ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়(ইংরেজি: Dibrugarh University;অসমীয়া:ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়) অসমের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৫ সনে অসম বিধানসভার একজন প্রস্তাবিত বিধায়ক দ্বারা এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছিল। [১] অসমের অন্যতম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রুপে বিবেচিত ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্যের জন্য বিভিন্ন বিভাগ থাকা সত্বেও এখানে অভিযান্ত্রীক ও প্রযুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৩৭নং রাষ্ট্রীয় ঘাইপথের দ্বারা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সংযুক্ত করা হয়েছে ।
স্বীকৃতি
ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয় Association of Indian Universities (AIU) এবং Association of Commonwealth Universities (ACU) সদস্য। ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয় National Assessment and Accreditation Council (NAAC), Bangalore দ্বারা মূল্যাঙ্কিত এবং বি. গ্রেড প্রাপ্ত। "বিশ্ববিদ্যালয় অনুদান আয়োগে" ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের "অসমীয়া বিভাগকে Center for Advanced Studies (CAS) হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তদুপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের আঠটি বিভাগকে Special Assistance Programme (SAP) অধীনে DSA এবং DRS মর্যদা দিয়েছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের "পে'ট্রলিয়াম প্রযুক্তিবিদ্যা" বিভাগ ভারত সরকারের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগদ্বারা Center for Relevance and Excellence (CORE) under Technology, Information, Forcasting and Assessment Council (TIFAC) হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
শৈক্ষিক দিক
ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০১-০২ সনে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমে ষান্মাসিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে Choice Based Credit System ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। [২] এই বিশ্ববিদ্যালয় নিজের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন মহাবিদ্যালয়ে ২০১১-১২ সনে স্নাতক পাঠ্যক্রমে ষান্মাসিক পদ্ধতির সুচনা করেছে। বর্তমান ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ অধিক বিষয়ে পি.এচ.ডি করার সুবিধা আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান ১০টি বিষয়ে এম.ফিল করার সুবিধা রয়েছে যথাক্রমে:অসমীয়া, ইংরেজি, রসায়ন বিজ্ঞান,পদার্থ বিজ্ঞান, বাণিজ্য, বুরঞ্জী(ইতিহাস), গণিত, রাজনীতি বিজ্ঞান, সমাজতত্ব এবং পরিসংখ্যান ইত্যাদি।
ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধাসমূহ
গ্রন্থাগার
ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের নাম লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া গ্রন্থাগার । চারতালা য়িশিষ্ট এই গ্রন্থাগারটির আয়তন প্রায় ৩৩৫৭০ বর্গফুট। [৩] এই গ্রন্থগারে বিভিন্ন ধরনের পুস্তক সংগৃহীত রয়েছে তদুপরি আলোচনী পত্রিকা ও খবরের কাগজ রাখা হয়। বর্তমানে গ্রন্থগারের গ্রন্থ আদান-প্রদান করার সুবিধা সম্পূর্নরুপে কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। ২০০৪ সনের ১ম জানুয়ারি থেকে ইন্টারনেট যোগে ৪৭০০টি পত্রিকা পাঠ করার সুবিধা দিয়েছে।
ছাত্রাবাস
পদ্মনাথ গোহাঞি বরুয়া ছাত্রাবাস
মফিজ্জুদ্দিন আহমেদ হাজরিকা ছাত্রাবাস
মনিরাম দেওয়ান ছাত্রাবাস
ড° লীলা গগৈ গবেষক ছাত্রাবাস
বৃত্তিমূলক পাঠ্যক্রমর ছাত্রনিবাস
ছাত্রীনিবাস
জয়মতী ছাত্রীনিবাস
নলিনীবালা দেবী ছাত্রীনিবাস
আইদেউ সন্দিকৈ ছাত্রীনিবাস
নব ছাত্রীনিবাস
বৃত্তিমূলক পাঠ্যক্রমর ছাত্রীনিবাস
বিভিন্ন বিভাগ এবং অধ্যয়ন কেন্দ্রসমূহ
অসমীয়া বিভাগ
অর্থনীতি বিভাগ
শিক্ষাতত্ত্ব বিভাগ
ইংরেজি বিভাগ
বুরঞ্জী বিভাগ
রাজনীতি-বিজ্ঞান বিভাগ
সমাজতত্ত্ব বিভাগ
বাণিজ্য বিভাগ
নৃতত্ত্ব বিভাগ
প্রায়োগিক ভূ-তত্ত্ব বিভাগ
রসায়ন-বিজ্ঞান বিভাগ
জীব-বিজ্ঞান বিভাগ
গণিত বিভাগ
পেট্রলিয়াম প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগ
ভেষজ বিজ্ঞান বিভাগ
পদার্থ-বিজ্ঞান বিভাগ
পরিসংখ্যান বিভাগ
পরিকলন অধ্যয়ন কেন্দ্র
ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন কেন্দ্র
জৈৱ-প্রযুক্তি অধ্যয়ন কেন্দ্র
জৈৱ-তথ্যপ্রযুক্তি অধ্যয়ন কেন্দ্র
গ্রন্থাগার এবং তথ্য বিজ্ঞান অধ্যয়ন কেন্দ্র
চাহ আরু কৃষি অধ্যয়ন কেন্দ্র
ড° ভূপেন হাজরিকা পরিবেশ্য কলা অধ্যয়ন কেন্দ্র
ন্যায়িক অধ্যয়ন কেন্দ্র
ভূগোল অধ্যয়ন কেন্দ্র
সাংবাদিকতা আরু গণ-সংযোগ অধ্যয়ন কেন্দ্র
শারিরীক শিক্ষা অধ্যয়ন কেন্দ্র
গ্রামীণ- বিকাশ অধ্যয়ন কেন্দ্র (অর্থনীতি বিজ্ঞনের অন্তর্গত)
সমাজসেবা অধ্যয়ন কেন্দ্র (সমাজতত্ত্ব বিভাগের অন্তর্গত)
বায়ুমণ্ডল অধ্যয়ন কেন্দ্র (পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অন্তর্গত)
দর্শন অধ্যয়ন কেন্দ্র
আচরণ-বিজ্ঞান অধ্যয়ন কেন্দ্র
ভাষা অধ্যয়ন কেন্দ্র
তথ্যসূত্র
↑"Dibrugarh University"। Dibrugarh.nic.in। ২০১৩-১১-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-২৫।