চৌধুরী আবদুল হাই (জন্ম: ২১ মার্চ ১৯৩৯) হলেন বাংলাদেশের একজন আইনজীবী, ভাষা আন্দোলন কর্মী, মুক্তিযুদ্ধা ও রাজনীতিবিদ। তিনি হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১][২][৩]
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
চৌধুরী আবদুল হাই ২১ মার্চ ১৯৩৯ সালে হবিগঞ্জের গোপায়া ইউনিয়নের বড় বহুলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার পিতার নাম চৌধুরী আব্দুল গণি ও মাতার নাম আছিয়া খাতুন।[৪][৩] ৫ ভাইয়ের মাঝে তিনি তৃতীয়।[১][৫]
হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে মেট্রিকুলেশন পাস করে ১৯৫৬ সালে আইএ ও ১৯৫৮ সালে বিএ পাস করেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজ থেকে। এরপর ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ডিগ্রী লাভ করেন।[১]
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
চৌধুরী আবদুল হাই কর্মজীবন শুরু করেন পাকিস্তান সরকারের আমলে কুমিল্লায় মুন্সেফ হিসেবে।[১]
তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।[৩]
১৯৬৩ সালে বার কাউন্সিলে ও ১১ জানুয়ারি ১৯৬৩ হবিগঞ্জ জেলার আইনজীবী সমিতিতে এন রোলড হন।[১][৩]
১৯৬৫ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করে ভাসানী ন্যাপের হবিগঞ্জ মহকুমার সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
তিনি ১৯৬৭ সালে মোজাফফরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগদান করে বিগঞ্জ মহকুমার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
মুক্তিযুদ্ধের সময় ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনীর অন্যতম সংগঠক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।[১] মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকসেনাদের হাতে তিনি তিনদিন বন্দি ছিলেন।[৩]
তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোজাফফরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য মনোনীত হন।[২][৬][১][৩]
সর্বশেষ ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে মোজাফফরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী হিসেবে কুঁড়েঘর প্রতীকে হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে লড়ে জাতীয় পার্টির মুবিন চৌধুরীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।[৭]
১৯৯৬ সালে প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।[৩]
পারিবারিক জীবন
চৌধুরী আবদুল হাই বিবাহিত। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে আমেরিকা প্রবাসী। তার বড় ভাই এ বি চৌধুরী তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিভিউশনের মহা-ব্যাবস্থাপক ছিলেন।[১]
তথ্যসূত্র