জয়শ্রী তালপাদে |
---|
২০১৩ সালে জয়শ্রী তালপাদে |
জন্ম | জয়শ্রী তালপাদে ১৯৫৩ |
---|
পেশা | অভিনেত্রী |
---|
কর্মজীবন | ১৯৬৮-বর্তমান |
---|
দাম্পত্য সঙ্গী | জয় প্রকাশ |
---|
আত্মীয় | শ্রেয়াস তালপাদে মীনা তালপাদে |
---|
জয়শ্রী তালপাদে (জন্ম: ১৯৫৩) হলেন একজন মারাঠি অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী, যিনি বলিউডের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি এবং বেশ কিছু মারাঠি চলচ্চিত্রে কাজ করেন।
পেশা
জয়শ্রী তালপাদে ১৯৫৮ সালেগুঞ্জ উঠি শেহনাই-এ মাত্র ৫ বছর বয়সে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন।[১] তিনি চলচ্চিত্রের আইটেম নৃত্য পরিবেশন করা শুরু করার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি একজন প্রশিক্ষিত কত্থক নৃত্যশিল্পী। অতঃপর তিনি সঙ্গীত সম্রাট তানসেন, জমিন কে তারে (১৯৬০) এবং পেয়ার কি পেয়াস (১৯৬১)-এর একজন শিশু শিল্পী হিসাবে কাজ করার মাধ্যমে সকলের নজর কেড়েছিলেন। তাঁর মতে, গোপী কিশান নামে একজন ব্যক্তি তাঁর নৃত্য দেখে তাঁর প্রশংসা করেছিলেন।[২] তাঁর জীবনের প্রথম দিকে তিনি একজন ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ভাগ্যের হস্তক্ষেপে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক অমিত বসুর চলচ্চিত্রে একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করা শুরু করেছিলেন। তিনি অমিত বসু দ্বারা পরিচালিত ১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অভিলাষা নামক চলচ্চিত্রে একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলেন। নৃত্য পরিচালক হরমেন্দর তাঁকে এই চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এর পরে, তিনি ১৯৭০-এর দশক এবং ১৯৮০-এর দশকে ৫০০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে করেছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে খলনায়িকা সুলভ-কমেডি এবং সহানুভূতিশীল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। জয়শ্রী বাংলা, তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, কন্নড়, মারওয়ারী, রাজস্থানী, ইংরেজি, সিন্ধি, আসামি, ভোজপুরি, ওড়িয়া, হরিয়ানি, গরিয়ালি, নেপালি, পাঞ্জাবি, মারাঠি এবং গুজরাতি সহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
২০১২ সালে গোয়ালিয়রের প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি গানের শুটিংয়ের সময় তাঁর সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে জয়শ্রী বলেছিলেন যে: "আমরা কাওয়াল ভবানী কি (১৯৮১)-এর জন্য গোয়ালিয়রের এই প্রত্যন্ত স্থানে শুটিং করছিলাম।[৩] উক্ত চলচ্চিত্রে যোগিতা বালি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। শুটিংয়ের স্থলে আমি লক্ষ্য করলাম প্রচুর পুলিশকর্মী। কয়েকজন অফিসার আমার কাছে এসে বলেছিল যে আমি যেন শুটিং না করে বোম্বেতে চলে যাই। আমি পরক্ষণে জিজ্ঞাসা করলাম "কিন্তু কেন?", জবাব অফিসার বলেছিলেন "ম্যাডাম, আমরা খবর পেয়েছি যে এই অঞ্চলের ডাকাতরা আপনাকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করছে। তারা আপনার সম্পর্কে বেশ উন্মাদ বলে আমাদের মনে হয়"। আমি অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছিলাম! চারপাশে যোগিতা এবং নাজনীনের মতো সুন্দর মেয়েরা থাকতে আমাকেই কেন তারা লক্ষ্য করেছিল!" অতঃপর উক্ত গানটির শুটিং ফিল্ম সিটিতে করা হয়েছিল।[৪]
পুরস্কার ও সম্মাননা
তিনি সারা বিশ্বের মঞ্চে মোহাম্মদ রফি, মান্না দে, মুকেশ এবং আশা ভোঁসলের মত তারকাদের সাথে প্রদর্শন করেছেন। তিনি একজন শীর্ষস্থানীয় নারী হিসাবে মারাঠি চলচ্চিত্রের জন্য মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের থেকে ২টি পুরস্কার, গুজরাত রাজ্য সরকারের থেকে ৩টি পুরস্কার, হায়দরাবাদ পুরস্কার, দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের ৬টি লায়ন্স ক্লাব পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ভোজপুরি চলচ্চিত্র এবং গুজরাতি চলচ্চিত্রের জন্য আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