ধ্রুপদী ভাষা

১১শ শতকের একটি তালপাতায় নেপালি ভুজমোল লিপিতে ধ্রুপদী ভাষা সংস্কৃতের কিছু লেখা

ধ্রুপদী ভাষা বলতে এমন সব ভাষাকে বোঝায় যেগুলি অত্যন্ত প্রাচীন (আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বা তারও বেশি বছর পুরনো), যাদের একটি বৃহৎ ও অত্যন্ত সমৃদ্ধ প্রাচীন সাহিত্য আছে, এবং যাদের প্রাচীন সাহিত্যের ঐতিহ্যটি অপর কোনো সাহিত্যিক ঐতিহ্যের পরম্পরায় নয়, বরং স্বাধীন ও স্বাবলম্বীভাবে, গড়ে উঠেছিল। []

উপরের সংজ্ঞানুযায়ী সংস্কৃত, তামিল, বাংলা, গ্রিক, লাতিন, চীনা, এবং আরবিকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে গণ্য করা যায়।

বেশির ভাগ ধ্রুপদী ভাষাই বর্তমানে মৃত, এগুলিতে এখন আর কেউ সাহিত্য রচনা করেন না। কিন্তু ধ্রুপদী ভাষাগুলির বিভিন্ন উপাদান বিশ্বের বহু আধুনিক ভাষাতে প্রভাব রেখে চলেছে। বিশ্বের অনেক আধুনিক ভাষা নতুন নতুন শব্দ প্রণয়নের জন্য তাদের নিকটবর্তী ধ্রুপদী ভাষাগুলি থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। যেমন আধুনিক ইউরোপীয় ভাষাগুলি নতুন বৈজ্ঞানিক পরিভাষার জন্য লাতিন ও গ্রিক ভাষা থেকে শব্দখণ্ড ধার নিয়েছে। আধুনিক ভারতীয় ভাষাগুলি একই উদ্দেশ্যে অনেক ক্ষেত্রে সংস্কৃত ভাষা থেকে শব্দখণ্ড ধার নিয়েছে।

তবে, বিশেষ করে ভারতীয় প্রসঙ্গে, অনেক ভাষা আছে যা এখনও সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয় এবং একটি সমৃদ্ধ ও জীবন্ত সাহিত্যিক ঐতিহ্য রয়েছে।

অনেক সময় "ধ্রুপদী" পরিভাষাটি দিয়ে কোন ভাষার সাহিত্যিক স্বর্ণযুগে (সাধারণত বর্তমান থেকে বেশ দূরবর্তী অতীতে অবস্থিত কোন যুগে) ব্যবহৃত ভাষাকে বোঝানো হয়ে থাকে। এ অনুসারে ফার্সি ভাষার তুলনামূলকভাবে আধুনিক (৯ম-১৭শ শতকে রচিত) সাহিত্য ধ্রুপদী ফার্সি সাহিত্য নামে পরিচিত। এটি "ধ্রুপদী" পরিভাষাটির অপেক্ষাকৃত সাধারণীকৃত ব্যবহার।

ভারত সরকার কর্তৃক ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবরে বাংলা ভাষাটিকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়।

তথ্যসূত্র

  1. http://tamil.berkeley.edu/Tamil%20Chair/TamilClassicalLanguage/TamilClassicalLgeLtr.html আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ৬ ডিসেম্বর ২০০২ তারিখে : According to UC Berkeley linguist George L. Hart, [to] qualify as a classical tradition, a language must fit several criteria: it should be ancient, it should be an independent tradition that arose mostly on its own not as an offshoot of another tradition, and it must have a large and extremely rich body of ancient literature.

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!