বাবর আলী একজন ভারতীয় যুবক যাকে বিবিসি বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে উপস্থাপন করে।[২] বাবর আলীর জন্ম ভারতের পশ্চিবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার গঙ্গাপুর গ্ৰামে।
ব্যক্তিগত জীবন ও ভ্রমণ
বাবর আলীর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত ভাবতা'র গঙ্গাপুর গ্রামে এক কৃষক পরিবারে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ই মার্চ। পিতার নাম মহম্মদ নাসিরউদ্দিন এবং মায়ের নাম বানুয়ারা বিবি।[৩]
বাবর বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন। ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বারের মত বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন। সিলেট আর ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ঘুরে দেখেন সেই সময়ে। [৪]
পুরস্কার ও সম্মাননা
২০০৯ সালে বিবিসির একটি প্রতিবেদনে মাত্র ৯ বছর বয়সে নিজস্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকারী বাবর আলীকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হয়। তারপর আরও অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংবাদ মাধ্যম বাবর আলীকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। [৫] ২০০৯ সালে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সিএনএন-আইবিএন বাবর আলীকে রিয়েল হিরোজ এওয়ার্ড কর্মসূচীর জন্য পুরস্কার প্রদান করে। এনডিটিভি বাবর আলীকে ইন্ডিয়ান অব দ্যা ইয়ার পুরস্কার প্রদান করে। [৬]
আনন্দ শিক্ষা নিকেতন
বাবর আলীর বয়স যখন মাত্র ৯ তখন যাত্রা শুরু হয় আনন্দ শিক্ষা নিকেতনের। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। [৭][৮] বিদ্যালয়টি পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অনুমোদন পেয়েছে এবং বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কল্যাণার্থে বিদ্যালয়ে বিনা বেতনে পাঠদান করা হয়। বর্তমানে পাঠদানরত শিক্ষকদের মধ্যে ৬ জন আনন্দ শিক্ষা নিকেতনের সাবেক শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়টি ২০০২ সাল থেকে বাবর আলীর পৈতৃক ভিটার উঠোনে প্লাস্টিকের ছাউনির নিচে পরিচালনা করা হতো ২০১৫ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাস থেকে বিদ্যালয়টি তিনতলা বিশিষ্ট আধুনিক ভবনে শঙ্কর পাড়া গ্রামে পরিচালিত হচ্ছে। এই বিদ্যালয় বর্তমানে প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যদান করানো হয় সম্পন্ন বিনামূল্যে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