কালো বাজার, অপ্রকাশ্য অর্থনীতি, বা ছায়া অর্থনীতি হল এমন একটি চোরাগোপ্তা বাজার বা লেনদেন যার কিছু অবৈধ দিক রয়েছে বা কিছু প্রতিষ্ঠানের বিধিবদ্ধ নিয়ম ভঙ্গ করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।[১] যদি কোন নিয়ম নীতি দ্বারা কোনো বস্তু বা সেবার উৎপাদন ও পরিবেশন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তাহলে সেই নিয়ম বা নীতিকে ভঙ্গ করাকে কালো বাজারি বাণিজ্য বলা যাবে কারণ সেই লেনদনটাই অবৈধ। নিষিদ্ধ পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বিতরণের সাথে জরিত যে কাউকেই কালো বাজারি বা কালো বাজারের সদস্য বলা যাবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় মাদক ব্যবসা, পতিতাবৃত্তি, অবৈধ মুদ্রা লেনদেন, মানি লন্ডারিং ও মানব পাচার কালো বাজারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। আয়কর ফাঁকি সহ করনিতি ভঙ্গ কারীদেরও অপ্রকাশ্য অর্থনীতির সদস্য বলা যায়।[২][৩] যেহেতু করফাঁকি বা কালোবাজারী কার্যকলাপে অংশগ্রহণ অবৈধ বলে বিবেচিত, সেহেতু কালো বাজারিরা তাদের কর্মকাণ্ড সরকার বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আড়াল করার চেষ্টা করে।[৪] নগদ টাকায় লেনদেন কালো বাজারিদের সবচেয়ে পছন্দের লেনদেন কারণ এটি কর্তৃপক্ষের কাছে সহজে ধরা পরে না।[৫] কালো বাজারের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হছে নিষিদ্ধ বস্তুর লেনদেন, কর ও নিয়ম ফাঁকি দেয়া বা মূল্য নিয়ন্ত্রণ বা রেশন এড়ানো। সাধারণত এই ধরনের বাজারের সম্পূর্ণ কার্যকলাপ, পণ্য ও সেবার উৎপাদনের বা পরিবেশনের সরকারি বা প্রকাশ্য অর্থনীতির পরিপূরক হিসেবে নির্দিষ্ট নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়, উদাহরণস্বরূপ "চোরা বন্য প্রানি শিকারের মাংসের বাজার"।
কালোবাজারকে "ধূসর বাজার" থেকে আলদা হিসেবে ধরা হয়, কারণ ধূসর বাজারের পণ্য বা সেবা, যা আইনি বা বেসরকারী বা অননুমোদিত, পরিবেশন করার সময় মূল নির্মাতার দ্বারা অনিচ্ছাকৃতভাবে বা অননুমোদিত ভাবে মূল অর্থনীতি থেকে আলাদাভাবে পরিবেশন করা হয়।
কালো টাকা হচ্ছে একটি অবৈধ লেনদেন থেকে প্রাপ্ত আয়, যার ওপর ভিত্তি করে আয়কর ও অন্যান্য কর পরিশোধ করা হয়নি,যা শুধুমাত্র কিছু প্রকারের অর্থ পাচারের মাধ্যমে বৈধ করা যায়। কালো অর্থনীতির গোপন প্রকৃতির কারণে এটার আকার এবং ব্যাপ্তি নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
পটভূমি
পাঠ্য পুস্তকে কালোবাজারের কুনো প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞা নেই, কেবল কিছু সমার্থক শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়,যেমন: অন্তভৌম; লুকানো; ধূসর; ছায়া; অনানুষ্ঠানিক; গোপন; লুকানো; অলক্ষিত; অপ্রকাশ্য; অলিপিবদ্ধ; দ্বিতীয়; সমান্তরাল এবং কালো।[৬]
কোন একক অপ্রকাশ্য অর্থনীতি নেই; বরং এখানে অনেক আছে। এই কালোবাজারি অর্থনীতি সর্বত্র বিরাজমান,বাজার অর্থনীতির দেশ ছাড়াও কেন্দ্রীয়ভাবে পরিকল্পিত দেশগুলোতে বিদ্যমান, হতে পারে তারা উন্নত বা উন্নয়নশীল। কালোবাজারি কর্মকান্ডে জড়িত সবাই সেইসব প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম, অধিকার, ধারা এবং জরিমানা থেকে অব্যাহতি, ছাড়া বা বাদ পরে থাকে, যা প্রকাশ্য অর্থনীতিতে নিযুক্ত লোক বা প্রতিষ্ঠানকে শাসন করে। বিভিন্ন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মনীতি ভঙ্গের উপর ভিত্তি করে কালো বাজারকে বিভিন্ন ভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। চারটি প্রধান কালো বাজার অর্থনীতি চিহ্নিত করা যেতে পারে:[৭][৮]
অবৈধ অর্থনীতি
অপ্রদর্শিত অর্থনীতি
অলিপিবদ্ধ অর্থনীতি
অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি
অবৈধ অর্থনীতি বলতে সেইসব অর্থনীতিক কর্মকাণ্ড থেকে আয়কে বুঝায় যা যে কুনো বাণিজ্যকে বৈধ সঞ্জায়িত করার নিয়ম নীতি ভঙ্গ করে করা হয়েছে। অবৈধ অর্থনীতিতে জড়িত বাক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ বস্তু বা সেবার তৈরি ও পরিবেশনায় নিযুক্ত থাকে যেমন মাদক ব্যবসা, অস্ত্র চোরাচালান, এবং পতিতাবৃত্তি।
অলিপিবদ্ধ অর্থনীতি বলতে সেইসব অর্থনীতিক কর্মকাণ্ডকে বুঝায় যা প্রতিষ্ঠিত আর্থিক নিয়মনীতি যেমন কর নীতিকে ভঙ্গ করে বা ফাঁকি দেবার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। অলিপিবদ্ধ অর্থনীতির সারসংক্ষেপ হচ্ছে সে আয়ের পরিমাণ যা কর কর্তৃপক্ষের নিকট বিবরণ করা উচিত কিন্তু করা হয়নি। এই অর্থনীতির পরিপূরক পরিমাপ হচ্ছে "কর ফাঁকি", যা হোল রাজস্ব কর্তৃপক্ষের দাবী কৃত রাজস্ব এবং প্রাপ্ত রাজস্বের মধ্যকার ব্যবধাণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ধারণা করা হয় যে অলিপিবদ্ধ অর্থনীতির আকার হচ্ছে $২ ট্রিলিয়ন যার ফলে কর ফাঁকির পরিমাণ হচ্ছে $৪৫০-$৫০০ বিলিয়ন।[৯][১০]
"অপ্রদর্শিত অর্থনীতি" এসব অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে বুঝায় যা একটি প্রতিষ্ঠান বা বাক্তি সেইসব সরকারি প্রতিষ্ঠানিক নিয়মাবলী, যা বিবরণ দাখিলের সাথে সম্পর্কযুক্ত, না মেনে বা পাশ কেটে করে থাকে অর্থাৎ সরকারের কাছে তাদের কর্মকাণ্ডের বিবরিনী আংশিক দাখিল বা কুনো কিছুই দাখিল না করা।
