জিয়াউর রহমান (১ মে ১৯৭৪ - ৫ জুলাই ২০২৪) ছিলেন গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব বিজয়ী একজন বাংলাদেশী দাবাড়ু। তিনি ২০০৫ সালে বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফিদে রেটিং অর্জন করেছিলেন (২৫৭০, অক্টোবর ২০০৫)।
প্রারম্ভিক জীবন
জিয়াউর রহমান গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতোকোত্তর লাভ করে।
কর্মজীবন
জিয়াউর রহমান চৌদ্দবার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন: ১৯৮৮, ১৯৯৯, ২০০১, ২০০২, ২০০৪, ২০০৫, ২০০৮, ২০০৯, ২০১১, ২০১৪ এবং ২০১৮। তিনি ১৫টি দাবা অলিম্পিয়াডে (১৯৮৬-১৯৮৮, ১৯৯২-২০০৮, ২০১২-২০১৮) বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি তিনবার এশিয়ান টিম চ্যাম্পিয়নশিপেও অংশ নিয়েছিলেন (১৯৮৭, ১৯৯১ এবং ২০০৯)।
জিয়াউর রহমান ১৯৯৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার ও ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন।
জিয়াউর রহমান চারবার দাবা বিশ্বকাপে অংশ নেন। ২০০৭ সালের দাবা বিশ্বকাপে তিনি প্রথম রাউন্ডে দিমিত্রি ইয়াকোভেঙ্কোর কাছে, ২০১১ সালের দাবা বিশ্বকাপে তিনি ম্যাক্সিম ভাচিয়ার-লাগ্রাভের কাছে, ২০১৩ সালের দাবা বিশ্বকাপে তিনি বরিস গেলফান্ডের কাছে এবং ২০১৫ সালের দাবা বিশ্বকাপে তিনি ইয়েভজেনি তোমাশেভস্কির কাছে হেরে যান। জিয়াউর রহমান ২০১৫ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে আয়োজিত এশিয়ান জোন টুর্নামেন্টে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
২০২১ সালে জিয়াউর রহমান ৯ খেলায় ৭.৫ স্কোর করে মুজিব শতবর্ষ আমন্ত্রণমূলক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।[১]
ব্যক্তিগত জীবন
জিয়াউর রহমান লাবণ্য রহমানকে বিয়ে করেন।[২] ২০২২ সালে, জিয়াউর রহমান ৪৪তম দাবা অলিম্পিয়াডে তার ছেলে দাবাড়ু তাহসিন তাজওয়ার জিয়াকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এটিই ছিল জাতীয় দাবা দলে প্রথম পিতা-পুত্র জুটি।[৩]
মৃত্যু
জিয়াউর রহমান ২০২৪ সালের ৫ জুলাই বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডের খেলা খেলছিলেন। বিকাল ৩টার সময় শুরু হওয়া ম্যাচটি খেলতে খেলতে ৫টা ৫২ মিনিটে তিনি হঠাৎ লুটিয়ে পড়েন। পরে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।[৪][৫][৬]
তথ্যসূত্র
আরও পড়ুন
বহিঃসংযোগ
বাংলাদেশী গ্র্যান্ডমাস্টার |
---|
| |