চাঙ্গি সৈকত উদ্যান (চাইনিজ: 樟宜 海滨 公园, মালে: তামান পান্তাই চাঙ্গি, তামিল: சாங்கி கடலோர பூங்கா) একটি সৈকত উদ্যান, যা সিঙ্গাপুরের পূর্বাঞ্চলের চাঙ্গির উত্তর প্রান্তে অবস্থিত।
২৮ হেক্টর সৈকত উদ্যানটি সিঙ্গাপুরের প্রাচীনতম উপকূলীয় উদ্যানগুলির মধ্যে একটি, ১৯৬০ এবং ৭০-এর দশকের "কমপুং" বা গ্রামের পরিবেশকে ধরে রেখেছে। উদ্যানটি প্রায় ৩.৩ কিমি বিস্তৃত ও বালুকাময়, চাঙ্গি পয়েন্ট এবং চাঙ্গি ফেরি রোডের মধ্যে অবস্থিত।
ইতিহাস
চাঙ্গি সৈকত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিঙ্গাপুরে জাপানীদের দখলদারিত্বের সময় জাপানীয় ইম্পেরিয়াল সেনাবাহিনীর জন্য সুক চিং গণহত্যার অন্যতম স্থান হিসাবে কাজ করেছিল, যেখানে ১৯৪২ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি জাপানি হোজো কেম্পেই সমুদ্র সৈকতে চীনের ৬৬ জন নাগরিককে হত্যা করা হয়েছিল।
সিঙ্গাপুরের পূর্ব অংশের চাঙ্গি সৈকত উদ্যানে (ক্যাম্প সাইট ২-এর নিকটে) যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের ফলক স্থাপন করা হয়েছিল। স্মৃতিস্তম্ভের ফলকে শিলালিপিতে লেখা ছিল:
''১৯৪২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চাঙ্গি সৈকতের এই প্রান্তে জলের ধারে গুলি চালিয়ে জাপানি 'হোজো কেম্পেই' (সহায়তাকারী সামরিক পুলিশ) গুলি চালিয়ে ৬৬ জন বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল।
এরা ছিল ১৯৪২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চের মধ্যে সিঙ্গাপুরের চীনা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সন্দেহভাজন জাপানী বিরোধী। বেসামরিক লোকদের রক্ষা করতে জাপানিজ সুক চিং অভিযানের সময় প্রাণ হারানো কয়েক হাজার মানুষ।
তানাহ মেরাহ বেসার সৈকতের, কয়েকশো মিটার দক্ষিণে (বর্তমানে সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর রানওয়ের অংশ) বেশিরভাগ ব্যবহৃত হত্যার একটি ক্ষেত্র ছিল যেখানে এক হাজারেরও বেশি চীনা পুরুষ ও যুবক প্রাণ হারিয়েছিল।''
— জাতীয় ঐতিহ্য বোর্ড।[১]
বর্তমান
চাঙ্গি সৈকত উদ্যান পরিবারিক পিকনিকে বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে স্থানীয়দের মাঝে ঘুরা ফিরার একটি জনপ্রিয় জায়গা। কিছু লোক মাছ ধরতে, ড্রোন বিমানগুলো দেখে, জগিং করে এবং এখানে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত উপভোগ করে। উদ্যানের পূর্ব প্রান্তের এসএএফ চাঙ্গি ফেরি টার্মিনাল থেকে সূর্যোদয় দেখা যায় এবং চাঙ্গি পয়েন্ট থেকে সূর্যাস্তগুলো দেখা যায়। বারবিকিউ পার্টি, ক্যাম্পিং এবং জলক্রীড়া এসব এখানকার সাধারণ ক্রিয়াকলাপ। এছাড়াও, নিকটস্থ বিস্ট্রো@চাঙ্গিতে সামুদ্রিক খাবারের জন্য, বা চাঙ্গি ভিলেজে বিভিন্ন খাবারের বিকল্পের জন্য খাদ্যপ্রেমীরা চাঙ্গি সৈকতে যান।
সু্যোগ - সুবিধা
- বারবিকিউ পিটস, ফিটনেস কর্ণার/স্টেশন এবং ফিটনেস সরঞ্জাম/এক্সারসাইজ স্টেশন
- খেলার মাঠ
- বিশ্রামাগার/টয়লেট সহ বা ছাড়া গোসল করার ব্যবস্থা
সিহর্স মনিটরিং প্রকল্প
২০০৯ সালের মে থেকে, জাতীয় জীববৈচিত্র্য কেন্দ্রটি জাতীয় উদ্যান বোর্ডের স্বেচ্ছাসেবক এবং ওয়াইল্ড সিঙ্গাপুর এবং টিমসিগ্রাসের মতো গোষ্ঠীর সমন্বয়ে চাঙ্গিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সিহর্স (হিপ্পোক্যাম্পাস কুদা ) এবং পাইপফিশ (সিঙ্গনাথয়েডস বায়াকুলিয়টাস ) চিহ্নিতকরণ ও এদের সংখ্যা পর্যবেক্ষণের জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে একটি প্রকল্প শুরু করে। সংগৃহীত ডেটা এদের সংখ্যা, বৃদ্ধির হার এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থলে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করবে।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ Modder, "Changi Beach Massacre", p. 69.
বহিঃসংযোগ
|
---|
শিল্প ও ঐতিহ্য | | |
---|
উপকূলীয় | |
---|
সাম্প্রদায়িক | |
---|
সামুদ্রিক | |
---|
প্রাকৃতিক | |
---|
প্রাকৃতিক আধার | |
---|
সমুদ্র তীরবর্তী | |
---|
নদী তীরবর্তী | |
---|
সিঙ্গাপুর বোটানিক গার্ডেন | |
---|
দক্ষিণ রিজেজ | |
---|
ইকো-লিংক | |
---|
বিলুপ্ত | |
---|