জাতীয় সড়ক ৩৩ |
---|
জাতীয় সড়ক ৩৩ মানচিত্রে লাল রঙে চিহ্নিত |
|
দৈর্ঘ্য | ৪৪৩ কিলোমিটার (২৭৫ মাইল) |
---|
|
পশ্চিম প্রান্ত: | আরোয়াল |
---|
পূর্ব প্রান্ত: | ফারাক্কা |
---|
|
---|
|
রাজ্য | বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ |
---|
প্রাথমিক গন্তব্যস্থল | জেহানাবাদ, বান্ধুগঞ্জ, একাঙ্গারসরাই, বিহারশারিফ, মোকামেহ, লক্ষীসরাই, মুঙ্গের, ভাগলপুর, কাহালগাঁও, সাহেবগঞ্জ, রাজমহল, বারহরওয়া |
---|
|
---|
|
|
|
জাতীয় সড়ক ৩৩ (এনএইচ ৩৩) ভারতের একটি জাতীয় সড়ক। সড়কটি আরোয়াল থেকে ফারাক্কা পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি বিহার ও পশ্চিমবঙ্গকে সংযুক্তকারী একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক।
মহাসড়কটির দৈর্ঘ ৪৪৩ কিমি (২৭৫ মাইল)। এটি বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বিস্তৃত। সড়কটির পশ্চিম প্রান্ত ১৩৯ নং জাতীয় সড়কের সাথে এবং পূর্ব প্রান্ত ১২ নং জাতীয় সড়কের সাথে সংযুক্ত।[১][২]
পথ
বিহার
অরোয়াল শহরে জাতীয় সড়ক ১৩৯ এর থেকে জাতীয় সড়ক ৩৩ শুরু হয়, এটি মহাসড়কটির পশ্চিম প্রান্ত। অরোয়াল থেকে সড়কটি পূর্বমুখী হয়ে কিঞ্জার অতিক্রম করে জেহানাবাদ শহর পর্যন্ত বিস্তৃত। জেহানাবাহ শহরে সড়কটি জাতীয় সড়ক ২২-এর সাথে যুক্ত হয়। সংযুক্ত স্থান থেকে কিছুটা উত্তরে জেহানাবাদ শহরে জাতীয় সড়ক ২২-এর থেকে পুনরায় জাতীয় সড়ক ৩৩ শুরু হয় এবং পূর্বমুখী হয়ে বিহার শরীফ পর্যন্ত বিস্তৃত। বিহার শরীফে মহাসড়কটি পচানী নদী অতিক্রম করে। এর পরে সড়কটি বিহার শরীফে জাতীয় সড়ক ৩৩ এবং জাতীয় সড়ক ২০ পরস্পর পরস্পরকে অতিক্রম করে। এর পর সড়কটি পূর্বমুখী হয়ে বরবীঘা পর্যন্ত বিস্তৃত। বিহার শরীফ ও বরবীঘার মধ্যবর্তী অংশে সড়কটি সাক্রি নদীকে অতিক্রম করে। বরবীঘায় সড়কটির পার্শ্ব শাখা সড়ক জাতীয় সড়ক ৩৩৩এ শুরু হয়। বরবীঘা থেকে সড়কি উত্তরমুখী হয়ে মকামায় জাতীয় সড়ক ৩১ এর সাথে যুক্ত হয়। পর পরে রাজেন্দ্র সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে জাতীয় সড়ক ৩১-এর থেকে পুনরায় জাতীয় সড়ক ৩৩ শুরু হয়। সড়কটি গঙ্গার দক্ষিণ তীর বরাবর মুঙ্গের হয়ে ভাগলপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। মুঙ্গের শহরের কাছে বাড়িয়ারপুর থেকে জাতীয় সড়ক ৩৩ এর পার্শ্ব শাখা সড়ক জাতীয় সড়ক ৩৩৩ শুরু হয় এবং ভাগলপুরে জাতীয় সড়ক ৩৩৩বি শুরু হয়। ভাগলপুর থেকে সড়কটি পূর্বমুখী হয়ে কাহেলগাঁ হয়ে বিহার-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। বিহার-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কিছু আগে পীরপাইয়েন্তির কাছে সড়কটির পার্শ্ব শাখা সড়ক জাতীয় সড়ক ১৩৩ শুরু হয়।
ঝাড়খণ্ড
সড়কটি বিহার-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত থেকে পূর্বমুখী হয়ে সাহেবগঞ্জ শহর পর্যন্ত বিস্তৃত। সাহেবগঞ্জ শহরে মহাসড়কটির সাথে ১৮ নং রাজ্য সড়ক যুক্ত হয়। সাহেবগঞ্জ থেকে সড়কটি গঙ্গা নদীর পশ্চিম তীর বরাবর রাজমহল শহর পর্যন্ত বিস্তৃত। রাজমহল থেকে সড়কটি দক্ষিণমুখী হবে অগ্রসর হয় এবং তলবনা অতিক্রম করে বারহারবা পৌচ্ছায়। বারহারবা থেকে সড়কটি পূর্বমুখী হয়ে ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।
পশ্চিমবঙ্গ
ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে বেওয়া সেতু দ্বারা নদী অতিক্রম করে সড়কটি পশ্চিমবঙ্গের বেওয়া গ্রামে প্রবেশ করে। সড়কটি দক্ষিণে প্রসারিত হয় এবং দুক্ষা মোড় থেকে পূর্ব দিকে ফিডার খালের পশ্চিম তীর পর্যন্ত প্রসারিত। এর পরে সড়কটি ফিডার খালের পশ্চিম তীর বরাবর দক্ষিণ দিকে ফারাক্কা রেল সেতু পর্যন্ত অগ্রসর হয়। সড়কটি ফারাক্কা রেল সেতু দ্বারা ফিডার খাল অতিক্রম করে ফারাক্কা শহরে জাতীয় সড়ক ১২-এর সাথে যুক্ত হয়।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