কুঠামপল্লি শাড়ি হল কেরল রাজ্যের ত্রিশূর জেলার তিরুভিলওয়ামালা গ্রামীণ পঞ্চায়েতের কুঠামপল্লি গ্রামের তাঁতিদের দ্বারা ঐতিহ্যগতভাবে বোনা শাড়ি। এই কুঠামপল্লি শাড়ি [১] এর পাড় দেখে আলাদা করে চিনতে পারা যায়।
পটভূমি
কুঠামপল্লি হল কেরালার ত্রিশূর জেলায় অবস্থিত একটি ছোট গ্রাম। প্রধান কুঠামপল্লি শাড়িগুলি কাসাভু (জারি) দিয়ে ধূসর শৈলীতে নির্মিত। এই ঐতিহ্যবাহী পণ্যটি ৮০, ১০০ এর সূক্ষ্ম সুতির সুতো দিয়ে বোনা। এই শাড়িগুলি কুঠামপল্লি, তিরুভিলওয়ামালা, ইরাভাথোডি এবং কোন্দোজি অঞ্চলে তৈরি করা হয়। তামিলনাড়ু থেকে তাঁতিরা ১২০০-১৭০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই অঞ্চলগুলিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন এবং সেখানে এই শাড়িগুলি বুনন শুরু করেছিলেন।[২]
বর্তমান ইতিহাস
১৯৭২ সালে, কুঠামপল্লি হ্যান্ডলুম ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি ১০২ জন সদস্যকে নিয়ে নিবন্ধিত হয়েছিল। অনেক কর্ণাটকের মানুষ কুঠামপল্লিতে বাস করেন। তাঁদের বর্ণের উৎস বেঙ্গালুরু ও মহীশূরের দেবাঙ্গ চেট্টিয়ার। ২০১১ সালে সেপ্টেম্বরে, কুঠামপল্লি শাড়ি ভৌগোলিক নির্দেশক আইন (জিআই) এর মাধ্যমে
স্বতন্ত্র মেধা সম্পদ অধিকার পেয়েছে।[৩][৪][৫][৬]
ব্যবহৃত উপাদান
কুঠামপল্লি শাড়িগুলির বুননের জন্য ব্যবহৃত উপকরণগুলি হল ৮০ এবং ১০০ এর সুতো এবং জরি, যেটি স্থানীয়ভাবে "কাসাভু" নামে পরিচিত।[২]
প্রযুক্ত কৌশল
ডোবি/জ্যাকার্ড ব্যবহার করে শাড়ির পাড়টি অতিরিক্ত জরির টানা দিয়ে নকশা বোনা হয়। শাড়ির ভেতরে বুটি নকশা বোনা হয়। জ্যাকার্ড ব্যবহার করে জরি দিয়ে শাড়ির আঁচল বোনা হয়। "স্ট্রিট সাইজিং" কৌশলে টানা সুতো প্রস্তুত করার মধ্যে শাড়ির বিশেষত্ব লুকিয়ে রয়েছে। বিন্যাস দেবার পরে টানা সুতোগুলি প্রায় গোলাকার এবং অভিন্ন আকারে পরিণত হয়, যাতে শাড়িতে কোনও প্রসারিত তন্তু ছাড়াই খুব পরিষ্কার পৃষ্ঠতল থাকে।[২]
তথ্যসূত্র