ঝাড়গ্রাম রাজ |
---|
|
|
|
আয়তন | |
---|
• ১৯২২ | ৬৫৫ বর্গকিলোমিটার (২৫৩ বর্গমাইল) |
---|
জনসংখ্যা | |
---|
|
• ১৯২২ | 71350 |
---|
|
ইতিহাস | |
---|
|
• প্রতিষ্ঠিত | ১৫৯২ |
---|
• ভারতের ইউনিয়নে যোগদান | ১৯৫২ |
---|
|
|
বর্তমানে যার অংশ | পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
---|
ঝাড়গ্রাম রাজ হল একটি জমিদারি (সামন্ততান্ত্রিক সাম্রাজ্য), যেটি ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রদেশর (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) অন্তর্গত ছিল। এই জমিদারি ১৬ তম শতাব্দীর পরবর্তী সময়ে শুরু হয়েছিল, যখন আমেরের মান সিংহ বাংলার দেওয়ান/সুবাদার (১৫৯৪-১৬০৬) ছিলেন। বর্তমানে এই জমিদারির রাজধানী ঝাড়গ্রাম জেলার কাছাকাছি অবস্থিত। এই জমিদারেরা রাজপুতদের চৌহান গোত্রের অন্তর্গত ছিলেন এবং রাজপুতানার ফতেহপুর সিকি থেকে এসেছিলেন, কিন্তু নিজেদেরকে ভূমি পুত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন এবং তাদেরকে বাংলা সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক বলে মনে করা হয়। লর্ড কর্নওয়ালিসের পারমেন্ট সেটেলমেন্ট অফ ১৭৯৩-এর পরে ভারতে ব্রিটিশ রাজের অন্তর্গত জমিদারি হওয়ায় ঝাড়গ্রাম রাজ কোন স্বতন্ত্র অঞ্চল ছিল না। যদিও তার মালিক সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ছিলেন, তবু পরিবারটির প্রধানদের সাথে ঝাড়গ্রাম এস্টেট ১৯৪৭ সালে ভারতীয় স্বাধীনতা সময়ে তার ভবিষ্যৎ কর্মের সিদ্ধান্ত নিবারণের স্বাধীনতা সঙ্গে একটি প্রিন্সিপাল স্টেট হিসাবে সংজ্ঞায়িত ছিল না।[১] ভারতের ভাইস-রায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ঝাড়গ্রামকে "প্রিন্সিপাল স্টেট" হিসাবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়, তবে ব্রিটিশরা ভারতকে স্বাধীনতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়নি। (কোচবিহার বাংলায় একমাত্র প্রিন্সিপাল স্টেট এবং বাংলার সীমান্তে ত্রিপুরা একটি প্রিন্সিপাল স্টেট হিসাবে পরিচিত ছিল। পাশাপাশি ওড়িশায় বিশেষ করে ময়ূরভঞ্জ ছিল একটি প্রিন্সিপাল স্টেট।)
ইতিহাস
ঝড়গ্রাম রাজ ১৫৯২ খ্রিষ্টাব্দে মল্লভূম থেকে এসে সর্বেশ্বর মল্ল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজ বংশের পুত্র ও বাগদি রাজা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন ঝাড়গ্রামে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