জোশ হল ২০১০ সালের একটি ভারতীয় বাংলা ভাষার রোমান্টিক অ্যাকশন চলচ্চিত্র। যার পরিচালনা করেছেন রবি কিনাগী।[৩][৪] প্রযোজনা করেছেন শ্রীকান্ত মোহতা ও শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জিৎ এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এটি ২০০৫ সালে রবি তেজার ব্লকবাস্টার তেলুগু চলচ্চিত্র ভদ্র - এর পুনঃনির্মাণ।[৫][৬]
পটভূমি
ইন্দ্র (জিৎ) এবং রাজীব (অংশুমান) একই কলেজে পড়াশোনা করে এবং ভালো বন্ধু। ইন্দ্র যখন রাজীবের সাথে দেখা করতে শহরে আসে, তখন ইন্দ্র রাজীববের বোন অনুরাধার শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় সাথে আলাপ হয় এবং তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। রাজীব যখন তার গ্রামে যায়, তখন ইন্দ্রও তাঁর সাথে যায়। সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে এসেছে অনু এবং আস্তে আস্তে ইন্দ্রাকে পছন্দ করা শুরু করেছে, সে ইন্দ্রর সাথে তার অনেক মিল খুজে পায়। ইন্দ্রও রাজীব এবং অনুর পরিবারের সাথে ভালো একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠায় এবং নিজেকে প্রমাণ করে সেই অনুর সম্ভাব্য বর। অনুর পরিবার, মূলত তার ভাই এবং খুড়তুত ভাই, তাদের গ্রামের আঞ্চলিক গ্যাংগুলির সাথে জড়িত। একদিন অনু যখন তার ভাই তাপস পালকে না বলে ইন্দ্রের সাথে মন্দিরে যায়, তখন রুদ্রের ভাই নিখিল (ভরত কল) অনুুকে আক্রমণ করে এবং তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, ইন্দ্র থাকায় সে বেলায় বেঁচে যায় অনু।
এই ঘটনার পরে, অনুর ভাই, ইন্দ্রকে গ্রামে কেন এই হিংসাত্মক পরিস্থিতি হয়েছে সেই নিয়ে আলোচনা করে। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে তিনি একটি নামী বিশ্ববিদ্যালয় (পুনে) থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন এবং তাঁর স্ত্রী কীভাবে গণিতে স্নাতক। দুর্ভাগ্যক্রমে, গ্রামের এই অবস্থার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে যদিও তিনি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তার উচ্চ আদর্শে ধরে রাখবেন। কিছু দিন পরে, অত্যন্ত কাপুরুষোচিত এবং বর্বরতার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাং লিডার রুদ্র (পুণিত ইসর) অনু ছাড়া রাজীবের পুর পরিবারকে হত্যা করে। ইন্দ্র অনুর ভাইয়ের কাছে প্রতিশ্রুতি দেয় যে সে অনুুর দায়িত্ব নেবে এবং তাকে বিয়ে করবে। কাকতালীয় ভাবে, ইন্দ্রও রুদ্রের চির শত্রু হয়ে ওঠে, অনুকে রক্ষা করতে গিয়ে সে রুদ্রর ছোট ভাই নিখিলকে হত্যা করে। পরবর্তীকালে, ইন্দ্র ও অনু, ইন্দ্রের বোনের বিয়েতে যোগ দিতে কলকাতায় ফিরে যায়। বিয়ের শেষে ইন্দ্রের এক কাকা অনুকে অপমান করে এবং ইন্দ্রকে ছেড়ে চলে যেতে বলে এবং তাকে অর্থের প্রলভন দেয়। ইন্দ্র তার কাকার প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে এবং প্রতিশ্রুতি দেয় যে যাই হোক না কেন সে অনুকেই বিয়ে করবে। একদিন অনু ও ইন্দ্র খেতে গেলে, রুদ্র তার দলবল নিয়ে আবার ফিরে আসে এবং ইন্দ্র সব কটাকে বেধড়ক মারধর করে, কয়েক মাইল দূর অবধি তাড়া করে। অনুকে পেছনে ফেলে এসেছে বুঝতে পেরে সে ফিরে গেল সে তাকে আর দেখতে পায় না, সে হতাশে ভেঙ্গে পড়ে। তখন তার বাবা তাকে জিজ্ঞাসা করে কী ঘটেছে? সে তার বাবাকে পুর ঘটনাটা খুলে বলে। ছবিটিতে বাকি অংশগুলি দেখে যাবে, কীভাবে ইন্দ্র তার প্রতিশোধ নেয় এবং কি ভাবে গুন্ডাদের হাত থেকে অনুকে বাঁচায়।
অভিনয়
সঙ্গীত
সমস্ত গানের কথা লিখেছেন প্রসেন (প্রসেনজিৎ মুখার্জি), সমীধ মুখার্জি, প্রিয় চট্টোপাধ্যায়; সমস্ত সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন জিৎ গাঙ্গুলী এবং সমীধ - ঋষি।
ট্র্যাক তালিকা
না.
|
শিরোনাম
|
গানের কথা
|
সঙ্গীত
|
গায়ক
|
দৈর্ঘ্য
|
১.
|
"কেনো আজ কাল"
|
সৃজিত মুখোপাধ্যায়
|
জিৎ গাঙ্গুলী
|
নচিকেতা চক্রবর্তী
|
৩:৫৩
|
২.
|
"কেউ মনে মনে"
|
প্রসেন (প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়)
|
জিৎ গাঙ্গুলী
|
শান , মোনালি ঠাকুর , পামেলা জৈন
|
২:১৭
|
৩.
|
"জোশ (টাইটেল ট্র্যাক)"
|
সমীধ মুখোপাধ্যায়
|
সমীধ-ঋষি
|
সমীধ-ঋষি
|
|
৪.
|
"সেক্সি মেই"
|
সমীধ মুখোপাধ্যায়
|
সমীধ-ঋষি
|
সমীধ-ঋষি
|
২:৪৮
|
৫.
|
"খুজেছি তোকে রাত বেরাতে"
|
প্রসেন (প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়)
|
জিৎ গাঙ্গুলী
|
জিৎ গাঙ্গুলী
|
৪:২২
|
৬.
|
"পিরিত করো না"
|
প্রিয় চট্টোপাধ্যায়
|
জিৎ গাঙ্গুলী
|
রানা মজুমদার
|
৩:৫৫
|
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