থেকে শহরের কেন্দ্রস্থলের ব্রিস্টল পোতাশ্রয় থেকে অ্যাভনমাউথ ও রয়েল পোর্টবারি ডকেরসেভেন মোহনায় চলে আসে।
ব্রিস্টলের আধুনিক অর্থনীতিটি সৃজনশীল মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স এবং মহাকাশ শিল্পগুলিতে গড়ে উঠেছে এবং শহর-কেন্দ্রের ডকগুলিকে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসাবে পুনর্নবীকরণ করা হয়। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংল্যান্ড পশ্চিম বিশ্ববিদ্যালয় সহ শহরে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং রয়্যাল ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ড একাডেমি, আর্নলফিনি, স্পাইক দ্বীপ, অ্যাশটন গেট ও মেমোরিয়াল স্টেডিয়াম সহ বিভিন্ন ধরনের শৈল্পিক ও ক্রীড়া সংস্থা এবং ভেন্যু রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ব্রিসটলকে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ প্রকাশক ডরলিং কিন্ডারসেলি তাদের প্রত্যক্ষদর্শী ধারাবাহিক ভ্রমণ নির্দেশিকায় বিশ্বের শীর্ষ দশটি শহর হিসাবে বেছে নিয়েছিল। সানডে টাইমস এটিকে ২০১৪ সালে ও ২০১৭ সালে বসবাস করার জন্য ব্রিটেনের সেরা শহর হিসাবে নির্বাচিত করে এবং ব্রিস্টল ২০১৫ সালে ইইউর ইউরোপীয় গ্রিন ক্যাপিটাল পুরস্কার জিতেছে।