চৌধুরী আবদুল হাই

অ্যাডভোকেট
চৌধুরী আবদুল হাই
হবিগঞ্জ-৩ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মে ১৯৮৬ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৮৭
পূর্বসূরীআসন শুরু
উত্তরসূরীমুবিন চৌধুরী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1939-03-21) ২১ মার্চ ১৯৩৯ (বয়স ৮৫)
বড় বহুলা গ্রাম, গোপায়া, হবিগঞ্জ
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি
অন্যান্য
রাজনৈতিক দল
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী)
সন্তান
পিতামাতাচৌধুরী আব্দুল গণি (পিতা)
আছিয়া খাতুন (মাতা)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বৃন্দাবন কলেজ
হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
পেশারাজনীতিবিদ, আইনজীবী

চৌধুরী আবদুল হাই (জন্ম: ২১ মার্চ ১৯৩৯) হলেন বাংলাদেশের একজন আইনজীবী, ভাষা আন্দোলন কর্মী, মুক্তিযুদ্ধারাজনীতিবিদ। তিনি হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[][][]

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

চৌধুরী আবদুল হাই ২১ মার্চ ১৯৩৯ সালে হবিগঞ্জের গোপায়া ইউনিয়নের বড় বহুলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[] তার পিতার নাম চৌধুরী আব্দুল গণি ও মাতার নাম আছিয়া খাতুন।[][] ৫ ভাইয়ের মাঝে তিনি তৃতীয়।[][]

হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে মেট্রিকুলেশন পাস করে ১৯৫৬ সালে আইএ ও ১৯৫৮ সালে বিএ পাস করেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজ থেকে। এরপর ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ডিগ্রী লাভ করেন।[]

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন

চৌধুরী আবদুল হাই কর্মজীবন শুরু করেন পাকিস্তান সরকারের আমলে কুমিল্লায় মুন্সেফ হিসেবে।[]

তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।[]

১৯৬৩ সালে বার কাউন্সিলে ও ১১ জানুয়ারি ১৯৬৩ হবিগঞ্জ জেলার আইনজীবী সমিতিতে এন রোলড হন।[][]

১৯৬৫ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করে ভাসানী ন্যাপের হবিগঞ্জ মহকুমার সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন।[]

তিনি ১৯৬৭ সালে মোজাফফরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগদান করে বিগঞ্জ মহকুমার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।[]

মুক্তিযুদ্ধের সময় ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনীর অন্যতম সংগঠক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।[] মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকসেনাদের হাতে তিনি তিনদিন বন্দি ছিলেন।[]

তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোজাফফরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য মনোনীত হন।[][][][]

সর্বশেষ ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে মোজাফফরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী হিসেবে কুঁড়েঘর প্রতীকে হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে লড়ে জাতীয় পার্টির মুবিন চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।[]

১৯৯৬ সালে প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।[]

পারিবারিক জীবন

চৌধুরী আবদুল হাই বিবাহিত। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে আমেরিকা প্রবাসী। তার বড় ভাই এ বি চৌধুরী তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিভিউশনের মহা-ব্যাবস্থাপক ছিলেন।[]

তথ্যসূত্র

  1. সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন (৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "একটি শান্তিপ্রিয় দেশ চান ভাষাসৈনিক চৌধুরী আব্দুল হাই"জাগোনিউজ২৪.কম। ২১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২৪ 
  2. "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "একজন আলোকিত মানুষ"রাইজিংবিডি.কম। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫। ২১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২৪ 
  4. "চৌধুরী আব্দুল হাইকে আইনজীবী সমিতির দেয়া সংবর্ধনা সভায় বিচারপতি সৈয়দ দস্তগীর হোসেন- বার এবং বেঞ্চ একে অপরের সমন্বয়ে কাজ করলে মানুষ ন্যায় বিচার পাবে"দৈনিক হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস। ১৭ মার্চ ২০১৪। ২১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২৪ 
  5. "এডভোকেট প্রোফাইল, চৌধুরী আব্দুল হাই, সদস্য আইডি : ১০০১"জেলা এডভোকেট সমিতি, হবিগঞ্জ। ২১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০২৪ 
  6. "আ'লীগের দখলমুক্ত করতে মরিয়া বিএনপি ও জাপা"সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৮ 
  7. "চৌধুরী আবদুল হাই"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৮ 

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!