সাধারণ তাপমাত্রায় যেসব পদার্থ বায়বীয় অবস্থায় থাকে তাদেরকে গ্যাস বলা হয়। এটি সাধারণভাবে পদার্থের একটি ত্রিমাত্রিক অবস্থা হিসেবেই গণ্য হয়। উপরন্তু এটি পদার্থের একটি ভৌত অবস্থা মাত্র, কারণ চাপ বাড়িয়ে এবং তাপমাত্রা কমিয়ে একে তরলে এবং পরবর্তিতে কঠিনেও পরিণত করা যায়।[১] গ্যাসের উদাহরণ হল :- H2, N2, O2, CO2 ইত্যাদি।
বৈশিষ্ট্য
বিভিন্ন গ্যাসের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্ভার থাকলেও সকল গ্যাসের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো হল -
গ্যাসের ঘনত্ব কম এবং সংকোচন ক্ষমতা (Compressibility) উচ্চ। এ কারণে গ্যাসকে অল্প চাপ প্রয়োগের মাধ্যমেই অনেক সংকুচিত করা যায়।
গ্যাসের সম্প্রসারণ ক্ষমতা (Expansibility) খুবই বেশি। যেকোন পাত্রে গ্যাস রাখলে তা অতি দ্রুত সমস্ত পাত্রে ছড়িয়ে পড়ে।
গ্যাসের ব্যাপন ক্ষমতা অত্যধিক। দুই বা ততোধিক গ্যাস পরস্পরের মধ্যে অতি দ্রুত পরিব্যপ্ত হয়ে সমসত্ত্ব মিশ্রণ তৈরি করে।
সকল গ্যাসই সেটিকে যে পাত্রে রাখা হয় তার দেয়ালে সমানভাবে চাপ প্রয়োগ করে।
কঠিন ও তরল পদার্থের তুলনায় গ্যাসের আপেক্ষিক আয়তন অনেক বেশি। গ্যাসের অণুগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক স্থান যথেষ্ট বেশি থাকে এবং এদের অণুগুলোর মধ্যেকার আন্তঃআণবিক বল নেই বললেই চলে।
চাপ এবং আয়তন
পাত্রের দেয়ালের প্রতি একক ক্ষেত্রফলের উপর গ্যাসীয় অণুগুলোর প্রযুক্ত বলকে গ্যাসের চাপ বলে। এই চাপের ধর্ম এবং একক সাধারণ চাপের মতই। তবে এই ক্ষেত্রে বায়ুমন্ডলীয় চাপ এককটি বেশ ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। গ্যাসের চাপ প্রকাশে ব্যবহৃত বিভিন্ন এককগুলো হচ্ছে :-
পাত্রস্থিত গ্যাসীয় অনুসমূহের স্বাধীনভাবে চলাচলের মাধ্যমে দখলীকৃত সর্বমোট স্থান অর্থাৎ অণুগুলো কর্তৃক দখলকৃত জায়গাকেই গ্যাসের আয়তন বলে। গ্যাসের কোন নির্দিষ্ট আয়তন নেই। এ কারণে গ্যাস যে পাত্রে অবস্থান করে সেই পাত্রের আয়তনকেই গ্যাসের আয়তন ধরা হয়।