অপ্রদর্শিত অর্থনীতির একটি সারসংক্ষেপের পরিমাপ হচ্ছে অলিপিবদ্ধ আয়ের পরিমাণ, যথা আয়ের পরিমাণ যা (বিদ্যমান বিধি ও নিয়মাবলী অধীনে) জাতীয় হিসাবরক্ষণ পদ্ধতির মধ্যে নথিভুক্ত করা উচিত (উদাহরণস্বরূপঃ ন্যাশনাল ইনকাম ও প্রোডাক্ট অ্যাকাউন্ট) কিন্তু করা হয় নি। অপ্রদর্শিত অর্থনীতি সেইসব দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ যারা সমাজতান্ত্রিক হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি পাল্টে জাতিসংঘের মান জাতীয় হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি শুরু করেছে। অপ্রদর্শিত (অপর্যবেক্ষিত) অর্থনীতির আকার হিসেব বের করারা জন্য নতুন নতুন পদ্ধতি প্রস্তাব করা হয়.[১১] কিন্তু এখনও রূপান্তর দেশের অপ্রকাশ্য অর্থনীতির আকারের বিষয়ে সামান্য ঐক্যমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।[১২]
"অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি" এসব অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে বুঝায় যা খরচ এরিয়ে যেতে পারে এবং যা সম্পত্তি সম্পর্কিত, বাণিজ্যিক লাইসেন্সিং, শ্রম চুক্তি, অন্যায়ের ক্ষতিপূরণ, আর্থিক ঋণ এবং সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কিত আইন ও প্রশাসনিক নিয়মবলীর সুবিধা ও অধিকার বাদ দিয়ে করা হয়।
অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির একটি সারসংক্ষেপ পরিমাপ হল অর্থনৈতিক এজেন্টের অনানুষ্ঠানিক কাজ থেকে প্রাপ্ত আয়।[১৩][১৪] অনানুষ্ঠানিক খাতকে সংজ্ঞায়িত করা হয় এমন একটি অর্থনীতির অংশ হিসেবে যাতে কুনো কর নেই,যে কুনো প্রকারের সরকারি নজরদারির মধ্যে থাকে, অথবা কোনো স্থূল জাতীয় উৎপাদনের (জিএনপি) অন্তর্ভুক্ত, যা আনুষ্ঠানিক অর্থনীতি চেয়ে ভিন্ন। উন্নত দেশগুলিতে অনানুষ্ঠানিক খাতকে অলিপিবদ্ধ কর্মসংস্থান দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এটি কর, সামাজিক সুরক্ষা বা শ্রম আইনের কারণে রাষ্ট্র থেকে গোপন করা হয় কিন্তু অন্য সব দিক থেকে আইনি।[১৫] অন্য দিকে কালো বাজারকে একটি বাজারের নির্দিষ্ট অংশ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে যেখানে নিষিদ্ধ বস্তুর লেনদেন হয়।
দাম নির্ধারণ
অবৈধভাবে অর্জিত সামগ্রীর লেনদেন বৈধ বাজারের দামের উপরে বা নিচে লেনদেন হতে পারেঃ
তারা বৈধ দামের চেয়ে কম হতে পারে। যোগানদাতাকে কুনো উৎপাদন মূল্য বা কর দিতে হয় না। কালো বাজারে এটাই সাধারণ ব্যাপার। অপরাধীরা কুনো কিছু চুরি করে বাজারের চেয়ে কম দামে বিক্রি করে দেয়, কিন্তু তার কুনো চালান, নিশ্চয়তা বা কিছু থাকে না।
তারা বৈধ দামের চেয়ে বেশি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কুনো পণ্য তৈরি করা বা কেনা অনেক কঠিন হতে পারে, চালনা করা বিপজ্জনক, বা আইনত বাজারে বেশি পাওয়া যায় না, অথবা উপরের সব গুলোই বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে। যদি রাষ্ট্রের দ্বারা কুনো পণ্যের লেনদেন অবৈধ ঘোষণা করা হয় , যেমনটা প্রায়ই নির্দিষ্ট ফার্মাসিউটিকাল ওষুধের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সেক্ষেত্রে নিষিদ্ধতার ফলে তাদের দাম বেড়ে যায়।
কালো বাজাত দুটি প্রতিবেশির নিওন্ত্রনাধিন সীমান্তের মধ্যকার বাণিজ্যের অংশ হতে পারে বিশেষ করে যে সীমান্তে খুব কম বা কুনো সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নেই এবং যদি দুটি প্রতিবেশির মধ্যে কর বাবধান খুব ভালো রকমের হওয়া এবং কুনো পনয এক পাশে নিষিদ্ধ হলে অন্য পাশে তা বৈধ। যে সমস্ত পণ্য সাধারণত চোরাচালান করা হয় তাদের মধ্যে মদ ও তামাক জাতীয় পণ্য অন্যতম। তবে সকল সীমান্ত বাণিজ্য বেআইনি নয়।
ভোক্তা ইস্যু
কুনো সরকার, কোন বিশ্বব্যাপী অলাভজনক সংস্থা,কোন বহুজাতিক সংস্থা গুরুত্ব দিয়ে বলতে পারবে না যে তারা ১.৮ বিলিয়ন কর্মসংস্থান প্রতিস্থাপন করতে পারবে যা কালো বাজার অর্থনীতি তৈরি করেছে। সত্যি এই যে, সবচেয়ে উদীয়মান অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য শ্রেষ্ঠ আশা হচ্ছে ছায়া অর্থনীতি।
যদি কখনও কুনো পণ্য কালো বাজারে কম দামে পাওয়া যায় তাহলো ভোক্তা সেই পণ্যটি বৈধ বাজার থেকে কিনতে পারে, কারণ:
তারা বৈধ সরবরাহকারীকে পছন্দ করতে পারে, যেহেতু তাদের সাথে সহজে যোগাযোগ করা যায় এবং কুনো ত্রুটির জন্য তাদের দায়ী করা যেতে পারে;
কিছু বিচারব্যবস্থায় মধ্যে[১৬] , গ্রাহকদের ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করা হতে পারে যদি তারা জেনে-শুনে একজন ভোক্তা হিসেবে, কালো অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করে থাকেন;
Which
date
June 2013
লেনদেন করার সময় তারা আঘাত পেতে পারেন বলে মনে করতে পারেন;[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
Citation needed
Month and year
June 2013
তারা কালোবাজারি ব্যবসাকে একটি নৈতিক দিক থেকে অপছন্দ করে থাকতে পারেন;
কিছু বিচারব্যবস্থায় মধ্যে (বিশেষ করে ইংল্যান্ড এবং ওয়েল্সে), কারো কাছে চুরাই পণ্য পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়,এমনকি যদি তারা নে জেনে কিনি থাকেন। যদিও তারা কুনো অপরাধ করে থাকেননি,তবুও দিন শেষে তারা টাকা বা পণ্য কুনোটাই ফিরত পান না। এই ঝুকির কারণে তারা কালো বাজার থেকে কিছুই কিনতে চান না, যদিও পণ্যটা বৈধ হয়ে তাকে (উদাহরণস্বরূপ, গাড়ির বুটে বিক্রয়কৃত পণ্য)।[কোনটি?]
