ডাকটিকিট একখন্ড কাগজ যা ডাক মাসুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নানা বর্ণের এই ডাকটিকিট গুলোতে ফুটে ওঠে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, ইত্যাদি বিষয় ফুটে ওঠে। প্রতিটি দেশের ডাক ব্যবস্থায় ডাকটিকিটের ব্যবহার আছে। তাই প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণ ডাকটিকেট প্রকাশ পায়। বিশেষ বিশেষ দিনকে স্বরন করে রাখার জন্য ডাকটিকিট প্রকাশ করে থাকে ডাক বিভাগ গুলো।
ডাকটিকিট গুলো সাধারণত চারকোনা বা বক্স আকৃতির হয়ে থাকে। তবে ত্রিকোনাকার,গোলাকার,স্টার আকৃতির, সহ বিভিন্ন আকৃতির ডাকটিকিট পাওয়া যায়। ডাকটিকিট গুলো সাধারণত কাগজের তৈরী হয়ে থাকে। কিন্তু কাঠের ফাইবার,সিনথেটিক কাপড় ইত্যাদির ডাকটিকিট ও পাওয়া যায়। অনেক ডাকটিকিটের উপর বিভিন্ন মনিষীর ছবি ছাপা থাকে।
আবিষ্কার
বৃটেনের রোল্যান্ড হিলকে ডাকটিকিটের জনক বলা হয়। ১৮৩৭ সালের কথা, সে সময় প্রেরককে নয় প্রাপককেই ডাক মাশুল দিতে হত। চিঠির পাতার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে ডাক মাশুল নির্ধারিত হত। প্রাপক অনেক সময় বিভিন্ন টালবাহানা করে ডাক মাশুল দিতে চাইতো না। এসব অসুবিধা দূর করতে রোল্যান্ড হিল ডাক বিভাগের সংস্কারে বিভিন্ন প্রস্তাব আনেন, যার অন্যতম ছিল ডাকটিকিটের প্রচলন।
১৮৪০ সালে তাঁর প্রস্তাবানুসারেই প্রাপকের পরিবর্তে প্রেরক কর্তৃক ডাকমাশুল দেবার রীতি প্রবর্তন করা হয়। ওজনের ভিত্তিতে ডাক মাশুল দেবার পদ্ধতিও এ সময় চালু করা হয়।
ইতিহাস
পৃথিবীর প্রথম ডাকটিকিট প্রকাশিত হয় ১৮৪০ সালে। যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত এই ডাকটিকিট দেখতে পুরো কালো রঙের। রঙের কারণে এর নাম হয়েছে ব্লাক আর ডাকটিকিটের মূল্য মান ১পেনির হওয়ায় দুটো মিলে পেনি ব্লাক নাম করন হয়েছে। বৃটেনের রানীর প্রতিকৃতি ছিল সেই ডাকটিকিটে।
ডাকটিকিটের ডিজাইন
ডাকটিকিটের শ্রেণিবিভাগ
সাধারণ ডাকটিকিট
স্মারক ডাকটিকিট
সরকারি ডাকটিকিট
ডাকটিকিট মুদ্রণ প্রক্রিয়া
বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট
স্বধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন অর্থাৎ ১৯৭১ সালের জুলাই মাসের ২৯ তারিখ বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়। এ সময় ৮টি ডাকটিকিট প্রকাশের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের ডাকটিকিট ছাপানো শুরু করে। ডাকটিকিট গুলো প্রকাশিত হয় লন্ডনের ফরম্যাট ইন্টারন্যাশ্নাল সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে। সে সময় মুদ্রিত ডাকটিকিট গুলোর মূল্যমান ছিল ১০পয়সা, ২০পয়সা, ৫০পয়সা, ১.০০টাকা, ২.০০টাকা, ৩.০০টাকা, ৫.০০টাকা, ১০.০০টাকার। এই ডাকটিকিট গুলোর নকশা প্রনয়ন করেন বিমান মল্লিক।