তরল অক্সিজেনের রঙ ফ্যাকাশে নীল এবং এটি শক্তিশালী প্যারাচুম্বক: এটি একটি শক্তিশালী + ইউ-চুম্বকের (অশ্বক্ষুরাকৃতি) দুই মেরুর মাঝে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকতে পারে।[২] তরল অক্সিজেনের ঘনত্ব ১.১৪১ গ্রাম/সেমি৩ (১.১৪১ কেজি/লিটার বা ১১৪১ কেজি/মি৩)। এটি তরল জলের চেয়ে সামান্য ঘন এবং নিম্নতাপীয়। ১০১.৩২৫ কিলো পাস্কাল (৭৬০ মিমি পারদস্তম্ভের চাপ) চাপে এর হিমাঙ্ক ৫৪.৩৬ K (−২১৮.৭৯ °সে; −৩৬১.৮২ °ফা) এবং স্ফুটনাঙ্ক ৯০.১৯ K (−১৮২.৯৬ °সে; −২৯৭.৩৩ °ফা)। তরল অক্সিজেনের সম্প্রসারণ অনুপাত ১:৮৬১, ১ এটিএম[রূপান্তর: অজানা একক] চাপ এবং ২০ °সে (৬৮ °ফা) তাপমাত্রায়,[৩][৪] এবং এই কারণে, এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য পরিবহনযোগ্য অক্সিজেনের উৎস হিসাবে কিছু বাণিজ্যিক এবং সামরিক বিমানগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
তরল অক্সিজেনের নিম্নতাপীয় প্রকৃতির কারণে, যে পদার্থগুলিতে এটি স্পর্শ করা হয়, সেগুলি ভঙ্গুর হয়ে উঠতে পারে। তরল অক্সিজেন একটি খুব শক্তিশালী জারকও: জৈব পদার্থ তরল অক্সিজেনে খুব দ্রুত পুড়ে যায়। উপরন্তু, তরল অক্সিজেনে ভেজানো কিছু উপকরণ, যেমন কয়লা ব্রিকেট, কালো কার্বন, ইত্যাদি যদি অগ্নিসংযোগের উৎস যেমন অগ্নি স্ফুলিঙ্গ বা হালকা ঘা পায়, তাহলে অপ্রত্যাশিতভাবে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। আস্ফাল্ট সহ পেট্রোরাসায়নিক গুলিতে প্রায়ই এই আচরণ দেখা যায়।[৫]
১৯২৪ সালে গিলবার্ট নিউটন লুইস প্রথম চতুঃঅক্সিজেন অণুর (O৪) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তরল অক্সিজেন কেন ক্যুরীর নীতি মেনে চলে না, তা ব্যাখ্যা করার জন্য তিনি এটিকে প্রস্তাব করেছিলেন।[৬] আধুনিক কম্পিউটার দ্বারা পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, যদিও তরল অক্সিজেনে স্থিতিশীল কোন O৪ অণু নেই, কিন্তু তার O২ অণুগুলির প্রতি-সমান্তরাল ঘূর্ণনের সাথে দুটি করে জোট বাঁধার প্রবণতা দেখা যায়, যার ফলে তাৎক্ষণিক O৪ অণু তৈরি হয়।[৭]
তরল নাইট্রোজেনের স্ফুটনাঙ্ক −১৯৬ °সে (৭৭ কেলভিন), এটি অক্সিজেনের স্ফুটনাঙ্ক −১৮৩ °সে (৯০ কেলভিন) এর থেকে অনেকটা কম। তরল নাইট্রোজেনযুক্ত পাত্র বাতাসের অক্সিজেনের ঘনীভবন করতে পারে: যখন নাইট্রোজেনের বেশিরভাগ অংশটি এমন পাত্র থেকে বাষ্প হয়ে যায় তখন ঝুঁকি থাকে যে অবশিষ্ট তরল অক্সিজেন জৈব পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে বিষ্ফোরন ঘটাতে পারে। আবার উল্টো দিকে, তরল নাইট্রোজেন বা তরল বায়ু খোলা বাতাসে রাখলে অক্সিজেন সমৃদ্ধ হতে পারে; বায়ুমণ্ডলীয় অক্সিজেন এতে দ্রবীভূত হয়, অন্যদিকে নাইট্রোজেন বাষ্পীভূত হয়ে যায়
সাধারণ চাপের স্ফুটনাঙ্কে তরল অক্সিজেনের পৃষ্ঠটান ১৩.২ ডাইন/সেমি।[৮]
বিমানবাহিনী তরল অক্সিজেনের ব্যবহারে কৌশলগত গুরুত্বকে দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃতি দিয়েছে, বিকারক এবং হাসপাতালে ও অনেক উচ্চতার বিমান উড়ানে শ্বাস নেওয়ার জন্য বায়বীয় অক্সিজেনের সরবরাহ উভয় হিসাবেই। ১৯৮৫ সালে ইউ.এস. বিমান বাহিনী সমস্ত বড় বিমান ঘাঁটিতে নিজস্ব অক্সিজেন উৎপাদন করার একটি কর্মসূচি শুরু করেছিল।[১০][১১]
স্পেস এক্স: ফ্যালকন ৯, ফ্যালকন হেভি এবং স্টারশিপ (বিকাশাধীন) (তরল অক্সিজেন শীতল করা হয়েছিল ~ ৬৬ K (−২০৭.২ °সে; −৩৪০.৯ °ফা) তাপমাত্রায়, স্ফুটনাঙ্কে যা থাকে তার থেকে ১০% বেশি ঘন)
↑Todd, David (নভেম্বর ২০, ২০১২)। "Musk goes for methane-burning reusable rockets as step to colonise Mars"। FlightGlobal Hyperbola। নভেম্বর ২৮, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২২, ২০১২। ‘We are going to do methane,’ Musk announced as he described his future plans for reusable launch vehicles including those designed to take astronauts to Mars within 15 years, ‘The energy cost of methane is the lowest and it has a slight Isp (Specific Impulse) advantage over Kerosene’ said Musk adding, ‘and it does not have the pain in the ass factor that hydrogen has.’ ... SpaceX's initial plan will be to build a lox/methane rocket for a future upper stage codenamed Raptor. ... The new Raptor upper stage engine is likely to be only the first engine in a series of lox/methane engines.
↑Cryogenics. Scienceclarified.com. Retrieved on 2012-07-22.
Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!