যাইহোক, কিছু পরিস্থিতিতে, ভোক্তারা কালো বাজারে একটি ভালো লেনদেন করতে পারেন, বিশেষ করে যখন সরকারি নিয়ম এবং একচেটিয়া বাজার বৈধ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের সেবা থেকে ভোক্তাদের বঞ্চিত করে। উদাহরণস্বরূপ:[কোনটি?]
লাইসেন্সবিহীন ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস। বাল্টিমোরে, অনেক গ্রাহক অবৈধ ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস ব্যবহার করে থাকে কারণ তারা সহজপ্রাপ্য,সুবিধাজনক, এবং মোটামুটি দামের।[১৭]
লেনদেনকৃত পণ্য ও সেবা
কালো বাজারি অর্থনৈতিক কার্যক্রমের কিছু উদাহরণ। যেমনঃ
যৌন শোষণ এবং জোরপূর্বক শ্রম
অবৈধ মাদক দ্রব্য
১৯ শতকের শেষ থেকে বিংশ শতকের প্রথম পর্যন্ত, অনেক দেশ ঔষধের বিনোদনমূলক ব্যবহার বা মাদক দ্রব্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে থাকে, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের "মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ"। অনেকে তবুও অবৈধ মাদক দ্রব্য ব্যবহার করা চালিয়ে যায়, এবং একটি কালো বাজারের সৃষ্টি হওয়া তাদের সরবরাহ করার জন্য। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তাদের বাধা দেবার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, উচ্চ চাহিদার কারণে সংগঠিত অপরাধ গ্রুপ মাদকদ্রব্যের সরবরাহ চালিয়ে যাবার মধ্যে বিশাল মুনাফার প্রেরণা পায়। জাতিসংঘ জানিয়েছে যে অবৈধ ওষুধের খুচরা বাজারে মান $৩২১.৬ বিলিয়ন ডলার.[১৮]
যদিও আইন প্রয়োগকারী সংস্থারা অবৈধ মাদকের কারবারের মাত্র একটি ক্ষুদ্রাংশকে বাধা দিতে পেরেছে, এবং হাজার হাজার খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাকে জেলে ভড়তে পেরেছে, তবু উচ্চ চাহিদা ও অতি মুনাফার কারণে নতুন নতুন সরবরাহকারীর সৃষ্টি হয়েছে খুচরা দামের কুনো হেরফের না ঘটিয়েই। অনেক মাদক বৈধ করার আন্দোলনকারীর এই ব্যবসার সাথে ১৯২০ সালের মদের নিষিদ্ধের তুলনা টানেন।
যুক্তরাজ্যে, মাদক গ্রহণ করা অবৈধ নয়, কিন্তু মাদক বহন করা অপরাধ।এর ফলে কিছু অনিচ্ছাকৃত ফলের সৃষ্টি হয় যেমন যারা বহন করে তারা আইনের হাত থেকে বাচার জন্য মাদক গিলে ফেলতে পারে কারণ মাদক গ্রহণ করা অবৈধ নয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
পতিতাবৃত্তি
বিশ্বব্যাপী পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ বা কঠিন ভাবে নিয়ন্ত্রিত। এটি কালো বাজারের একটি সুন্দর উদাহরণ, কারণ এটির ভোক্তা চাহিদা প্রচুর, অপেক্ষাকৃতভাবে পারিশ্রমিক বেশি, কিন্তু শ্রম-নির্ভর এবং নিম্ন-দক্ষতার কাজ, যার ফলে এটি অনেক শ্রমিককে আকর্ষণ করে। যদিও পতিতাবৃত্তি সব দেশেই আছে, গবেষণায় দেখা গেছে এটি গরীব দেশে বেশি বাড়ে, এবং বিশেষ করে যে এলাকায় অবিবাহিত বা একা পুরুষ বেশি থাকে, যেমন সশস্ত্র বাহিনীর ঘাঁটির আশেপাশে।[১৯] উদাহরণস্বরূপ, একটি প্রায়োগিক গবেষণায় দেখা গেছে যে ২০০৮ সালে ডেনভার ও মিনেয়াপলিশে পতিতাদের যোগান বেড়ে গিয়েছিল যখন সেখানে পর্যায়ক্রমে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[২০]
কালো বাজারে পতিতারা সাধারণত কিছুটা গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ করে থেকে, মাঝেমধ্যে দরদাম বা কার্যক্রম সাঙ্কেতিক শব্দ বা ইশারায় চালানো হয়। কিছু দেশে যেমন নেদারল্যান্ডসে , যেখানে পতিতাবৃত্তি বৈধ কিন্তু নিয়ন্ত্রিত, সস্তায় অবৈধ পতিতা পাওয়া যায় কারণ তারা আইনগত প্রয়োজনীয়তা বা পদ্ধতি যেমন- স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বাসস্থানের মান ও ইত্যাদি মেনে চলে না।
অন্যান্য দেশে যেমন নিকারাগুয়াতে, যেখানে আইনি পতিতাবৃত্তি নিয়ন্ত্রিত হয়, শিশু পতিতাবৃত্তি রদ বা ঠেকানোর জন্য হোটেলে উভয় পক্ষকে নিজেদের পরিচয় পেশ করতে হয়।
অস্ত্রশস্ত্র
অনেক দেশের সংসদ অস্ত্রের ব্যক্তিগত মালিকানা সীমিত বা নিষিদ্ধ করেছে। এই সীমাবদ্ধতা ছুট ছুরি থেকে শুরু করে আগ্নেয়াস্ত্র, হয় একসাথে বা শ্রেণিবিন্যাস দ্বারা (যেমন ক্যালিবার, হ্যান্ডগান, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ও ইত্যাদি), এবং বিস্ফোরক পর্যন্ত। কালো বাজার এইসব অস্ত্রের চাহিদা পূরণ করে যা আইনগত ভাবে কিনা যায় না, বা অনুমোদন ও ফি পরিশোধ করার পর আইনগত ভাবে কেনা যায়। অন্য কুনো দেশ থেকে,যেখানে অস্ত্র বৈধ, সস্তায় কিনে বা চুরি করে চোরাচালানের মাধ্যমে, অথবা ভিতরের লোক দ্বারা দেশের মধ্যে অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের থেকে চুরি করে এই চাহিদা পূরণ করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে যেখানে কালো বাজার অস্ত্র চোরাচালান করতে পারে না সেখানে অস্ত্র তৈরিকারক দ্বারা অস্ত্র তৈরি করে চাহিদা পূরণ করা হয়। যারা এই উপায় অস্ত্র কিনে থাকে তারা হল অপরাধীরা তাদের অপরাধমূলক কাজের জন্য, অস্ত্র সংগ্রহকারী, এবং অন্যথায় তাদের ঘর-বাড়ী, পরিবার বা ব্যবসা রক্ষা করার জন্য আইন মান্যকারি জনগণ।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে,যোগ্যতাসম্পন্ন অধিবাসীরা শিকারের জন্য ব্যবহৃত নির্দিষ্ট শ্রেণীর অস্ত্রের মালিক হতে পারেন কিন্তু তা অবশ্যই স্থানীয় পুলিশ বাহিনীর নিকট নিবন্ধন করতে হবে এবং বন্ধ আলমারির মধ্যে রাখতে হবে। জনসংখ্যার আরেকটি অংশ যারা কালোবাজারে অস্ত্র ক্রয় করে তারা হল যারা নিবন্ধনের জন্য আইনি প্রয়োজনীয়তা পাস করতে অক্ষম—উদাহরণস্বরূপ দোষী সাব্যস্ত অপরাধী বা মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন যারা। কিছু ক্ষেত্রে, সংগ্রাহকরা পুরনো বন্দুল আইনত নিজের কাছে রাখতে পারেন যে গুলো গুলি করার জন্য সহজেই ঠিক করা যাবে না।
