তিরানার প্রধান মসজিদ (আলবেনীয়: হামিয়া ই মাধে ই তিরানাস) বা নামাজগাহ মসজিদ (আলবেনীয়: Xhamia e Namazgjasë) হলো বর্তমানে আলবেনিয়ার তিরানায় নির্মাণাধীন একটি মসজিদ। নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে এটি বলকান অঞ্চলের বৃহত্তম মসজিদ হবে।[১]
ইতিহাস
১৯৯১ সালে আলবেনিয়ায় কমিউনিজমের পতনের পরে আলবেনীয় মুসলমানরা প্রায়শই বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ করে আসছিলো। ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুটি ক্যাথেড্রাল (ক্যাথলিক এবং পূর্ব অর্থোডক্স) নির্মিত হলেও, আলবেনিয়ার মুসলমানদের তখনও কেন্দ্রীয় মসজিদ ছিল না এবং রাস্তায় প্রার্থনা করতে হচ্ছিল। ১৯৯২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সালি বেরিশা সংসদের অদূরে নামাজগাহ চত্বরের নিকটে একটি মসজিদের নির্মাণের জন্য প্রথম পাথর স্থাপন করেছিলেন। সংসদের স্পিকার, জিতার আরব্নোরি, যিনি নিজে একজন ক্যাথোলিক, এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করার কারণে নির্মাণ কাজটি বিলম্বিত হয়েছিল।[২]
২০১০ সালে তৎকালীন তিরানার মেয়র এডি রামা মসজিদটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।[২]
১৯৬৭ সালে শহরের ২৮ মসজিদ থেকে বর্তমানে ৮টি মসজিদ থাকায় নতুন একটি মসজিদ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হিসেবে বিবেচিত হয়। বর্তমানে তিরানার প্রধান মসজিদ উসমানীয়-যুগের এত'হেম বে মসজিদর ধারণসক্ষমতা মাত্র ৬০ জন হওয়ায় ইসলামী ছুটির দিনে স্কান্দারবেগ স্কয়ারটি মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা পূর্ণ হয়ে যায়। বৃষ্টি শুক্রবারের খুতবা এবং জুমার নামাজ অসম্ভব করে তোলে।[৩]
মসজিদটিতে প্রতিটি ৫০ মিটার উঁচ্চতার চারটি মিনার থাকবে এবং কেন্দ্রীয় গম্বুজটির উচ্চতা ৩০ মিটার হবে। মসজিদের প্রথম তলায় একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং অন্যান্য সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।[৪] আলবেনিয়ার সংসদ ভবনের নিকটবর্তী স্থানে ১০,০০০ বর্গমিটার জায়গায় মসজিদটি নির্মিত হচ্ছে এবং মসজিদের মধ্যে এক সাথে সাড়ে চার হাজার লোকের নামাজ পড়ার ধারণক্ষমতা থাকবে।[৫]
রাষ্ট্রচালিত তুর্কি মুসলিম সংগঠন দিয়ানেত থেকে মসজিদটি নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ এসেছে।[১] ২০১৫ সালে, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের জন্য আলবেনিয়া সফর করেছিলেন।[১]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