এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ। সাম্প্রতিক ঘটনা বা সদ্যলভ্য তথ্য প্রতিফলিত করার জন্য অনুগ্রহ করে এই নিবন্ধটি হালনাগাদ করুন।(ডিসেম্বর ২০২০)
এই নিবন্ধটিতে সাম্প্রতিক দুর্যোগ সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ঘটনার অগ্রগতির সাথে সাথে এই ঘটনাটি সম্পর্কিত তথ্যগুলি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। যদিও এই নিবন্ধটি বেশ দ্রুত হালনাগাদ করা হবে, কিন্তু এটি এই বিষয়টি নিশ্চিত করে না যে এখানে দুর্যোগ সম্পর্কিত সর্বশেষ সকল তথ্য পাওয়া যাবে।
কোভিড-১৯ টিকা একটি প্রকল্পিত টিকা যা করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) এর বিরুদ্ধে কাজ করবে। একটি ভাইরাস বিরোধী টিকা যা লুই পাস্তুরের আবিষ্কৃত পদ্ধতির উপর প্রতিষ্ঠিত। কোভিড ১৯ অভিমারী এর পূর্বে, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত রোগ যেমন গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস এবং মধ্যপ্রাচ্যীয় শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাস(সার্স) এর বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা আবিষ্কার এর লক্ষ্যে গবেষণালব্ধ কাজ করোনাভাইরাসের আকৃতি এবং কার্যপ্রকৃতি সম্পর্কে জ্ঞানলাভে সহায়তা করে।
এই গবেষণালব্ধ জ্ঞান ২০২০ সালের প্রথমাংশে বিভিন্ন ভ্যাক্সিন তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
ফেব্রুয়ারি ২০২১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], ক্লিনিক্যাল গবেষণায় মোট ৬৬টি টিকা রয়েছে, যার মধ্যে ১৭টি প্রথম দশার ট্রায়ালে রয়েছে, ২৩টি প্রথম-দ্বিতীয় দশায় রয়েছে, ৬টি দ্বিতীয় দশায় রয়েছে, এবং ২০টি তৃতীয় দশায় রয়েছে।[১] অন্য চারটির আবেদন বাতিল হয়েছে।[১]
বিভিন্ন দেশ কিছু পর্যায়ে জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা প্রয়োগের পরিকল্পনা প্রয়োগ করা শুরু করেছে যাতে অতিরিক্ত ঝুঁকি সম্পন্ন বয়স্ক লোক এবং অতিরিক্ত সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীরা আগে টিকা পেতে পারেন। [২] বিশ্বব্যাপী জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর বিবৃতি অনুযায়ী, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি ১ পর্যন্ত, ১০১.৩১ মিলিয়ন কোভিড-১৯ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। [৩]
ফাইজার, মর্ডানা এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা এর মতে ২০২১ সালের মধ্যে ৫.৩ বিলিয়ন ডোজ তৈরি সম্ভব হবে, যা দ্বারা ৩ বিলিয়ন মানুষকে টিকা প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। (কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব তৈরির জন্য প্রত্যেক মানুষের দুটি ডোজের প্রয়োজন হয়।. ২০২০ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ কর্তৃক প্রায় ১০ বিলিয়নের বেশি টিকার ডোজের পূর্বাদেশ দেওয়া হয়েছে,[৪] যার প্রায় অর্ধেক উচ্চ-আয়ের দেশ কর্তৃক দেওয়া যেখানে বিশ্বের ১৪% জনগোষ্ঠী বসবাস করে।[৫]
পটভূমি
কোভিড-১৯ এর আগে, এমন কোনো সংক্রামক রোগের টিকা ছিল না, যা তৈরিতে কয়েক বছরের কম সময় লেগেছে এবং করোনাভাইরাসের সংক্রামক রোধে সক্ষম টিকাও ছিল না।[৬] যদিও প্রাণীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার্য বেশ কিছু করোনাভাইরাস টিকা উদ্ভাবিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাখিদের সংক্রামক ক্লোমনালীপ্রদাহ ভাইরাস, কুকুরের করোনাভাইরাস এবং বিড়ালের করোনাভাইরাসে।[৭]
মার্স রোগের জন্য কোনো প্রমাণিত টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।[১৪] মার্স রোগের যখন প্রভাব বেড়ে যায়, তখন ভাবা হয়েছিল সার্সের জন্য বিদ্যমান গবেষণাগুলো মার্স সংক্রমণের বিরুদ্ধে টিকা এবং রোগচিকিৎসাবিজ্ঞান আবিষ্কারে সাহায্যকারী ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।[১৫][১৬]
২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত কেবল একটি (ডিএনএ ভিত্তিক) মার্স টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে যা মানুষের উপর পরীক্ষার প্রথম ধাপ উত্তীর্ণ করেছে।[১৭] এবং আরো তিনটি গবেষণা চলমান আছে, যাদের মধ্যে সবাই ভাইরাসীয় বাহক টিকা; এদের মধ্যে দুইটি এডেনোভাইরাসীয় বাহক টিকা (ChAdOx1-MERS, BVRS-GamVac) এবং বাকী একটি এমভিএ বাহক টিকা (MVA-MERS-S)।[১৮]
