ক্যামেরন কাফি
|
পূর্ণ নাম | ক্যামেরন ইউস্টেস কাফি |
---|
জন্ম | (1970-02-08) ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০ (বয়স ৫৪) সাউথ রিভার্স, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স |
---|
উচ্চতা | ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি (২.০১ মিটার) |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট |
---|
ভূমিকা | বোলার |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২০৬) | ১৮ নভেম্বর ১৯৯৪ বনাম ভারত |
---|
শেষ টেস্ট | ৩০ অক্টোবর ২০০২ বনাম ভারত |
---|
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬৭) | ১৭ অক্টোবর ১৯৯৪ বনাম ভারত |
---|
শেষ ওডিআই | ৩ ডিসেম্বর ২০০২ বনাম বাংলাদেশ |
---|
|
---|
|
বছর | দল |
১৯৯০ - ২০০৪ | উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস |
---|
১৯৯৪ | সারে |
---|
|
---|
|
প্রতিযোগিতা |
টেস্ট |
ওডিআই |
এফসি |
এলএ |
---|
ম্যাচ সংখ্যা |
১৫ |
৪১ |
৮৬ |
৯৮ |
রানের সংখ্যা |
৫৮ |
৬২ |
৩৭৫ |
১৮২ |
ব্যাটিং গড় |
৪.১৪ |
৪.৪২ |
৫.০৬ |
৭.৯১ |
১০০/৫০ |
০/০ |
০/০ |
০/০ |
০/০ |
সর্বোচ্চ রান |
১৫ |
১৭* |
৩৭ |
২৪* |
বল করেছে |
৩,৩৬৬ |
২,১৫৩ |
১৪,৯১০ |
৫,০৪৫ |
উইকেট |
৪৩ |
৪১ |
২৫২ |
১০৫ |
বোলিং গড় |
৩৩.৮৩ |
৩৫.০২ |
২৬.০০ |
৩০.২০ |
ইনিংসে ৫ উইকেট |
০ |
০ |
৮ |
০ |
ম্যাচে ১০ উইকেট |
০ |
০ |
১ |
০ |
সেরা বোলিং |
৪/৮২ |
৪/২৪ |
৭/৮০ |
৪/২৪ |
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং |
৫/– |
৫/– |
৩০/– |
২১/– | |
|
---|
|
ক্যামেরন ইউস্টেস কাফি (ইংরেজি: Cameron Cuffy; জন্ম: ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০) সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্সের সাউথ রিভার্স এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৪ থেকে ২০০২ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস ও প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ক্যামেরন কাফি।
খেলোয়াড়ী জীবন
১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ক্যামেরন কাফি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৯০-এর দশকে সারে দলে খেলেছেন। দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী তিনি। ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে প্রায়শই জোয়েল গার্নার ও কার্টলি অ্যামব্রোসের ন্যায় বোলারদের সাথে একাত্মতা পোষনে মেতে উঠতেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পনেরোটি টেস্ট ও একচল্লিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ক্যামেরন কাফি। ১৮ নভেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে মুম্বইয়ে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩০ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে কলকাতায় একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৯০-এর দশক থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত টেস্ট ও একদিনের খেলায় অংশগ্রহণ করার জন্যে আসা-যাওয়ার পালায় ছিলেন। ২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি মোটেই সুবিধের ছিলেন না। টেস্ট ক্রিকেটে তিনি নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন ও ৪.১৪ গড়ে রান তুলেছিলেন। ১৯৯৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনবার বিখ্যাত ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকরকে আউট করেছিলেন তিনি।
মূল্যায়ন
একদিনের ক্রিকেটে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার লাভে বিরল কীর্তিগাঁথা রচনা করেন। তিনি কোন রান করেননি, উইকেট পাননি কিংবা কোন ক্যাচও তালুবন্দী করেননি; তাসত্ত্বেও পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। ২৩ জুন, ২০০১ তারিখে হারারেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোকা-কোলা কাপ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী খেলায় ১০-২-২০-০ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে এ পুরস্কার পান। ফলশ্রুতিতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৬৬/৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় দলটি ২৩৯/৯ করতে সক্ষম হয়। অন্য কোন বোলারই ১০ ওভারে বোলিং করে ৩৫ রানের কম খরচ করতে পারেননি।
১৯৯০-এর দশকের শুরুতে প্যাট্রিক প্যাটারসনের ন্যায় যোগ্য ফাস্ট বোলার হিসেবে ক্যামেরন কাফি’র অংশগ্রহণ ঘটে। তবে, সমসাময়িক অনেকের ন্যায় তাকেও টেস্ট পর্যায়ের উপযোগী হতে বেশ ধকল সহ্য করতে হয়েছে। দলের নিয়মিত সদস্য হবার সুযোগ হয়নি তার। তিনি কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন। কিন্তু, প্রচণ্ড রৌদ্দুরে বলে নিখুঁততার স্বাক্ষর রাখতে না পারায় এবং কার্টলি অ্যামব্রোস ও কোর্টনি ওয়ালসের অবসর গ্রহণের জন্যে অপেক্ষার প্রহর গোনার ফলে তিনি তার সেরা সময় ফেলে আসেন। একদিনের খেলাগুলো বেশ সফলতম বোলারের মর্যাদা পান। তার বল থেকে রান সংগ্রহ করা দুষ্কর ছিল।
ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