তাবাসসুম |
---|
|
জন্ম | কিরণ বালা সচদেব (১৯৪৪-০৭-০৯)৯ জুলাই ১৯৪৪[১]
|
---|
মৃত্যু | ১৮ নভেম্বর ২০২২(2022-11-18) (বয়স ৭৮)
|
---|
জাতীয়তা | ভারতীয় |
---|
অন্যান্য নাম | বেবি তাবাসসুম |
---|
পেশা | অভিনেত্রী, উপস্থাপক |
---|
কর্মজীবন | ১৯৪৭–২০২২ |
---|
দাম্পত্য সঙ্গী | বিজয় গোভিল |
---|
আত্মীয় | অরুণ গোভিল (দেবর) |
---|
তাবাসসুম (৯ জুলাই ১৯৪৪ – ১৮ নভেম্বর ২০২২; জন্মগতভাবে কিরণ বালা সচদেব নামে পরিচিত) ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং টক শো উপস্থাপক, যিনি ১৯৪৭ সালে শিশু অভিনেত্রী বেবি তাবাসসুম হিসাবে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন। পরে তিনি ভারতের প্রথম টেলিভিশন টক শো-এ উপস্থাপনা করার মাধ্যমে সকলের নজর কেড়েছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানের নাম ছিল ফুল খিলে হ্যায়ঁ গুলশন গুলশন। এটি ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত জাতীয় সম্প্রচারকারী দূরদর্শনে চলেছিল, যেখানে তিনি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। তিনি মঞ্চ অনুষ্ঠানে প্রতিযোগী হিসাবেও কাজ করেছিলেন। তিনি চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, রেডিও এবং ওয়েব চারটি মাধ্যমে কাজ করেছেন।[২]
প্রারম্ভিক জীবন
তাবাসসুম ১৯৪৪ সালের ৯ জুলাই তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে প্রেসিডেন্সির বোম্বে-তে (বর্তমান ভারতের মুম্বই) কিরণ বালা সচদেব নামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা অযোধ্যানাথ সচদেব ছিলেন একজন ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক এবং লেখক এবং তাঁর মা আসগরী বেগম। তাঁর বাবা তাঁর মায়ের ধর্মীয় অনুভূতি মাথায় রেখে তাঁর নাম তাবাসসুম রেখেছিলেন এবং তাঁর মা তাঁর বাবার ধর্মীয় অনুভূতি মাথায় রেখে কিরণ বালা নাম রেখেছিলেন। বিবাহ পূর্ব দলিল অনুসারে তাঁর সরকারী নাম কিরণ বালা সচদেব।[৩]
পেশা
তাবাসসুম শিশু অভিনেত্রী হিসেবে নার্গিস (১৯৪৭)-এর পরে মেরা সুহাগ (১৯৪৭), মাঝঁধার (১৯৪৭) এবং বড় বহেন (১৯৪৯)-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে এসেছিলেন। পরে নীতিন বোস দ্বারা পরিচালিত দিদার (১৯৫১)-এ নার্গিসের শৈশব চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন; জনপ্রিয় গান বচপন কে দিন ভুলা না দেনা (যেটি লতা মঙ্গেশকর এবং শমসাদ বেগম গেয়েছিলেন) তাঁর ওপর চিত্রায়ন করা হয়েছিল।[৪] এছাড়াও, পরের বছর, তিনি বিজয় ভট্ট দ্বারা পরিচালিত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র বৈজু বাওরা (১৯৫২)-তে অভিনয় করেছিলেন, যেখানে তিনি মীনা কুমারীর শৈশব চরিত্রে হাজির হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি জয় মুখার্জি ও আশা পারেখ অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ফির ওহি দিল লায়া হুঁ-তে কাজ করেছিলেন। তিনি 'অজি কিবলা মোহতারমা' নামক একটি গানে অভিনয় করেছিলেন। বেশ কিছু সময় অভিনয় জগত থেকে দূরে থাকার পরে, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে পুনরায় চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেছিলেন এবং নিজেকে একজন চরিত্র অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[৫]
ব্যক্তিগত জীবন
টিভি অভিনেতা অরুণ গোভিলের বড় ভাই বিজয় গোভিলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাদের ছেলে হোশাং গোবিল তিনটি চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন; যেগুলি হল তুম পর হাম কুরবান (১৯৮৫), কার্তুত (১৯৮৭ ) এবং আজীব দাস্তাঁ হ্যায় ইয়ে (১৯৯৬)।[৬]
মৃত্যু
তিনি ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর ৭৮ বছর বয়সে মারা যান।[৭][৮]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