অবৈধভাবে কাটা কাঠ
অবৈধভাবে কাটা কাঠ একটি বিশাল সমস্যা। ইন্টারপোলের মতে, কিছু দেশে অবৈধ কাঠের ব্যবসা মাদকের ব্যবসার মত বিশাল।[২১][২২]
প্রাণী ও পশুজাত পণ্য
অনেক উন্নয়নশীল দেশে, জীবন্ত প্রাণী বন্য ধরা এবং পোষ্য হিসাবে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও বন্য প্রাণী শিকার ও হত্যা করা হয় তাদের মাংস, চামড়া ও অঙ্গের জন্য যা এবং অন্যান্য পশু অংশ নিয়ে ঐতিহ্যগত ঔষধ তৈরি করারা জন্য বিক্রি করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছু রাজ্যের মধ্যে, দুধ পাস্তুরায়নের জন্য প্রয়োজন আইন কাঁচা দুধ বিক্রি ও পরিবহনের কালো বাজার সৃষ্টি করেছে।
মদ
রাম-রানিং বা বুটলেগিং হচ্ছে মদ বা মদ্যজাত পানীয়ের পরিবহনের (চোরাচালান) অবৈধ ব্যবসা যেখানে মদ পরিবহন আইনত নিষিদ্ধ। নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে কর বা আইনকে ফাঁকি দেবার জন্য এইসব চোরাচালান করা হয়। পানির উপর দিয়ে মদ চোরাচালানকে রাম-রানিং বলাহ হয়; স্থলের উপর দিয়ে চোরাচালানকে বুট-লেগিং বলা হয়। পিবিএস তথ্যচিত্র প্রহিবিশন এর মতে, বুট-লেগিং শব্দটি জনপ্রিয়তা পায় যখন হাজার হাজার শহর বাসিরা তাদের বুট পায়ে লুকানো ফ্লাস্কের দ্বারা শহর ও গ্রাম অঞ্চলে মদ বিক্রি করতো।[২৩] রাম-রানিং শব্দটির উতপত্তি হয় যুক্তরাষ্ট্রের মদ নিষিদ্ধকরণের সময়(১৯২০-১৯৩৩), যখন পশ্চিমা বাহামার বিমিণী থেকে জাহাজে করে ফ্লোরিডার অবৈধ মদের দোকান গুলতে সস্তা ক্যারিবিয়ান রাম পরিবহন করা হত। কিন্তু রামের সস্তা মূল্যের কারণে এটা রাম-রানার্স দের জন্য একটি কম মুনাফাময় ছিল, এবং খুব শীঘ্রই তারা নিউ ইয়র্ক সিটি এবং বস্টনের মত প্রধান শহরগুলিতে, যেখানে দাম চড়া,কানাডিয়ান হুইস্কি, ফরাসি শ্যাম্পেন, এবং ইংরেজি জিন পাচার করতে লাগলো। এটা বলা হয়ে থাকে যে কিছু জাহাজ একছুটের মধ্যে $২০০,০০০ নিষিদ্ধ বস্তু পরিবহন করতো।
তামাক
এটা প্রতিবেদন কর হয়েছে যে সল্প কররে এলাকা থেকে উচ্চ করের এলাকায় এক ট্রাক সিগারেট পাচার করলে $২ মিলিয়ন ডলার লাভ হয়।[২৪] সল্প কর এলাকা হচ্ছে সিগারেট উৎপাদনের প্রধান এলাকা এবং কর না বাড়ানোর দরুন তাদের অনেক সমালোচনা করা হয়।উত্তর ক্যারোলিনা অবশেষে ২০ সিগারেটের প্যাক প্রতি কর ৩৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫ করতে একমত হয়েছে যদিও তা জাতীয় গড়ের অনেক নিচে।[২৫] কিন্তু দক্ষিণ ক্যারোলিনা এই পর্যন্ত কর, ৭ পয়সা প্রতি প্যাক, বাড়াতে অস্বীকার করেছে যা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সর্বনিম্ন।[২৬]
যুক্তরাজ্যে এটি প্রতিবেদন করা হয়েছে যে, " ২৭% সিগারেট এবং৬৮% সিগারেট বানানোর রোল ও তামাক কালো বাজারে ক্রয় করা হয়"।[২৭]
মানব অঙ্গ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর মতে, মানব অঙ্গের অবৈধ বাণিজ্য ঘটে যখন তা বিক্রির উদ্দেশ্যে দেহ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। ডব্লিউএইচও একে এই বলে সমর্থন করে যে, “মানব অঙ্গের জন্য টাকা পয়সা.... সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে করা হয়, যা আসল অঙ্গ দানকে খাটো করে এবং মুনাফাখোরি ও মানব পাচারের জন্ম দেয়।” এই অধ্যাদেশ সত্ত্বেও, এটা অনুমান করা হয় যে সব অঙ্গ প্রতঙ্গ দানের ৫% বাণিজ্যিক ভাবে করা হয়। গবেষণা বলে যে অঙ্গ ব্যবসা দিন দিন বাড়ছে, গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির দ্বারা একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখান হয়েছে যে অবৈধ অঙ্গ বাণিজ্যে প্রতি বছর $৬০০ মিলিয়ন ডলার থেকে $১.২ বিলিয়ন ডলার লাভ হয় যা অনেক দেশে বিস্তিত।
জালিয়াতি
জালিয়াতি হচ্ছে এমন একটি সেবা যা প্রতারণার মাধ্যমে এমন একটি সমস্যার সমাধান করবে যার আসলে কুনো অস্তিত্ব নেই, বা যে সমস্যা শুরু করা হবে না, বা সেই জালিয়াতিটা না থাকলে সমস্যাটাই থাকবে না।এইরকম প্রতারণাকে জালিয়াতি বলে।[২৮] বিশেষ করে,যে চক্রটিই সমস্যা সমাধান করার কথা বলে তারাই সমস্যাটি সৃষ্টি করে থাকে,যদিও তা গোপন করে রাখে এবং পার্টির জন্য ক্রমাগত পৃষ্ঠপোষকতা তৈরি করতে থাকে। এর সুন্দর উদাহরণ হচ্ছে সুরক্ষা চক্র, যেখানে একজন ব্যক্তি বা দল (যেমন, একটি অপরাধমূলক গ্যাং) একটি দোকান মালিককে সম্ভাব্য ভাংচুরের হুমকি থেকে তার দোকানকে রক্ষা করারা কথা বলে থাকে, যে ভাংচুরের হুমকি একই বা অন্য দল দিয়ে থাকে, যেখানে হমকি ও সুরক্ষার মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক কম বা বেশি হতে পারে, যা চাদাবাজি থেকে এতাকে সম্পূর্ণ আলাদা করে। ধান্দাবাজিকে প্রায়ই সংগঠিত অপরাধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়, জুন ১৯২৭ সালে শিকাগো এমপ্লয়ার্স এসোসিয়েশন কর্তৃক টিমাষ্টার ইউনিয়নের উপর সংগঠিত অপরাধ চক্রের প্রভাব সম্পর্কে এক বিবৃতিতে রে্কেটিং শব্দটি প্রথন ব্যবহার করা হয়।[২৯]
