গারো পাহাড়ভারতেরমেঘালয় রাজ্যের গারো-খাসিয়া পর্বতমালার একটি অংশ।[১] এর কিছু অংশ ভারতেরআসাম রাজ্য ও বাংলাদেশেরশেরপুর জেলারনালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী উপজেলায় অবস্থিত এটা বাংলাদেশের সব থেকে বড় পাহাড়। এছাড়া ময়মনসিংহ ও সুনামগঞ্জ এবং জামালপুর জেলায় এর কিছু অংশ আছে। গারো পাহাড় এর বিস্তৃতি প্রায় ৮০০০ বর্গ কিলোমিটার।[২] গারো পাহাড়েই মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং অবস্থিত। তবে গারো পাহাড়ের প্রধান শহর তুরা। এই শহরটি পাহাড়ের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।
গারো পাহাড় ঘন বন-জঙ্গলে আচ্ছাদিত। এখানে এক বিস্তীর্ণ সংরক্ষিত বনভূমি রয়েছে। এই বনভূমির আয়তন প্রায় ২০০ বর্গ কিলোমিটার। সমগ্র গারো পাহাড় অঞ্চলে এই সংরক্ষিত বনভূমিতে প্রচুর পরিমাণে মূল্যবান শালগাছ জন্মায়। অসংরক্ষিত বনের সংখ্যা এবং আয়তনও কম নয়। এসব বনভূমিতেও প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান গাছ, বাঁশ, বেত প্রভৃতি জন্মায়। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেযোগ্য সেগুন এবং শাল।[৩] বনভূমিতে নানা প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ জীব, বন্য হাতি, হরিণ, বাঘ, বন্য শূকর, ময়না এবং ধনেশ পাখিও প্রচুর দেখা যায়। এই পাহাড়ী বনভূমিতে নদ-নদীও রয়েছে অনেক। এরমধ্যে ঝিনারী, কৃষ্ণাই, দুধনাই, গাননল, ভোগাই, নিতাই, রংরা, মহাদেও, গনেশ্বরী, সোমেশ্বরী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।[২]
সমাজ
গারো পাহাড় একটি দুর্গম পার্বত্য এলাকা। এটি গারো সম্প্রদায়ের মূল বাসভূমি। মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব গারো পাহাড় জেলা, পশ্চিম গারো পাহাড় জেলা এবং দক্ষিণ গারো পাহাড় জেলায় অধিকাংশ গারোর বসবাস।[২] মাঝে মাঝে পাহাড়ের পাদদেশে বিরাট এলাকাজুড়ে বহু বিস্তীর্ণ সমভূমি রয়েছে। এসব এলাকায় প্রচুর পরিমাণ ধান ও অন্যান্য শস্য উৎপন্ন হয়। বসতি-প্রধান অঞ্চলটিকে দক্ষিণ-পূর্ব থেকে উত্তর-পশ্চিমে লম্বালম্বি গারো পাহাড় দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। এই গারো পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম নক্রেক। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৪,৬৫২ ফুট।[৪]