নাথানিয়েল ফ্রাম্পটন ডেভিস টমসন (ইংরেজি: Nat Thomson; জন্ম: ২৯ মে, ১৮৩৯ - মৃত্যু: ২ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৬) নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনি এলাকার সারে হিলসে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[১]অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম দুই টেস্টে অংশগ্রহণ করেন ‘ন্যাট’ নামে পরিচিত ন্যাট টমসন।
ইতিহাসের প্রথম টেস্ট
১৫ মার্চ, ১৮৭৭ তারিখে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া টসে জয়লাভ করে ব্যাটিংয়ে নামে। অস্ট্রেলিয়ার ১ নম্বর ব্যাটসম্যান চার্লস ব্যানারম্যানের সাথে তিনিও ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। তখন তার বয়স ছিল ৩৭ বছর ২৯০ দিন যা ইংল্যান্ডের জেমস সাউদার্টনের টেস্ট অভিষেকের পর দ্বিতীয় সর্ববয়োঃজ্যেষ্ঠ ছিল। ঐ টেস্টে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডিসমিস হন। দলের রান সংখ্যা ২ থাকা অবস্থায় অ্যালেন হিলের বলে পরিষ্কার বোল্ড হন ব্যক্তিগত ১ রান নিয়ে।[২]
এক পক্ষকাল পর দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হলে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৪১ রান তোলেন। প্রথম উইকেট জুটিতে ডেভ গ্রিগরি’র সাথে ৮৮ রান সংগ্রহ করেন তিনি।[৩]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৮৫০-এর দশকে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে খেলতে শুরু করেন থমসন। শুরুতে তিনি ফিল্ডসম্যান হিসেবে খেললেও পরবর্তীকালে তার ব্যাটিংয়ের উত্তরণ ঘটতে শুরু করে। ১৮৬৭-৬৮ মৌসুমে প্রথম আন্তঃউপমহাদেশীয় খেলায় দলের প্রথম অর্ধ-শতক করেছিলেন তিনি। ১৮৭৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলেও ব্যবসায়িক কারণে সফরে যেতে অস্বীকৃতি জানান ও সংক্ষিপ্তকালের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনের সমাপণ ঘটেছিল।[৪]
নাম বিতর্ক
উইজডেন কর্তৃপক্ষ ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত মধ্য নাম বাদেই তাকে নাথানিয়েল থম্পসন নামে উল্লেখ করতো ও ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে ২১ এপ্রিল, ১৮৩৮ তারিখে তার জন্ম বলে জানায়। এছাড়াও, বিল ফ্রিন্ডলের ‘উইজডেন বুক অব টেস্ট ক্রিকেট ১৮৭৬-৭৭ টু ১৯৭৭-৭৮’ শীর্ষক গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত জীবনীতেও একই কথা তুলে ধরা হয়। এরফলে তিনি শুরুর দিককার অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে জন্ম ও মৃত্যু অধ্যায়ের পাদটীকায় উইজডেন ঘোষণা করে যে, গবেষণায় এন.এফ.ডি. টমসনের বিষয়ে কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। এরফলে টমসন ও নেড গ্রিগরি একই দিনে জন্মগ্রহণ করছেন এবং শুরুর দিকে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে আসছেন।[৫]