পরিবহন প্রদানকারী
যেখানে ট্যাক্সিক্যাব, বাস ও অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থা সরকার কর্তৃক কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত বা একচেটিয়াকৃত করা হয়, বেশি দাম বা খারাপ সার্ভিসের জন্য কালো বাজারের সৃষ্টি হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কিছু বড় শহর গুলতে একটি বৃহৎ পদক সিস্টেমের মাধ্যমে নতুন ট্যাক্সিক্যাব বাজারে প্রবেশ সীমিত করা হয়— সেটা হচ্ছে, ট্যাক্সিক্যাবকে বিশেষ লাইসেন্স নিতে হয় এবং তা ট্যাক্সির সামনে পদকের মত পরিবেশিন করতে হয়। এর ফলে কারপুলিং/অবৈধ ট্যাক্সিক্যাব অপারেশন একটি বাজারের সৃষ্টি হয়,যদিও অনেকক্ষেত্রে এই পদক বিক্রি করা বেআইনি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]বাল্টিমোর, মেরিল্যান্ডে, শহর বাসিন্দাদের জন্য ধনাঢ্য ব্যক্তির দ্বারা অবৈধ ট্যাক্সিক্যাব সেবা প্রদান করা অস্বাভাবিক কিছু নয়।[১৭]
আবাসন ভাড়া
কিছু জায়গা যেখানে বাসা ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেখানে আবাসনের কালো বাজার সৃষ্টি হতে পারে। যেমন যুক্তরাজ্যে সামাজিক আবাসনের বাড়িগুলোর অবৈধ সাবলেটিং অবৈধ যেখানে ভাড়াটিয়ারা অবৈধভাবে একটি উচ্চ ভাড়ায় বাড়ি সাবলেট ভাড়া দেয়।[৩০]সুইডেনে, নিয়ন্ত্রিত ভাড়ায় বাড়ির চুক্তি কালোবাজারে কেনা যায়,[৩১] হয় বর্তমান ভাড়াটিয়া বা সরাসরি বাড়ির মালিকের কাছ থেকে। বিশেষজ্ঞ কালো বাজারিরা এইক্ষেত্রে বাড়ির মালিকদের সহয়তা করে।[৩২]ভারতে, কোটা, নতুন দিল্লীর মত জায়গায় যেখানে সারা ভারত থেকে ছাত্ররা আসে, কর ও নিয়ম ছাড়া কুনো পিজি (পরিশোধ অতিথি) বা অন্য কুনো প্রকারের আবাসন ব্যবস্থার জন্য উচ্চ ভাড়া দিতে হয়।
জাল ওষুধ, অত্যাবশ্যকীয় বিমান এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ
ওষুধ ও অত্যাবশ্যকীয় বিমান এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ (উদাঃ ব্রেক, মোটর গাড়ির যন্ত্রাংশ, ...) একটি বৃহৎ আকারে জাল বা কালো বাজারি করা হয়।
মেধাস্বত্ব থাকা মিডিয়া
কিছু দেশে বিশেষ করে এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার ফুটপাতের বিক্রেতারা, যেখানে মেধাস্বত্ব আইনের যথা সামান্য প্রয়োগ হয়, বিভিন্ন প্রকারের ছবি, গানের সিডি, সফ্টওয়্যার, ভিডিও গেমসের সিডির অবৈধ কপি সামান্ন দামে বিক্রি করে থাকে, এমনকি তাদের আনুষ্ঠানিক মুক্তির আগেই। মাত্র কয়েকশ ডলার খরচ করে একজন জালিয়াতকারী আসলের হুবহু ডিজিটাল নকল করতে পারে তাও মানের মধ্যে কোন ক্ষতির সম্মুখীন ছাড়া; ডিভিভি ও সিডিতে কুনো কিছি লিখার প্রযুক্তির উন্নতি এবং ইন্টারনেটে সরক্ষিত প্রজুক্তিযুক্ত বিভিন্ন বিষয়ের অবৈধ সুরক্ষা ভঙ্গিত কপির ব্যাপক প্রাপ্যতা একে সস্তা ও সহজ করেছে।
মেধাস্বত্ব-ধারক এবং অন্যান্য মেধাস্বত্ব আইনের প্রস্তাবকারীরা একে আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করতে বার্থ হয়েছেন, কারণ এদের কার্যক্রম সুপরিবেশিত এবং ব্যাপক,[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বিভিন্ন জাতীয় সীমানা ভং করে এবং যার ফলে আইন ব্যবস্থাকেও। যেহেতু মানের কুনো ক্ষতি ছাড়া ডিজিটাল তথ্যকে বার বার নকল করা যায়, এবং সামান্য থেকে কুনো খরচ ছারাই তা বৈদ্যুতিক উপায়ে পাথাও, মিডিয়ার কার্যত কালোবাজারি মূল্য হচ্ছে শূন্য, যা তাকে অন্যান্য কালোবাজারি কর্মকাণ্ড থেকে আলাদা করে। বিষয়টি সরকার ও সাধারণ জনগণের মেধাস্বত্ব আইনের প্রয়গের ব্যাপারে উদাসীনতার কারণে ব্যাপকতা লাভ করে। অনেকের চোখে গাড়ি চুরি করা অপরাধ, কিন্তু গান বা গেমসের অবৈধ কপি কিনা বা ডাউনলোড করা অপরাধ নয়।[৩৩] উপরন্তু, সব মানুষ 'কপিরাইট আইন' নিয়ে একমত না, এটি অন্যায়ভাবে প্রতিযোগিতাকে অপরাধমূলক করে থাকে, যা মেধাস্বত্ব-গ্রহীতাকে একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ তৈরি করে দেয়।এটি মেধাস্বত্ব-গ্রহীতাকে অঞ্চল-কোডিং ব্যবহার করে নির্বাচিত জনগোষ্ঠী বিরুদ্ধে দাম ও প্রাপ্যতা দ্বারা বৈষম্য করারও সুযোগ করে দেয়।
