১৯৮৩–৮৪ মৌসুমে, বাংলাদেশী ক্লাব বাসাবোর হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি ৩ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন। অতঃপর ১৯৮৭–৮৮ মৌসুমে তিনি ফকিরেরপুলে যোগদান করেছিলেন। ফকিরেরপুলে ৩ মৌসুম অতিবাহিত করার পর ওয়ারীর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি ফকিরেরপুল এবং আরামবাগের হয়ে খেলেছিলেন। সর্বশেষ ২০০১–০২ মৌসুমে, তিনি আরামবাগ হতে বিআরটিসিতে যোগদান করেছিলেন; বিআরটিসির হয়ে মাত্র ১ মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন।
ম্যানেজারিয়াল ক্যারিয়ার
১৯৯৩ সালে, ছোটন বাংলাদেশী ফুটবল ক্লাব টিএন্ডটির ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে ম্যানেজার হিসেবে ফুটবল জগতে অভিষেক করেন। টিএন্ডটির হয়ে মাত্র ১ মৌসুম ম্যানেজারের দায়িত্ব ছাড়ার পর ১৯৯৬–৯৭ মৌসুমে তিনি পুনরায় টিএন্ডটির ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, দ্বিতীয় বার তিনি টিএন্ডটির ম্যানেজার হিসেবে প্রায় ১০ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন। অতঃপর তিনি দিপালীতে ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা দলের ম্যানেজারের দায়িত্বের পাশাপাশি বাংলাদেশ মহিলা অনূর্ধ্ব-২০ দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।[৬] পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ মহিলা অনূর্ধ্ব-১৪ এবং বাংলাদেশ মহিলা অনূর্ধ্ব-১৭ দলের ও ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ম্যানেজার হিসেবে, ছোটন এপর্যন্ত ৭টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৮ সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০২২ সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় অন্যতম।[৭][৮] ২০২৩ সালের ২৬ মে, গোলাম রব্বানী ছোটন চমকপ্রদ খবর নিয়ে এসেছিলেন কারণ তিনি মে মাসের শেষে মহিলা দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।[৯][১০] এরপর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফুটবল দলের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব নেন।[১১]
প্রারম্ভিক জীবন
গোলাম রব্বানী ছোটন ১৯৬৮ সালের ২রা জুলাই তারিখে বাংলাদেশেরবগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তার শৈশব সেখানে অতিবাহিত করেছেন।