ভূপ্রাকৃতিক তাপীয় ফাটলের মাধ্যমে কেরোজেন থেকে পরিবর্তিত হয়ে পেট্রোলিয়ামে রূপান্তরিত হওয়ার মতো প্রাকৃতিক গ্যাসও একই প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। ফলে, তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস একই সাথে পাওয়া যায়। সাধারণ অর্থে, পর্যাপ্ত পরিমাণ তেলের মজুদকে তৈল ক্ষেত্র, এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদকে প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র বলে।
সাধারণত, ১,০০০ মিটার থেকে ৬,০০০ মিটার গভীরে (৬০°C থেকে ১৫০°C তাপমাত্রায়) জৈব তলানি চাপা পড়ে তেল তৈরি হয়, যেখানে অধিক গভীরে এবং তাপমাত্রায় তলানি চাপা পড়ে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপন্ন করে। এগুলোর উৎস যতই গভীরতর হয়, গ্যাস তত "শুষ্ক" হয় (অর্থাৎ, গ্যাসে ঘনীভূত অংশ হয়)। তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস পানি থেকে হালকা হওয়ার কারণে, উৎস থেকে এগুলো ভূপৃষ্ঠে চুইয়ে বের হয়ে আসা বা অ-বেধগম্য স্ট্রাটিগ্রাফিক ট্র্যাপে জমা না হলে ছড়িয়ে পড়তে চায়। এগুলোকে ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে ট্র্যাপ থেকে নিষ্কাশন করা যেতে পারে।
২১শ শতাব্দীর প্রথম দিকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য উত্তোলনকারীরা পূর্বে যেসব গ্যাসক্ষেত্রকে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করত না, তারা সেগুলো আবার পরিদর্শন করতে শুরু করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৮ সালে মেক্সিকো উপদ্বীপের ব্ল্যাকবিয়ার্ড এলাকাটিতে ম্যাকমোরান এক্সপ্লোরেশন ৩২,০০০ ফুটের (৯৭৫৪ মিটার) (গ্যাস উৎপাদনের ইতিহাসে সবচেয়ে গভীরতম পরীক্ষাধীন কূপ) অধিক ড্রিলিং গভীরতার একটি গ্যাসক্ষেত্রের অনুমোদন দেয়।[১] ক্ষেত্রটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করার আগে, ২০০৬ সাল নাগাদ এক্সন মবিল ৩০,০০০ ফুট পর্যন্ত খনন করেও কোন গ্যাস পায় নি।
↑A Famed Dry Hole Gets a Second Shot, Wall Street Journal, 21 July 2008, p.B1
আরো পড়ুন
Hyne, Norman J. (2001). Nontechnical guide to petroleum geology, exploration, drilling, and production (2nd ed.). Tulsa, Oklahoma: PennWell Corporation. আইএসবিএন০-৮৭৮১৪-৮২৩-X