পরিকল্পনা ও বিকাশ
২০২০ সালের প্রথম থেকেই, টিকা আবিষ্কার ও বিকাশের লক্ষ্যে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প এবং সরকারের মধ্যে অভূতপূর্ব সহযোগিতা দেখা যায়।[১৯] মহামারী প্রস্তুতিমূলক জোট(Coalition for Epidemic Preparedness Innovations (CEPI)) এর মতে, ৪০% টিকার পরিকল্পনা ও বিকাশ উত্তর আমেরিকায়, ৩০% এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায়, ২৬% ইউরোপে এবং বাকিগুলো দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকায় হচ্ছে।[১৯][২০]
টিকাপ্রয়োগ নিরাপদ,কার্যকর হবে কিনা এবং টিকাপ্রয়োগের পর বিরুপ প্রতিক্রিয়া আছে কিনা তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য টিকাগুলোকে কিছু ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এর মধ্য দিয়ে যেতে হয়।[২১][২২] টিকা আবিস্কারকদের টিকার ২য়-৩য় দশার ট্রায়ালে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক যথেস্ট পরিমাণ অংশগ্রহণকারী খোজার জন্য বেশ পরিমাণে সংস্থান ব্যয় করতে হয় যখন ভাইরাসটি বিভিন্ন দেশের মধ্যে এবং ভিতরে সংক্রমণ মাত্রা পরিবর্তন করে "চলমান লক্ষ্য" তে পরিণত হয়।[২৩] এক্ষেত্রে সংগঠকরা টিকা গ্রহণে অনীহা এবং টিকার বৈজ্ঞানিক কারণকে অবিশ্বাস করার দরূন টিকা গ্রহণে অনিচ্ছুক ব্যক্তির দেখা পেতে পারেন।[২৪][২৫]
২০২০ সালের প্রচেষ্টা
সার্স-কোভ-২ (SARS-CoV-2) ২০১৯ সালের পহেলা ডিসেম্বর শনাক্ত করা হয়, যার দ্বারা সৃষ্ট রোগটিকে পরবর্তীতে ২০১৯ করোনাভাইরাস ব্যাধি (কোভিড-১৯) নাম দেওয়া হয়।[২৬] ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে রোগটির সংক্রমণের দরুন এই রোগের টিকা আবিস্কারের জন্য অর্থবিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং গবেষণাকাজের পরিসর বৃদ্ধি পায়। [২৬][২৭] অনেক সংস্থা এই রোগের টিকা আবিষ্কারে প্রকাশিত জিনোম ব্যবহার করছে।[২৬][২৮][২৯][৩০] প্রায় ৩৫টি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ কাজে জড়িত,[৩১] যাদের মধ্যে তিনটি মহামারীর প্রস্তুতিমূলক উদ্ভাবনের জন্য জোট (Coalition for Epidemic Preparedness Innovations, CEPI) থেকে সহায়তা পাচ্ছে, যার মধ্যে মডার্না জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা,[৩২]ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যাল এবং কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়।[৩৩] ১০ই মার্চ ২০২০ তারিখের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারাবিশ্বে প্রায় ৩০০টি এরকম গবেষণাকর্ম প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। [৩৪]
২০২০ সালের মার্চ মাসের প্রথমদিকর মহামারীর প্রস্তুতিমূলক উদ্ভাবনের জন্য জোট (সিইপিআই) বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী, ব্যক্তিগত এবং বেসামরিক প্রতিষ্ঠানের সাথে মিলে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি তহবিল গঠনের উদ্যেগ নেয়, যার মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর টিকা দ্রুত আবিষ্কারের পথে আগানো যাবে। এ উদ্যোগে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্যের সরকার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।[৩৫]
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগসংক্রান্ত জাতীয় সংস্থা (এনআইএআইডি বা NIAID) মডার্না কোম্পানির সাথে মিলে করোনাভাইরাসের পৃষ্ঠতলের কাঁটাগুলির সাথে মিলে যায় এরকম আরএনএ টিকা তৈরির জন্য কাজ করছে।[২৮] এনআইএআইডি (NIAID) এমআরএনএ-১২৭৩ নামের একটি টিকা সিয়াটল নগরীতে ৪৫ জন স্বাস্থ্যবান পূর্ণবয়ষ্ক মানুষকে টিকাটি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করা হয়েছে যার জন্য সদস্য সংগ্রহ ২০২০ সালের ১৯শে মার্চ তারিখে শেষ হয়। এটি টিকাটির রোগীভিত্তিক পরীক্ষণের (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) প্রথম ধাপ।[৩৮] with recruitment completed on 19 March 2020.[৩৯] অতিরিক্ত আরেকটি পরীক্ষণী ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে (আটলান্টা, জর্জিয়া) ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হবে।[৪০]
