গেয়র্গ ডে হেভেসি ১ আগস্ট ১৮৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন | তিনি একজন হাঙ্গেরিয়ান রেডিও-কেমিস্ট | তিনি তেজস্ক্রিয় ট্রেসার রাসায়নিক প্রক্রিয়াকরণ যেমন প্রাণীর বিপাকীয় বিষয়গুলি অধ্যয়ন করার ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পালন করেন | তিনি কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৪৩ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।তিনি হাফনিয়াম সূত্রটি আবিষ্কার করে ছিলেন,তার ফলে তিনি রসায়নবিজ্ঞানে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন | [১][২][৩][৪][৫][৬]
জীবনী
শুরুর বছর
হেভেসি গেয়র্গ জন্মগ্রহণ করেছিলেন হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে শহরে | তিনি ছিলেন হাঙ্গেরীয়-ইহুদি বংশোদ্ভূত একটি ধনী পরিবারে সন্তান,[৭] তার বাবা-মা লাজোস বিস্কিটজ এবং ব্যারনেস ইউগানিয়া (জেনি) শোসবার্গারের ("দে টর্নিয়া" নামেও পরিচিত) আট সন্তানের মধ্যে পঞ্চম সন্তান হল গেয়র্গ ডে হেভেসি । বুদাপেস্টে ,১৯০৩ সালে হেভেসি পাইরিস্তা গিমেনজিয়াম থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন এবং তিনি সেখানেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। ১৯০৪ সালে পরিবারের দেওয়ার নাম পাল্টে নিজেই নিজের নাম রাখেন হভেসি-বিস্কিটস থেকে হেভেসি রাখেন ।
ডি হেভেসি রসায়নের পড়াশোনা করতে শুরু করেছিলেন বুদাপেস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরের জন্য এবং মাসখানেক বার্লিনের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন | পরে তিনি স্থানান্তরিত হয় ফ্রিবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে । সেখানে তিনি লুডভিগ গ্যাটারম্যানের সাথে দেখা করেন এবং তিনি ১৯০৬ সালে তিনি পিএইচডি করতে শুরু করেন। ১৯০৮ সালে জর্জি ফ্রানজ জুলিয়াস মেয়ারের সাথে থিসিস লিখেন, এবং সেই সালেই পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। ১৯০৮ সালে হেভেসিকে সুইজারল্যান্ডের ইটিএইচ জুরিখের পদে প্রস্তাব দিলেও তিনি গবেষণার পথকেই বেছে নিয়েছিলেন। পরে তিনি জার্মানির কার্লসরুহে ফ্রিটজ হাবেরের ও ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে আর্নেস্ট রাদারফোর্ডের সাথে কাজ করেছিলেন, সেখানে তিনি নিলস বোহরের সাথেও দেখা করেছিলেন। বুদাপেস্টে ফিরে তিনি ১৯১৮ সালে শারীরিক রসায়নে অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং ১৯২০ সালে তিনি কোপেনহেগেনে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন।
গবেষণা
ডি হেভসি ১৯২২ সালে (ডার্ক কোস্টার সাথে) এলিমেন্ট হাফনিয়াম ( এফ) তত্ত্বটি আবিষ্কার করেছিলেন (ল্যাটিন হাফনিয়া "কোপেনহেগেন", নীল বোহরের শহরে)। মেন্ডেলিফের ১৮৬৯ পর্যায় সারণী রাসায়নিক উপাদানগুলিকে যৌক্তিক ভাবে সজ্জিত থাকলেও ,৭২ প্রোটনটি অনুপস্থিত ছিল। হেভসি বোহরের পারমাণবিক মডেলের ভিত্তিতে সেই উপাদানটি অনুসন্ধান করার জন্য বদ্ধপরিকর ছিল । কোপেনহেগেনের নরওয়ে এবং গ্রিনল্যান্ডের খনিজ সংক্রান্ত যাদুঘরটি গবেষণার জন্য উপাদানগুলি সজ্জিত করেছিল। তিনি নমুনা পরীক্ষা করেন এবং এক্স-রে বর্ণালী রেকর্ডিংগুলি রেকর্ডিংগুলি দেখে ধারণা হয়েছে যে তাতে নতুন উপাদান থাকতে পারে | গৃহীত অ্যাকাউন্টটি ম্যানসেল ডেভিস এবং এরিক সিসেরি দ্বারা বিতর্কিত হয়েছে যারা এই ভবিষ্যদ্বাণীকে দায়ী করেছেন যে ৭২ উপাদানটি রসায়নবিদ চার্লস বারির পরিবর্তে এই উপাদানটি বসবে।
