প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের উপযোগী সমাজগঠনমূলক একটি সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থার রুপরেখা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই গঠিত 'জাতীয় শিক্ষা কমিশন' প্রনীত সুপারিশমালা। এই কমিশনের সভাপতি ছিলেন ড.কুদরাত-এ-খুদা। তার নাম অনুসারে পরবর্তিকালে রিপোর্টির নাম রাখা হয় ' ড.কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষাকমিশন রিপোর্ট'। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালের মে মাসে ' বাংলাদেশ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট' নামে। এতে পরিশিষ্ট বাদে ৩৬ তি অধ্যায় ছিল এবং পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল মোট ৪৩০।
কমিশনের অধ্যায়সমূহ
৩৬ টি অধ্যায়ের শিরোনাম হলোঃ
- শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলী
- চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব গঠন
- কর্ম অভিজ্ঞতা
- শিক্ষার মাধ্যম
- শিক্ষায় বিদেশী ভাষার স্থান
- শিক্ষক- শিক্ষার্থীর হার
- প্রাক্- প্রাথমিক শিক্ষা
- প্রাথমিক শিক্ষা
- মাধ্যমিক শিক্ষা
- বৃত্তিমূলক শিক্ষা
- ডিপ্লোমা স্তরে প্রকৌশল শিক্ষা ও প্রযুক্তিবিদ্যা
- মাদ্রাসা শিক্ষা ও টোল শিক্ষা
- শিক্ষক শিক্ষণ
- উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা
- ডিগ্রী স্তরে প্রকৌশল শিক্ষা ও প্রযুক্তিবিদ্যা
- বিজ্ঞান শিক্ষা
- কৃষিশিক্ষা
- বাণিজ্যশিক্ষা
- আইনশিক্ষা
- ললিতকলা
- পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি
- শিক্ষকদের দায়িত্ব ও মর্যাদা
- নিরক্ষরতা দূরীকরণ
- বয়স্ক শিক্ষা ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা
- নারীশিক্ষা
- বিশেষ শিক্ষা
- শারীরিক ও মানসিক বাধাগ্রস্থদের এবং বিশেষ মেধাবীদের জন্য শিক্ষা
- স্বাস্থ্য শিক্ষা
- শরীরচর্চা ও সামরিক শিক্ষা
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি
- শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক
- শিক্ষাগৃহ ও শিক্ষার উপকরন
- গ্রন্থাগার
- শিক্ষাক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা
- ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান
- ছাত্রকল্যাণ ও জাতীয় সেবা, শিক্ষার জন্য অর্থসংস্থান এবং পরিশেষ।
কমিশনের সদস্যবৃন্দ
|
---|
ব্রিটিশ আমল | |
---|
পাকিস্তান আমল | |
---|
বাংলাদেশ আমল |
- শামস-উল-হক শিক্ষা কমিটি, ১৯৭০
- কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন, ১৯৭২
- শামসুল হক শিক্ষা কমিটি, ১৯৭৬
- কাজী জাফর আহমেদ শিক্ষা কমিশন, ১৯৭৮
- মজিদ খান শিক্ষা কমিশন, ১৯৮৩
- মফিজউদ্দীন আহমদ শিক্ষা কমিশন, ১৯৮৭
- শামসুল হক শিক্ষা কমিশন, ১৯৯৭
- এম এ বারী শিক্ষা কমিশন, ২০০১
- মনিরুজ্জামান মিয়া শিক্ষা কমিশন, ২০০৩
- কবির চৌধুরী শিক্ষা কমিশন, ২০০৯
|
---|
|