চীনের থিয়েনচিন নগরীতে অবস্থিত ক্যানসাইনো বায়োলজিক্স ইনকর্পোরেটেড প্রতিষ্ঠানটি একটি পুনর্বিন্যস্তএডেনোভাইরাস প্রস্তুত করা হয়েছে যার নাম এডি৫-এনসিওভি (Ad5-nCoV), যার প্রথম ধাপের সুরক্ষামূলক পরীক্ষণীর (সেফটি ট্রায়াল) জন্য চীনের উহান নগরীতে ১০৮ জন স্বাস্থ্যবান পূর্ণবয়স্ক মানুষকে সংগ্রহ করা হয়েছে।[৪১] এ পরীক্ষা ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত চলতে পারে।
সীমাবদ্ধতা
যেসকল টিকা তৈরির কাজ এখন চলছে সেসকল টিকা কার্যকর কিংবা নিরাপদ নাও হতে পারে।[৪২] একটি গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, ২০০৬ থেকে ২০১৫ এর মধ্যকার টিকাগুলির মধ্যে মাত্র ১১.৫% পরীক্ষার ধাপ-১ থেকে পরীক্ষার ধাপ-৩ এ যেতে পেরেছে। [৪৩]
প্রাক-রোগীভিত্তিক গবেষণার প্রতিবেদন
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করেছে, তারা একটি আণবিক ক্ল্যাম্প টিকা তৈরির চেষ্টা করছে যা অনাক্রম্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার জন্য ভাইরাসের প্রোটিনকে বংশাণুগতভাবে পরিবর্তন ঘটাতে পারবে। [৩৩]
২০২০ সালের মার্চ মাসে মার্কিন সরকার, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের তথ্যগুলো একত্রিত করে আইবিএম কোম্পানির সুপারকম্পিউটার এবং আমাজন, মাইক্রোসফট, ও গুগল কোম্পানির ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সাহায্য নিচ্ছে।[৪৬] কোভিড-১৯ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং কনসোর্টিয়াম (COVID-19 High Performance Computing Consortium) এর সাহায্যে রোগ ছড়ানোর পূর্বাভাস, টিকার সম্ভাব্য প্রতিমান (মডেল) এবং কোভিড-১৯-এর টিকা প্রস্তুতি ও চিকিৎসা প্রণয়নে এক হাজারের বেশি রাসায়নিক উপাদান পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।[৪৬]
সামাজিক গণমাধ্যমে একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে কোভিড-১৯-এর করোনাভাইরাস সম্পর্কে কিছু ব্যক্তি আগে থেকে জানতো এবং এর জন্য টিকা ইতোমধ্যে আবিস্কৃত হয়েছে। সামাজিক গণমাধ্যমের বিভিন্ন পোস্টে যে কৃতিস্বত্বগুলির (প্যাটেন্ট) কথা বলা হচ্ছে, সেখানে বিভিন্ন করোনাভাইরাস যেমন সার্স করোনাভাইরাসের বংশগতীয় অনুক্রম এবং টিকা নিয়ে কথা বলে হয়েছে। [৪৭][৪৮]
↑Tripp, Ralph A.; Haynes, Lia M.; Moore, Deborah; Anderson, Barbara; ও অন্যান্য (সেপ্টেম্বর ২০০৫)। "Monoclonal antibodies to SARS-associated coronavirus (SARS-CoV): Identification of neutralizing and antibodies reactive to S, N, M and E viral proteins"। Journal of Virological Methods। 128 (1–2): 21–8। ডিওআই:10.1016/j.jviromet.2005.03.021। পিএমআইডি15885812।
↑Roberts, Anjeanette; Thomas, William D.; Guarner, Jeannette; Lamirande, Elaine W.; ও অন্যান্য (মার্চ ২০০৬)। "Therapy with a Severe Acute Respiratory Syndrome–Associated Coronavirus–Neutralizing Human Monoclonal Antibody Reduces Disease Severity and Viral Burden in Golden Syrian Hamsters"। The Journal of Infectious Diseases। 193 (5): 685–92। ডিওআই:10.1086/500143। পিএমআইডি16453264।
↑ কখThanh Le, Tung; Andreadakis, Zacharias; Kumar, Arun; Gómez Román, Raúl; Tollefsen, Stig; Saville, Melanie; ও অন্যান্য (৯ এপ্রিল ২০২০)। "The COVID-19 vaccine development landscape"। Nature Reviews Drug Discovery। 19 (5): 305–06। আইএসএসএন1474-1776। ডিওআই:10.1038/d41573-020-00073-5। পিএমআইডি32273591|pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)।অজানা প্যারামিটার |name-list-style= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
↑"Vaccine Safety – Vaccines"। vaccines.gov। US Department of Health and Human Services। ২২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২০।
↑Thorp, H. Holden (২৩ মার্চ ২০২০)। "Underpromise, overdeliver"(পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। American Association for the Advancement of Science। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "lower-roman" নামক গ্রুপের জন্য <ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-roman"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি
Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!