গাড়ি চুরি করার সাথে তুলনা, যদিও সাধারণ, কিন্তু সত্যিই তা অনুরূপ নয়। গাড়ি চুরির ফলাফল হচ্ছে সম্পতটি মালিকের হাতছাড়া হয়ে দ্বিতীয় জনের কাছে চলে যাওয়া।মিডিয়া চুরি হছে নকল করার অপরাধ, কুনো সম্পতি চুরি করা না। মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন আইন মিক্সটেপ বা অন্য কিছু টেপ বা সিডি তে কপি করার সময় থেকে শুরু। মেধাস্বত্ব-ধারকরা সাধারণত চুরি কে চুরির ফলে লাভ থেকে বঞ্ছিত হওয়াকে ধরে থাকে। যাইহোক, এই ধারণা অবান্তর এইভাবে যে যদি মিডিয়াটি ফাইল-শেয়ারিং বা অন্য অবৈধ উপায়ে না পাওয়া যেত তাহলে জালিয়াতকারিরা এটি কিনে নিত। মেধাস্বত্ব-ধারকরা বলে থাকেন এই মেধাস্বত্বের জন্য তারা কাজ করেছে এবং তার ফলে তাদের অর্থ পাওয়া উচিত। মেধাস্বত্ব ছাড়া অন্য কুনো মাধ্যম পাওয়া যায়নি যার দ্বারা শিল্পী বা অন্যান্য নির্মাতারা তাদের কাজেও জন্য পয়সা পেতে পারে [তথ্যসূত্র প্রয়োজন], এবং অনেক শিল্পীর বিপল্প কুনো আয়ের উৎস নেই। অনেক শিল্পী ও চলচ্চিত্র প্রযোজকরা মিডিয়া বিতরণে কালোবাজারিদের ভূমিকা গ্রহণ করেছেন।[৩৪] ফাইল শেয়ারিং এর মাধ্যমে তাদের কাজের আদান প্রদান অনেক শিল্পীদের জন্য প্রচারের একটি প্রধান উৎস এবং অনুরাগীদের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে যারা তাদের লাউভ পারফরমেন্স দেখতে পছন্দ করতে পারে[৩৫] (লাইভ পারফরমেন্স সফল শিল্পীদের আয়ের বড় অংশ যোগায়,[৩৬] তবে সব শিল্পীরা লাইভ পারফরমেন্স করতে পারেন না, উদাহরণস্বরূপ সাধারণত আলোকচিত্রীদের আয়ের শুধুমাত্র একটি একক উৎস আছে,তা হল তাদের ছবির লাইসেন্স বিক্রি করা)।
মুদ্রা
কালো বাজারে মুদ্রা লেনদেন করা হয়।এটি এক বা একাধিক কারণে হতে পারে:
সরকার অন্য মুদ্রার সাথে স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হার নির্দিষ্ট (স্থির রাখা) করে দেয় যা মুদ্রার আসল বাজার মূল্য প্রকাশ করে না।
সরকার কর্তৃক তার জনগণের নির্দিষ্ট পরিমানের বেশি বা কুনো বৈদেশিক মুদ্রা ধারণ করা নিষিদ্ধ করা।
স্থানীয় মুদ্রার সাথে অন্য মুদ্রার বিনিময়ের উপর সরকার কর্তৃক করারোপ করা, যা এক দিক বা উভয় দিকে হতে পারে (উদাঃ বিদেশীদের স্থানীয় মুদ্রা কিনার উপর করারোপ, বা স্থানীয়দের বৈদেশিক মুদ্রা কিনার উপর করারোপ করা)।
মুদ্রাটি যদি জাল হয়।
মুদ্রা অবৈধভাবে অর্জিত হয়েছে এবং তা বৈধ ভাবে ব্যবহার করার জন্য অর্থশোধন করা প্রয়োজন।[৩৭]
একটি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে অন্যান্য মুদ্রায়, সাধারণত মার্কিন ডলার, তার মুদ্রার বিনিময় হার ঠিক বা নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন। যখন এটি করা হয়, তখন তা স্থানীয় মুদ্রার মান অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় অতিমূল্য করা হয়, যা তার মাজার মূল্য প্রতিফল করে না যদি মুদ্রার বিনিময় হার ভাসমান বা বাজারের উপর নির্ভর করতো। যাদের কাছে এই ধরনের "কঠিন" মুদ্রা থাকে,দাহরণস্বরূপ প্রবাসী শ্রমিক, তারা কালো বাজারে ভালো বিনিময় হার পেয়ে থাকেন আনুষ্ঠানিক হারের তুলনায়।
আর্থিক অস্থিতিশীলতা ও মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতিতে, সাধারন জনগণ স্থানীয় মুদ্রার পরিবর্তে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করা শুরু করে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডলারকে একটি অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল ও নিরাপদ মুদ্রা হিসেবে দেখা হয় এবং প্রায়ই একটি দ্বিতীয় মুদ্রা হিসেবে বিদেশে ব্যবহার করা হয়। ২০১২ সালে, $৩৪০ বিলিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সকল মুদ্রার ৩৭%[৩৮], বিদেশে ব্যবহার করা হয় বলে ধারণা করা হয়।[৩৯] বিদেশে ধারণকৃত মুদ্রার পরিমাণ সম্পর্কিত সাম্প্রতিকতম গবেষণা বলে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার শুধুমাত্র ২৫ শতাংশ বর্তমানে বিদেশে রাখা আছে।[৪০] স্থানীয় মুদ্রার বদলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার ব্যাপক ব্যবহারকে কার্যত "ডলারাইজেশন" বলে, এবং কিছু পরিবর্তিত দেশে তা পর্যবেক্ষণ করা যায় যেমন কম্বোডিয়া[৪১] এবং কিছু লাতিন আমেরিকার দেশেগুলিতে।[৪২] কিছু দেশ যেমন ইকুয়েডর তাদের স্থানীয় মুদ্রা পরিত্যাগ করে মার্কিন দলায় ব্যবহার করে, মূলত এই কারণে, একটি প্রক্রিয়া যা বিধিসম্মত "ডলারাইজেশন" নামে পরিচিত. এছাড়াও ১৯৭০ থে ১৯৮০ এর দশকের মধ্যকার ঘানা সেডি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ্য।
স্থানীয় নাগরিক দের জন্য যদি বৈদেশিক মুদ্রা ধারণ কর কঠিন বা নিষিদ্ধ হয় তাহলে তা কিনার জন্য তারা একটি প্রিমিয়াম দিতে রাজি থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডলারকে মুলের একটি অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল ধারক হিসেবে দেখা হয় এবং যেহেতু এটি কুনো কাগুজে চিহ্ন রাখে না,অবৈধ লেনদেন এবং আয়েরও এটি একটি প্রধান মাধ্যম।[৪৩]
সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিপ্টোক্যারেন্সী বা ডিজিটাল মুদ্রা যেমন বিটকয়েন কালো বাজারি লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হয়।অনেকসময় আনুষ্ঠানিক মুদ্রার বদলে ক্রিপ্টোক্যারেন্সী ব্যবহার করা হয় এটির গুপ্ত সুবিধা এবং ইন্টারনেটে লেনদেন করার সুবিধার জন্য।[৪৪]
