কুমিল্লা মহিলা মহাবিদ্যালয়(Cumilla Girls' College)কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ধর্মপুর এলাকায় অবস্থিত একটি এমপিও-ভুক্ত বেসরকারি উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজ যা ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলায় নারী শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠালাভ করে। কলেজটি কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড এর অধিভুক্ত।[১][২][৩]
কুমিল্লা অঞ্চলের স্থানীয় কিছু আন্তরিক ও বিদ্যোৎসাহী উদ্যোক্তা যারা দীর্ঘকাল পর্যন্ত এ অঞ্চলের অবকাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় নারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি ও শিক্ষা প্রচারের স্বপ্ন দেখেছিলেন, বিশেষত; শিক্ষার মূল ধারায় নারীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিতকরণ, নিশ্চিতকরণ এবং সমাজজীবনে নারীদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে তারা এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৮৪ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠালাভ করে।
প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগরপাড়ে কলেজটি যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে কলেজটি সরকারি এমপিও-ভুক্তি লাভ করে। প্রতিষ্ঠালাভের পর থেকে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে ঐতিহ্যবাহী ধর্মসাগর এর দক্ষিণ পাড়স্থ লিজ-কৃত সরকারি ভবন ও জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হত। ২০২০ সাল থেকে শহরের ধর্মপুর এলাকায় অবস্থিত কলেজের স্থায়ী নিজস্ব ক্যাম্পাসে সকল শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ক্যাম্পাস
কলেজটির স্থায়ী ক্যাম্পাস কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ধর্মপুর এলাকায় শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণের মহিলা কলেজ রোড থেকে ৫০০ গজ ভেতরে অবস্থিত। কলেজের নিজস্ব ৫০ শতাংশ জমির উপর মূল ক্যাম্পাস টি গড়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসের অবকাঠামো নির্মাণ সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর দক্ষিণ পাড়স্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিলো।[৪]
শিক্ষাক্রম
কলেজটি উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে পাঠদান করা হয়ে থাকে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের নিয়মানুযায়ী ভর্তির আবেদন করার সময় ১১শ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান,বাণিজ্য,মানবিক এই তিনটি বিভাগের যেকোন একটি নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক এবং সে অনুযায়ী নির্ধারিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা নিজ পছন্দমত বিভাগ নির্বাচন করে ভর্তি হয়ে থাকে। কলেজের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লার অধীনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড,কুমিল্লার অধীনে ১৯৮৪-৮৫ শিক্ষাবর্ষে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান শাখায় বাংলা, ইংরেজি, পৌরনীতি ও সুশাসন, অর্থনীতি, যুক্তিবিদ্যা, ইসলামের ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, পরিসংখ্যান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত এই ১৪ টি বিষয় নিয়ে কলেজের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন এবং ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পঠিত বিষয় হিসেবে চালু হয়।
কলেজটিতে বর্তমানে ১জন অধ্যক্ষ, ৭ জন সহকারী অধ্যাপক এবং ১১ জন প্রভাষক শিক্ষকতায় নিয়োজিত রয়েছেন।[৫]
অধ্যক্ষবৃন্দের তালিকা
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি কুমিল্লা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন যে ব্যক্তিবর্গঃ