কিরণ মজুমদার-শ (জন্ম: ২৩শে মার্চ ১৯৫৩) হলেন একজন ভারতীয় কোটিপতি উদ্যোক্তা।[৩] তিনি ভারতের বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত একটি বায়োটেকনোলজি সংস্থা বায়োকন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক[৪] এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরু-এর প্রাক্তন চেয়ারপারসন।[৫]
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
কিরণ মজুমদার ১৯৫৩ সালের ২৩শে মার্চ তারিখে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনেতে জন্মগ্রহণ করেছেন।[৬] তাঁর বাবা মা উভয়েই বাঙালি।[৭] তিনি ১৯৬৮ সালে বেঙ্গালুরুর বিশপ কটন গার্লস হাই স্কুল হতে স্কুল জীবনের পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। এরপরে তিনি বেঙ্গালুরুর মাউন্ট কারমেল কলেজ (যেটি একটি মহিলা কলেজ, যা বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হিসাবে প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা প্রদান করে)-এ ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি সেখানে জীববিজ্ঞান এবং প্রাণিবিদ্যা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন, ১৯৭৩ সালে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।[৮][৯][১০] মজুমদার আশা করেছিলেন তিনি মেডিকেল স্কুলে যাবেন, কিন্তু তিনি বৃত্তি পাননি।[১১]
তাঁর বাবা, রাসেন্দ্র মজুমদার হলেন ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজের হেড ব্রিউমাস্টার। তিনি তাকে গাঁজন বিজ্ঞান বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন এবং একটি ব্রিউমাস্টার হতে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন, এটি মহিলাদের জন্য একটি অত্যন্ত অপ্রচলিত ক্ষেত্র ছিল।[১১] মজুমদার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বল্লারাট কলেজে মল্টিং এবং ব্রিউইং বিষয়ে পড়াশুনা করতে গিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে, তিনি একমাত্র মহিলা ছিলেন, যিনি ব্রিউইং কোর্সে ভর্তি হয়েছিএম এবং তার ক্লাসে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিলেন।[১][১২] তিনি ১৯৭৫ সালে মাস্টার ব্রিউয়ার ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।[১][৯]
বায়োকন
কিরণ মজুমদার সরে যাওয়ার পূর্বে তিনি আয়ারল্যান্ডের কর্কের বায়োকন বায়োকেমিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা লেসেলি অচিনক্লসের সাথে দেখা করেছিলেন। অচিনক্লসের সংস্থা মদ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহারের জন্য এনজাইম তৈরি করতো। অচিনক্লস একটি ভারতীয় উদ্যোগী প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করার জন্য একজন ভারতীয় উদ্যোক্তার সন্ধান করেছিলেন।[১৩] :১৫৪ মজুমদার এই শর্তে এই কাজটি করতে সম্মত হন যে, তিনি যদি ছয় মাস পরে চালিয়ে না যেতে চান তবে তাঁকে যে চাকরি করে যাচ্ছিলেন তার সাথে তুলনামূলকভাবে ব্রিউমাস্টারের পদ দিতে হবে। [১৪] :১০৮
পুরস্কার ও সম্মাননা
২০১৪ সালে, তিনি বিজ্ঞান এবং রসায়নের অগ্রগতিতে অসামান্য অবদানের জন্য ওথমার স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন।[১৫][১৬][১৭][১৮][১৯] তিনি ফিনান্সিয়াল টাইমসের শীর্ষস্থানীয় ৫০ জন নারীর তালিকায় রয়েছেন।[২০] ২০১৯ সালে, তিনি ফোর্বস দ্বারা বিশ্বের ৬৫ তম ক্ষমতাধর নারী হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।[২১] তিনি এর আগে বিশ্বের সর্বাধিক ক্ষমতাধর মহিলাদের তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন - ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে যথাক্রমে ৭৭তম এবং ৭১তম স্থান অধিকার করেছিলেন।[২২]
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ "Key Management Team – Profile of Kiran Mazumdar Shaw"। Biocon। ২০ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "How Biocon's Kiran Mazumdar-Shaw battled cancer plaguing her husband & best friend – The Economic Times"। Economictimes.indiatimes.com। ২৪ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ Srikar Muthyala (২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "The List of Great Entrepreneurs of India in 2015"। MyBTechLife। ১৪ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Start-up stories: Kiran Mazumdar-Shaw"। BBC। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৩।
- ↑ "Kiran Mazumdar-Shaw replaces Mukesh Ambani as IIM Bangalore chairperson"। Financial Express। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "Kiran Mazumdar-Shaw | Biography & Facts"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-২৯।
- ↑ Babu, Venkatesha। "Majumdar"। উইকি। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ – উইকিপিডিয়া-এর মাধ্যমে।
- ↑ Manjunath, V.S.; Nagendra, S. (২০১০)। Entrepreneurship and Management। Pearson Education। পৃষ্ঠা 154। আইএসবিএন 9788131732502। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ "Kiran Mazumdar-Shaw"। World Economic Forum। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ She did not receive a M.Sc. or Ph.D. in 1973. She has been given a number of honorary degrees since then.
- ↑ ক খ "Kiran Mazumdar-Shaw"। Science History Institute। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৮।
- ↑ Campbell, Di। "Dr. Kiran MAZUMDAR-SHAW Brewer and biotechnologist, BCAE Student, 1974 Recipient of a University of Ballarat Honorary Doctorate (2004)"। Federation University Australia। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Krishnan, Janaki (২০১৩)। Breaking barriers : success stories of India's leading businesswomen। Jaico Pub. House। আইএসবিএন 978-81-8495-395-4।
- ↑ Leading, Sudha (২০১০)। Leading ladies : women who inspire India (1st সংস্করণ)। Fortytwo Bookz Galaxy। আইএসবিএন 978-81-908411-8-4।
- ↑ "Othmer Gold Medal"। Science History Institute। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৪।
- ↑ "Dr Kiran Mazumdar first Indian to receive 'Othmer Gold Medal 2014'"। BioSpectrum। ১৬ মে ২০১৪। ১৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৪।
- ↑ Laranang-Mutlu, Theresa (১৬ মে ২০১৪)। "USP Congratulates Kiran Mazumdar-Shaw, Recipient of 2014 Othmer Gold Medal"। U.S. Pharmacopeial Convention। ২ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৪।
- ↑ "Biocon chief Kiran Mazumdar-Shaw receives Othmer Gold Medal 2014"। The Economic Times। ১৯ মে ২০১৪। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৪।
- ↑ Gussman, Neil (১৯ মে ২০১৪)। "CHF Presents Awards to Innovators from Around the World at Heritage Day 2014"। MarketWatch: The Wall Street Journal। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৪।
- ↑ "Women at the Top: 37. Kiran Mazumdar-Shaw"। Financial Times। ১৫ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৪।
- ↑ "World's Most Powerful Women"। Forbes। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "World's Most Powerful Women"। Forbes (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৫।
|
---|
১৯৫০-এর দশক | |
---|
১৯৬০-এর দশক | |
---|
১৯৭০-এর দশক | |
---|
১৯৮০-এর দশক | |
---|
১৯৯০-এর দশক | |
---|
২০০০-এর দশক | |
---|
২০১০-এর দশক | |
---|
২০২০-এর দশক | |
---|