চান্দা[১] (বৈজ্ঞানিক নাম: Papilio helenus (Linnaeus)) এক প্রজাতির বড় আকারের প্রজাপতি, যার মূল শরীরটা কালো বর্ণের এবং ডানায় চাঁদের আকৃতির সাদা অথবা ফিকে হলুদ রঙের নকশা দেখা যায়। এরা ‘প্যাপিলিওনিডি’ পরিবারের এবং 'প্যাপিলিওনিনি' উপগোত্রের সদস্য।
উপপ্রজাতি
চান্দা প্রজাপতিদের ১৩টি উপপ্রজাতি দেখা যায়। তার মধ্যে দুটি উপপ্রজাতি ভারতে দেখা যায়ঃ
প্রসারিত অবস্থায় চান্দার ডানার আকার ১০০-১২০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়।[২]
বিস্তার
সাধারণত এই জাতীয় প্রজাপতিটি ভারতের নীলগিরি, মালাবার অঞ্চল, হিমালয় সন্নিহিত অঞ্চল (উত্তরাঞ্চল থেকে অরুণাচল প্রদেশ) এছাড়া সিকিমএ ২১০০ মিটার উচ্চতা অবধি এদের দেখা যায়।[৩] ভারতের বাইরে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা থেকে মালয় এবং চিন পর্যন্ত এদের বিস্তার।[৪] এরা পাহাড়ি অঞ্চল এবং ঘন জঙ্গলের প্রজাপতি। যে সব অঞ্চলে ভারী বর্ষা হয় সেখানে এদের পাওয়া যায়।
বর্ণনা
এই প্রজাপতির ডানার উভয় দিকই কালো বা বাদামি ছোঁয়া কালো বর্ণের হয়।[৫] পিছনের ডানার মাঝামাঝি সাদা অথবা ফিকে হলুদ রঙের একটা বড় চাঁদ আকৃতির নকশা দেখা যায়। ডানার নিচের কোণে কয়েকটা লাল রঙের বেড় থাকে আর তার ভেতরে কালো। পিছনের ডানায় বেশ লম্বা পুচ্ছ আছে। এরা ওড়ে খুব দ্রুত বেগে তবে মাটি থেকে বেশি উঁচুতে নয়।[৬]
আচরণ
অনেক সময় একসঙ্গে অনেকে মিলে আবার অন্যান্য প্রজাতিদের সাথে একসাথে দল বেঁধে জলপান করতে দেখা যায়। এরা সাধারণত বেশি বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলের জঙ্গলে দেখা যায়। চান্দা দ্রুত ও শক্তিশালী উড়ান দিতে সক্ষম। এরা খুব বেশি উঁচুতে ওড়ে না। বাগানের ফুলে বসে মধু খেতে এদের প্রায়ই দেখা যায়।[৭]
বৈশিষ্ট্য
ডিম
চান্দার ডিম গোলাকার এবং কমলা রঙের হয় এতে লালচে বাদামি বর্ণের ছিট দেখা যায়। মাটি থেকে ১০-১২ ফুট উঁচুতে এবং একটু ছায়ার আড়ালে থাকা পাতায় ডিম পাড়ে।
শূককীট
শূককীট গুলি লম্বাটে এবং উজ্জবল ঘন সবুজ বর্ণের হয়।এদের চতুর্থ দেহখন্ডের উপর দিকে কালো সুতোর মতো বিনুনি দেখা যায়। শূককীট পাতার ওপর-পিঠে বা সরু প্রশাখার ওপর বসে বিশ্রাম করে।