জ্বালানী
ইইউতে, একদেশে তেল কিনে অন্য দেশে বাক্তিগত বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা অবৈধ নয় কিন্তু অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে সর্বশেষ গ্রাহককে কিনার জায়গায় কর পরিশোধ করতে হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
কিছু দেশে অন্যান্য ক্ষেত্রের তুলনায় কৃষি ও গৃহস্থালি কাজে ডিজেলের ব্যবহারের উপর কম কর আরোপ করা হয়। এটা রঙ্গিন জ্বালানী হিসেবে পরিচিত, কারণ অন্য কুনো যানবাহনে ব্যবহার ঠেকানোর জন্য জ্বালানীতে রঙ মেশানো নয় (উদাঃ যুক্তরাজ্যে লাল রঙ, আয়ারল্যান্ডে সবুজ)। তবুও, যথেষ্ট লাভের কারণে কৃষি কাজের ডিজেলের কালো বাজার হয়। এই কারণে, যুক্তরাজ্যে ২০০৭ সালে £৩৫০ মিলিয়ন লাভ কম হয়েছে।[৪৬]
ভারত ও নেপালের মত দেশগুলোতে, তেলের দাম সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়, এবং নির্দিষ্ট দামের বেশি দামে তেল বিক্রি করা নিষিদ্ধ। নেপালে তেলের সঙ্কটের জন্য,তেলের কালো বাজার একটি সাধারন ঘটনায় পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে গন তেল সঙ্কটে। কিছু সময়ে, জনগণকে ঘণ্টা এমনকি রাত পর্যন্ত লাইনে দাড়াতে হয় তেলের জন্য। অন্যদিকে, অভিযোগ করা হয় যে পেট্রোল পাম্পের মালিকরা তেল মজুদ করে রাখে এবং তা কালো বাজারে বিক্রি করে। ২০১৫ সালে নেপালের উপর অর্থনৈতিক অবরোধের সময় যানবাহন ও রান্নার জ্বালানীর ব্যাপক কালো বাজারের সৃষ্টি হয়। অর্থনৈতিক অবরধ শিথিল ও পেট্রোল আমদানি শুরু করার পরেও, জনগণ তেল পাচ্ছিলো না যা তেদের পাওয়ার কথা ছিল এবং কালো বাজারে তেল কিনতে বাধ্য হয়।
সংগঠিত অপরাধ
কালো বাজারে নিযুক্ত লোকেরা সাধারণত কুনো বৈধ ব্যবসার আড়ালে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
অনেকসময়, কিছু প্রকারের অবৈধ জিনিশপত্র নিজেদের মধ্যে আদান প্রদান করা হয়,জায়গার উপর ভিত্তি করে।[৪৭]
কারণ
যুদ্ধ
যুদ্ধকালীন সময়ে অনেক দেশে কালো বাজার ব্যাপকতা লাভ করে। দেশসমুহ যারা পুরোপুরি যুদ্ধ বা অন্যান্য বৃহৎ আকারের বর্ধিত যুদ্ধে নিযুক্ত থাকে, যুদ্ধ প্রচেষ্টা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ জিনিশপত্রের উপর যেমন খাদ্য, জ্বালানী, মেটাল, রাবার ইত্যাদির উপর বিধিনিষেধ বিশেষ করে রেশনিং আরোপ করে। বেশিক্ষেত্রে, রেশনিং জিনিসপত্র বেশি দামে সরবরাহের কালো বাজার সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় রেশনিং এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ ব্যাপক কালো বাজারের সৃষ্টি করে।[৪৮] যুদ্ধকালীন রেশনিং এর সময় মাংসের একপ্রকারের কালোবাজারের উৎস ছিল কৃষক কর্তৃক খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট গৃহস্থালি পশুর আসল সংখ্যার চেয়ে কম সংখ্যক জন্ম ঘোষণা করা। ব্রিটেনে আরেকটি উৎস ছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরবরাহ, যা ব্রিটিশ ভূমিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যবাহিনীর জন্য ছিল, কিন্তু স্থানীয় ব্রিটিশ কালো বাজারে তা ছড়িয়ে পরে।
উদাহরণস্বরূপ,১৯৪৫ যুক্তরাজ্যের সংসদে[৪৯] সদস্যরা অভিযোগ করেন যে "পূর্ব অ্যাংগলিয়ার পুরো তিমির উৎপাদন কালো বাজারে চলে গেছে" and "[কালো বাজার] ঠেকানোর প্রচেষ্টা ছিল জুদ্ধজাহাজে ফুটো ঠিক করার মতো", এবং আনুষ্ঠানিক দাম এত কম ছিল যে উৎপাদকেরা তাদের উৎপাদন বেশি দামে কালো বাজারে বিক্রি করে দিত; এইরকম একতা পথ ছিল (ডিস, নরফোকের বাজারে কার্যক্রম চালাত) জনগণের নিকট জীবিত হাঁস-মুরগী বিক্রি করা, এবং প্রতিটি গ্রাহক একটি ফর্মে সাক্ষর করতো যে তারা পোষার জন্য কিনছেন, এবং তারপর বাসায় নিতেন খাবার জন্য।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়, সৈন্যরা দাসী সেবা ও যৌন আমোদপ্রমোদের মিলিটারী পেমেন্ট সার্টিফিকেট বায় করতো,এইভাবে তাদের যৌন সহযোগী এবং তাদের পরিবারের সমর্থন করতো। ভিয়েতনামী বেসামরিক জনগণ যদি কিছু কিনতে চাইতো যা পাওয়া কঠিন ছিল,তা তারা দ্বিগুণ দামে সৈন্যদের নিকট হতে কিনে নিত, যাদের মাসিক রেশন কার্ড ছিল ফলে সামরিক রেশন পেত। ঘাঁটিস্থ দাসীদের দ্বারা স্থানীয় জনসাধারণের সাথে এই লেনদেন হত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যদিও এই কার্যক্রম অবৈধ ছিল, শুধুমাত্র বড় মাপের কালো বাজারের বিরুদ্ধে মিলিটারিরা ব্যবস্থা নিত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
আইন এবং নিয়মকানুন
নতুন আইনের ফলে কালো বাজারের সৃষ্টির সুন্দর উদাহরণ হচ্ছে মদের নিষিদ্ধকরণ। একইভাবে যখন আইন বাতিল হয়,কালবাজারও অদৃশ্য হয়ে যায়,এই কারণেই গাঁজার কালো বাজার বাতল করার জন্য তা বৈধ করার যুক্তি দেয়া হয়, এবং ফলে এর থাকা পাওয়া কর অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।
দেশে দেশে কালো বাজার
ভারত
