তলাতল ঘর |
---|
তলাতল ঘরের দৃশ্য, শিবসাগর |
|
|
অবস্থান | শিবসাগর অসম ভারত |
---|
নির্মাণ শুরু | ১৭৫১ |
---|
সম্পূর্ণ | ১৭৬৯ |
---|
গ্রাহক | রাজেশ্বর সিংহ |
---|
|
কাঠামো ব্যবস্থা | ইটা ও বিশেষ প্রকারের স্থানীয় সিমেন্ট |
---|
|
স্থপতি | ঘনশ্যাম |
---|
তলাতল ঘর (অসমীয়া: তলাতল ঘর; ইংরেজি: Talatal Ghar) অসমের শিবসাগরে অবস্থিত আহোম রাজাদের নির্মিত ঐতিহাসিক রাজমহল। মহলটি আহোম স্থাপত্যশিল্পীর অপরুপ ও আশ্চর্য্কর নিদর্শন। এই ঐতিহ্যপূর্ণ রাজমহলটি আহোমরাজা রাজেশ্বর সিংহ (১৯৫১-৫৯ সনে) তার রাজত্বকালে নির্মাণ করেছিলেন। এই রাজপ্রসাদটির কোঠাগুলি সমান্তরাল। এর গঠনে মোগল শিল্পীদের সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। এর প্রত্যেকটি কক্ষ সরু পথ দ্বারা সংযুক্ত। তলাতল ঘরের প্রথম মহলটি উপরদিক উন্মুক্ত ও কোঠাগুলি অসমীয়া গৃহবিন্যাসে সজ্জিত। রাজপ্রসাদের পশ্চিমে আঠকোনবিশিষ্ট মন্দির রয়েছে। তলাতল ঘর আহোম সাম্রাজ্যের স্মৃতিচিহ্ন সমুহের মধ্যে আকারে সর্ববৃহৎ[১]।
ইতিহাস
১৭০২-০৩ সনে আহোম রাজা রুদ্রসিংহ আহোম রাজ্যের রাজধানী গড়গাঁও থেকে রংপুরে স্থানান্তর করেন। প্রায় এক শতিকা রংপুর রাজধানী হিসেবেই ছিল। অঞ্চলটি শিবসাগরের পশ্চিমে অবস্থিত । তলাতল ঘর সর্বপ্রথম রুদ্রসিংহ ১৬৯৮ সনে নির্মাণ করেন[২]।
স্থাপত্য
আহোম রাজা রুদ্রসিংহের মৃত্যুর পর তলাতল ঘরের রুপসজ্জা পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানের তলাতল ঘরটি রাজেশ্বর সিংহের শাসনকালে ১৭৫১-১৭৫৯ সনে পুনরায় সজ্জিত করা হয়।[৩]
তলাতল ঘর সাততলা মহল, তিনটি তলা মাটির নিচে ও চারটি তলা মাটির উপরে অবস্থিত। নিচের তলাগুলি আস্তাবল, ভাড়াল হিসেবে ব্যবহৃত হত। দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত নির্জন মহলটি রানীমহল ছিল বলে অনুমান করা হয়।[৪][৫]
তলাতল ঘরের সহিত সংযুক্ত দুইটি গোপন সুড়ঙ্গ ছিল। তারমধ্যে একটি ৩কি:মি: দীর্ঘ ছিল যা দিখৈ নদীর সহিত সংযুক্ত ছিল। অন্যটি ১৬কি:মি: দীর্ঘ যা কারেং ঘরের সহিত সংযুক্ত ছিল। শত্রুর আক্রমণ থেকে আত্মগোপন করার জন্য তলাতল ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল।[৩]
তথ্যসূত্র