জেলার প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথকিশোর কলেজ ছিল মূলত ছেলেদের কলেজ। সহশিক্ষা ব্যবস্থা এখানে থাকলেও জেলার অধিকাংশ অভিভাবক ও শিক্ষক ছিলেন সহশিক্ষার বিরুদ্ধে। এই কারণে তাঁরা পুরুলিয়ায় একটি মহিলা কলেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। পুরুলিয়ার বঙ্গভুক্তির পর ১৭ অগস্ট ১৯৫৭ তারিখে জীমূতবাহন সেন প্রমুখ শহরের কিছু বিশিষ্ট মানুষের অনুরোধে এবং তদনীন্তন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীডক্টর বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে দেশবন্ধুর পিতা ভুবনমোহন দাশ ও জননী নিস্তারিণী দেবীর সুবৃহৎ বসতবাড়িতে নিস্তারিণী কলেজের প্রতিষ্ঠা হয়।[২] বলা বাহুল্য, কলেজের নামকরণ দেশবন্ধুর জননীর নামেই। ১৯৫৮ সালের ৬ নভেম্বর ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্রপ্রসাদ কলেজের বর্তমান ভবনটির উদ্বোধন করেন। প্রথমে এই কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত থাকলেও ১৯৬১ সালে এটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়।
বর্তমান ব্যবস্থা
বর্তমানে এই কলেজে নয়টি বিষয়ে অনার্স-সহ মোট পনেরোটি বিষয় পড়ানো হয়। প্রায় ১২০০ জন ছাত্রী এখানে পড়েন। এছাড়া দূরশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের জন্য নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অধ্যয়ন কেন্দ্রও এই কলেজে অবস্থিত। ছাত্রীদের স্বনির্ভর করার জন্য এখানে কর্মমুখী কোর্সও পড়ানো হয়। ন্যাকের মূল্যায়ণে কলেজটি বি++ ক্যাটাগরিভুক্ত।
শ্রীনিবাস মিশ্র, প্রবন্ধ পুরুলিয়া জেলার উচ্চশিক্ষা : পশ্চিমবঙ্গ পত্রিকা, পুরুলিয়া জেলা সংখ্যা, জ্যৈষ্ঠ-বৈশাখ, ১৪১৪ (জুন ২০০৭), তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার