ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্ট |
---|
রেজিমেন্টের ক্যাপ ব্যাজ |
সক্রিয় | বর্তমান অবস্থা: ১৯৫৭ – বর্তমান; ১৮৪৩ সাল থেকে স্কিন্ড ক্যামেল কোর নামের একটি রেজিমেন্ট ছিলো যেটি ছিলো এই রেজিমেন্টের পূর্বসূরী |
---|
দেশ | পাকিস্তান |
---|
শাখা | পাকিস্তান সেনাবাহিনী |
---|
ধরন | পদাতিক |
---|
আকার | ৬৭টি ব্যাটেলিয়ন |
---|
ডেপোট | অ্যাব্টাবাদ |
---|
ডাকনাম | এফএফ অথবা পিফার্স |
---|
নীতিবাক্য | (আরবি: لبیک) ("এই যে আমি") |
---|
রঙের মুখোমুখি | লাল |
---|
কুচকাত্তয়াজ | এক শত পাইপার্স |
---|
বার্ষিকী | পিফার সপ্তাহ[১] |
---|
যুদ্ধসমূহ | ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৬৫ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৭১ সিয়াচেন দ্বন্দ্ব কার্গিল যুদ্ধ |
---|
|
কর্নেল সর্বাধিনায়ক | সেনাপ্রধান বা যুগ্ম সামরিক স্টাফ প্রধান (পূর্ণ জেনারেল) |
---|
কর্নেল সেনানায়ক | একজন মেজর জেনারেল অথবা লেঃ জেনারেল (যিনি এই রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত এবং দুটোর মধ্যে যে কোনো একটা বড় পদবী ধরেছেন) |
---|
ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্ট হচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ছয়টি পদাতিক রেজিমেন্টের একটি। সংক্ষেপে এই রেজিমেন্টকে বলা হয় পিফার্স (পাঞ্জাব ইরেগুলার ফোর্স এর সংক্ষিপ্ত নাম পিআইএফ এর সদস্যদের সমষ্টিগত নাম, এটি ঐতিহাসিক) অথবা এফএফ (ফ্রন্টিয়ার ফোর্স)। ব্রিটিশ ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ (নর্থ ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্স) যেটা এখন খাইবার পাখতুনখোয়া নামে পরিচিত এর নামানুসারী পদাতিক রেজিমেন্টটির নাম ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রাখা হয়েছিলো।
এই রেজিমেন্টের পূর্বসূরী ছিলো পাঠান এবং পাঞ্জাবি ব্যাটেলিয়নগুলো/ইউনিটগুলো, যদিও ১৮৪৩ সালের স্কিন্ড ক্যামেল কোর ছিলো এই রেজিমেন্টের মূল পূর্বসূরী। ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কোর অব গাইডস (সাঁজোয়া) নামের একটি রেজিমেন্টের একটি পদাতিক শাখা ছিলো, ওটিও পরে এই ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টের অন্তর্ভুক্ত হয়। পাকিস্তানের স্বাধীনতার পূর্বে বহু শিখ পদাতিক ব্যাটেলিয়ন এই ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেত।
রেজিমেন্টটিতে এখন ৬৭টি ব্যাটেলিয়ন আছে এবং এটি অ্যাব্টাবাদ শহরে কেন্দ্রস্থিত।[২][৩] এই এ্যাবোটাবাদকে বলা হয় 'হোম অব পিফার্স'। রেজিমেন্টটিতে এখন মোটোরাইজ পদাতিক সহ মেকানাইজ পদাতিক ব্যাটেলিয়ন রয়েছে, এছাড়াও আগেকার যুগের মত এখনো সাঁজোয়া এবং গোলন্দাজ রেজিমেন্ট (পদাতিক ব্যাটেলিয়নের সমমান) রয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাঞ্জাব এবং বেলুচ রেজিমেন্টের পরেই এই রেজিমেন্টের ইতিহাস তৃতীয় পুরনো, ১৯৫৭ সালে এই রেজিমেন্ট সেনাপ্রধান জেনারেল আইয়ুব খানের তত্ত্বাবধানে আগেকার যুগের অবস্থান থেকে নতুনভাবে পুনর্গঠিত হয়।[৪] এই রেজিমেন্টের কিছু কিছু ব্যাটেলিয়ন ১৯৪৭ সালে ভারতের হয়ে যায়, ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রাইফেলস এবং পাঠান রেজিমেন্টের মুসলিম ব্যাটেলিয়নগুলো পাকিস্তানের হয়।[৫]
রেজিমেন্টকেন্দ্রতে এই রেজিমেন্টের নব সেনা (রিক্রুট)দের প্রশিক্ষণ হয়, রেজিমেন্টের কেন্দ্র অধিনায়ক একজন ব্রিগেডিয়ার হয়ে থাকেন যিনি এই রেজিমেন্টেরই একজন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। রেজিমেন্ট থেকে কেউ যদি মেজর-জেনারেল হন বা লেঃ জেনারেল হন তাকে রেজিমেন্টের কর্নেল সেনানায়ক (একটি আনুষ্ঠানিক পদ) দেওয়া হয় যেটাকে ইংরেজিতে বলে কর্নেল কমান্ড্যান্ট এবং সেনাপ্রধান (পূর্ণ জেনারেল) যদি এই রেজিমেন্ট থেকে নির্বাচিত হন (এই রেজিমেন্টে কমিশন পেয়েছেন এমন ব্যক্তি) তাহলে তাকে এই রেজিমেন্টের কর্নেল সর্বাধিনায়ক (কর্নেল ইন চীফ) পদ দেওয়া হয়।
রেজিমেন্টটিতে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মানুষ সহ সিন্ধু প্রদেশের মানুষ, পাঞ্জাব প্রদেশের মানুষ, বেলুচিস্তান প্রদেশের মানুষ সহ পাকিস্তানের সব জাতির মানুষই সৈনিক এবং কর্মকর্তা হবার সুযোগ পেয়ে থাকেন তবে ঐতিহাসিক ভাবে এই রেজিমেন্টের অধিকাংশ সদস্য পাঠান আর পাঞ্জাবি।
উৎপত্তি
ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাঠান রেজিমেন্ট, ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রাইফেলস এবং ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টের একত্রীকরনের ফসল এই পাকিস্তানি পদাতিক রেজিমেন্ট। ১৯২২ সালে ১২তম ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্ট এবং ১৩তম ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রাইফেলস তৈরি করা হয় যেগুলো ছিলো স্কিন্ড ক্যামেল কোর এবং বিভিন্ন শিখ পদাতিক ব্যাটেলিয়নের সমষ্টি। পাঞ্জাব ইরেগুলার ফোর্স নাম ১৮৫০-এর দশকে একটি রেজিমেন্ট (মিলিশিয়া) তৈরি করা হয় যেটার একটা বড় অংশ পরে এই ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্ট এবং রাইফেলসে যুক্ত হয়।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