ভারতে, কালো বাজারে অর্জিত আয়কে কালো টাকা বলা হয়ে থাকে, যার উপর কুনো আয়কর ও অন্যান্য কর পরিশোধ করা হয় না। ভারতে কালো টাকার বাজার পরিস্থিতি মহামারী আকার ধারণ করেছে। ভারত বর্তমানে অবৈধ অর্থের জন্য সমগ্র বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে, হিসেব করা হয় অপ্রদরশিত আয় হিসেবে $ ১,৪৫৬ বিলিয়ন ডলার সুইস ব্যাংকে জমা রাখা আছে।[৫০] সুইস ব্যাংকিং এসোসিয়েশন কর্তৃক প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সম্মিলিত বাকি বিশ্বের চেয়ে বেশি কালো টাকা রয়েছে।[৫১][৫২][৫৩] ভারতীয় সুইস ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সম্পদ মূল্য তার দেশের জাতীয় ঋণের ১৩ গুন(১৩০০%) এবং যদি এই কালো টাকা উদ্ধার করা এবং দেশে ফিরে আনা হয় সম্ভব হয় তা হলে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দশে পরিণীত হবার সম্ভাবনা আছে।[৫৪] তবে ভারতীদের বিরুদ্ধে সুইস ব্যাংকে ট্রিলিয়ন ডলার কালো টাকা গচ্ছিত রাখার অভিযোগ বিতর্কিত। সুইস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন ও সুইজারল্যান্ড সরকারের পরবর্তী রিপোর্টে দাবী করে যে, এই অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট, আর ভারতীয়দের দ্বারা সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার পইমান $২ বিলিয়ন ডলার।[৫২][৫৫]
↑Feige, Edgar L. (২০১৬)। "The Meaning and Measurement of Unobserved Economies: What do we really know about the "Shadow Economy"?"। Journal of Tax Administration (30/1)।
↑Edgar L. Feige (১৯৮৯)। Edgar L.Feige, সম্পাদক। The Underground Economies:Tax Evasion and Information Distortion। Cambridge University Press।
↑Feige, Edgar L. (১৯৯০)। "Defining and Estimating Underground and Informal Economies: The New Institutional Economics Approach"। World Development (18/7)।
↑Feige, Edgar L. (২০১২)। pp. 239-263। "New Estimates of U.S. Currency Abroad, the Domestic Money Supply and the Unreported Economy"। Crime,Law and Social Change (57(3))।
↑Feige, Edgar L. (১৯৯০)। "Defining and Estimating Underground and Informal Economies: The New Institutional Economics Approach"। World Development (vol.18, No.7): 989–1002।
↑Feige, Edgar L. (২০১৬)। "The Meaning and Measurement of Unobserved Economies: What do we really know about the "Shadow Economy"?"। Journal of Tax Administration (30/1)।
↑"World Drug Report 2005"। United Nations Office on Drugs and Crime। ২০০৬-০৭-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-০৫।
↑Lena Edlund & Evelyn Korn (২০০২)। "A Theory of Prostitution"(পিডিএফ)। 110 (1)। Journal of Political Economy। ২০১৩-১০-০৫ তারিখে মূল(pdf) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-০৬।
↑David Witwer, "'The Most Racketeer-Ridden Union in America': The Problem of Corruption in the Teamsters Union During the 1930s", in Kreike, Emmanuel, Ed.; Jordan, William Chester, Ed. (২০০৪)। Corrupt histories। Rochester, New York: University of Rochester Press। আইএসবিএন1-58046-173-5।
↑Edgar L. Feige, "Dynamics of Currency Substitution, Asset Substitution and De facto Dollarisation and Euroisation in Transition Countries", Comparative Economic Studies, September, 2003, Vol. 45 #3 pp. 358–83.
↑Daily Telegraph Saturday 17 February 1945, reprinted on page 30 Daily Telegraph Tuesday 17 February 2015
↑V. Venkateswara Rao (আগস্ট ১৩, ২০১০)। "Black, bold and bountiful"। The Hindu Business Line। ২০১১-০৯-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-০৫।
↑ কখ"White Paper on Black Money"(পিডিএফ)। Ministry of Finance, Government of India। ২০১২। ২৯ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল(পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
Frey, B.S., and Schneider, F. (2015). Informal and Underground Economics. In: James D. Wright (ed.), International Encyclopedia of the Social and Behavioral Sciences, 2nd edition, Vol. 12. Oxford: Elsevier, pp. 50–55.
Feige, Edgar L. (2016) Reflections on the meaning and measurement of Unobserved Economies: What do we really know about the "Shadow Economy"? Journal of Tax Administration Vol 2, No. 1 [১]
Feige, Edgar L. (2016) Professor Schneider's Shadow Economy: What do we really Know? A Rejoinder, Journal of Tax Administration Vol 2 No. 2 Shadow Economy
[২] Reflections on the Meaning and Measurement of Unobserved Economies:What do we really know about the "Shadow Economy"? by Edgar L.Feige Journal of Tax Administration 2016 Vol. 2 No. 1
Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!