রকফেলার ফাউন্ডেশন হেভেসিরকে সেই বছর খুব আর্থিক ভাবে সাহায্য করেছিল,। তিনি এক্স-রে ফ্লুরোসেন্স অ্যানালিটিকাল পদ্ধতিটি বিকশিত করেন এবং সামারিয়াম আলফা-রে আবিষ্কার করেন। এখানেই তিনি উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বিপাকীয় প্রক্রিয়া অধ্যয়ন করতে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার শুরু করেছিলেন, অল্প পরিমাণে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের সাথে স্থিতিশীল আইসোটোপের অংশ প্রতিস্থাপন করে শরীরে রাসায়নিক আবিষ্কার করে। ১৯২৩ সালে, হেভিসি ভিসিয়া ফেবার শিকড়, ডান্ডা এবং পাতাগুলিতে শোষণ এবং প্রতিলিপি অনুসরণ করতে প্রাকৃতিকভাবে তেজস্ক্রিয় হিসাবে তেজস্ক্রিয় ট্রেসার হিসাবে ব্যবহারের উপর প্রথম সমীক্ষা প্রকাশ করেছিলেন, এটি জন্যই তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন | ১৯৪৩ সালে, তেজস্ক্রিয় ট্রেসিংয়ের কাজটির জন্য হেমসিকে রসায়নের নোবেল পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয় |
১৯২৪ সালে হেভিসি ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে ফ্রেইবার্গে ফিরে আসেন এবং ১৯৩০ সালে ইটাকা বেকার প্রভাষক হিসাবে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। চার বছর পরে তিনি ১৯৫২ সালের মধ্যে নীল বোহর ইনস্টিটিউটে তার কার্যক্রম আবার শুরু করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি স্টকহোমে আবাসিক হয়েছিলেন এবং জৈব রসায়ন গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী ছিলেন। ১৯৪৯ সালে তিনি ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রাঙ্কুই অধ্যাপক নির্বাচিত হন। অবসর গ্রহণের সময় তিনি স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় বৈজ্ঞানিক সহযোগী ছিলেন। হেইভেসিকে ফ্রাইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি চাকরীর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এবং সেইটি তিনি গ্রহণ করেছিলেন।
পারিবারিক জীবন এবং মৃত্যু
ডি হেভেসি ১৯২৪ সালে পিয়া রিইসকে বিয়ে করেন। তাদের এক পুত্র ও তিন কন্যা ছিল, তাদের মধ্যে একটি (ইউজেনি) সুইডিশ নোবেল বিজয়ী সোভান্তে আরহেনিয়াসের এক নাতিকে বিয়ে বিয়ে দিয়েছিলেন।[৮] দে হেভেসি আশি বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে মারা যান এবং তাকে ফ্রিবার্গে সমাধিস্থ করা হয়।
২০০৫ সালের ১০ ই মে হেভেসি ল্যাবরেটরি[৯] প্রতিষ্ঠা করা হয় রিস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি টেকসই শক্তির জন্য, বর্তমানে ডেনমার্কের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ডিটিইউ নুতেচ ল্যাবের প্রথম প্রধান অধ্যাপক মিকেল জেনসেনের উদ্যোগে আইসোটোপ ট্রেসার নীতিটির জনক হিসাবে এটি জর্জ ডি হেভেসির নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে।
↑Levi, H. (১৯৭৬)। "George von Hevesy memorial lecture. George Hevesy and his concept of radioactive indicators--in retrospect"। European Journal of Nuclear Medicine। 1 (1): 3–10। এসটুসিআইডি6640231। ডিওআই:10.1007/BF00253259। পিএমআইডি797570।
↑Ostrowski, W. (১৯৬৮)। "George Hevesy inventor of isotope methods in biochemical studies"। Postepy Biochemii। 14 (1): 149–153। পিএমআইডি4870858।
↑Dal Santo, G. (১৯৬৬)। "Professor George C. De Hevesy. In reverent memory"। Acta Isotopica। 6 (1): 5–8। পিএমআইডি4865432।
↑"George De Hevesy"। Triangle; the Sandoz Journal of Medical Science। 91: 239–240। ১৯৬৪। পিএমআইডি14184278।
↑Levi, Hilde (১৯৮৫), George de Hevesy : life and work : a biography, Bristol: A. Hilger, পৃষ্ঠা 14, আইএসবিএন9780852745557উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)