বা'ব নামেই পরিচিত ধর্মযাজক সাইয়িদ আলি মুহাম্মদ শেরজী (/ˈseɪjədˈælimoʊˈhæmədʃɪˈrɑːzi/; ফার্সি: سيد علی محمد شیرازی; ২০ অক্টোবর, ১৮১৯– ৯ জুলাই, ১৮৫০) ছিলেন বাববাদ বা বা'ব ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাহাই বিশ্বাসের অন্যতম কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব।
বাব ছিলেন ইরানের কাজারের বাসিন্দা শিরাজের বণিক যিনি ১৮৪৪ সালে চব্বিশ বছর বয়সে নিজেকে ঈশ্বরের দূত বলে দাবি করেছিলেন। তখন তিনি বা'ব(/bɑːb/; আরবি: باب) উপাধি গ্রহণ করেছিলেন, যার অর্থ হলো "ফটক" বা "দরজা"। তিনি পারস্য সরকারের বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছিলেন ও শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছিলো। বর্তমানে তাঁর শতসহস্র অনুসারী রয়েছে যারা বা'বিস নামে পরিচিত ছিলেন।
জীবনীক্রম
প্রাথমিক জীবন
বাব ১৮ অক্টোবর, ১৮১৯ (১ মহররম ১২৩৫ হি.) শিরাজ শহরের এক মধ্যবিত্ত বণিকের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এবং পিতামাতা তার নাম রাখেন আলী মুহাম্মদ। তাঁর পিতা ছিলেন মুহাম্মদ রিদা এবং তাঁর মা ফাতিমী (১৮০০-১৮৮১) ছিলেন শিরাজের এক বিশিষ্ট বণিকের মেয়ে। তিনি পরে বাহাই হন। তাঁর বাবা যখন খুব অল্প বয়সে মারা গিয়েছিলেন তখন তিনি অনাথ হয়ে যান এবং তাঁর একজন বণিক মামা হজ্জি মেরজি সিইয়িদ আলী তাকে বড় করেছিলেন।[৩][৪] তিনি নবী মুহাম্মদের বংশধর, একজন সয়্যিদ, তাঁর পিতা-মাতার মধ্য দিয়ে হুসেন ইবনে আলীর মাধ্যমে।[৫][৬][৭] শিরাজে তাঁর চাচা তাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (মক্তব) পাঠিয়েছিলেন এবং ছয় বা সাত বছর তিনি সেখানে অবস্থান করেছিলেন।[৮][৯]
বিবাহ
১৮৪২ সালে তিনি খাদিজা বেগমকে (১৮২২-১৮৮২) বিয়ে করেছিলেন; তখন তিনি ২৩ এবং তার স্ত্রী ২০ বছর বয়সী।[৮] তিনি শিরাজের বিশিষ্ট বণিকের মেয়ে ছিলেন। বিবাহজীবনে তারা একটি সুখী পরিবার হিসাবেই প্রমাণিত হয়েছিল,[১০] এবং তাদের আহমেদ নামে একটি ছেলেও ছিল, যার জন্মের বছরই (১৮৪৩ সালে) তার মৃত্যু হয়েছিল।[১০] গর্ভাবস্থা খাদিজার জীবনকে বিপন্ন করে তুলত বলে এরপর সে আর কখনও গর্ভধারণ করি নি। নতুন দম্পতি বাবের মায়ের সাথে শিরাজে একটি সাধারণ বাড়ি পেয়েছিলেন।