কাতার জাতীয় দিবস (আরবি: اليوم الوطني لقطر ; আল-ইয়াউম আল-ওয়াতানী লি-কাতার) ১৮৭৮ সালে কাতারের একীকরণের জাতীয় স্মৃতিচারন। এটি ১৮ ডিসেম্বর প্রতি বছর উদ্যাপন করা হয়। ২১শে জুন ২০০৭ তারিখে তখনকার ক্ষমতাসীন শাসক এবং উত্তরাধিকারী শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এর হুকুমে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। [১] এই দিনটি প্রতিষ্ঠাতা দিবস নামেও পরিচিত। [২]
রীতি
১৮ ডিসেম্বর প্রতি বছর এই ছুটির দিনটি পালন করা হয়। এটি একটি জাতীয় ছুটির দিন এবং জনসাধারণের অধিকাংশই এই দিনে স্কুল এবং কাজ থেকে বিরত থাকে।[৩] ২০০৭ সালের জুনে কাতারের আমীর কর্তৃক ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত ৩ সেপ্টেম্বরকে প্রতিবছর প্রতিপালন করা হতো কাতারের স্বাধীনতা দিবস হিসাবে। [৪]
ক্রিয়াকলাপ
বেশ কয়েকটি কার্যক্রম পালনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহটি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর মধ্যে প্রতিবছর বাধ্যতামূলক হিসেবে পালন করা হয় তা হল:- [৫]
আতশবাজি শো: সঙ্গীত, লাইট এবং আতশবাজি অন্তর্ভুক্ত।
কাটারা জাতীয় দিবস উদ্যাপন: আনন্দঘন ও ২০টিরও বেশি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান কাটারা কালচারাল ভিলেজ এ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় দিবসের প্যারেড: দোহা, কর্নিছ এলাকায় সাধারণ জনগণের উপস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়, সশস্ত্র বাহিনী, আইএসএফ এবং আমিরি গার্ডের কর্মকর্তারা প্যারেডে অংশ নিয়ে থাকেন। স্থায়ী ভাবে কর্নিছ এলাকায় একটি প্যারেড গ্রাউন্ড তৈরি করা হয় ২০১৮ সালে।
ক্লাসিক গাড়ী শো: পুরাতন গাড়ী যা কিনা পূর্বের সরকারী কর্মকর্তারা ব্যবহার করতেন, সেগুলো প্রদর্শন করা হয়।
এয়ার শো: জাতীয় প্যারেড শেষ হবার পরপরই (কিছু সময় বিরতি নিয়ে) শুরু হয় এয়ার মার্শালদের আকাশে বিভিন্ন নজর করা শো।
উদ্দেশ্য এবং তাৎপর্য
১৮৮২ সালের ১৮ই ডিসেম্বর জাসিম বিন মোহাম্মাদ আল থানি কাতারি উপদ্বীপের শাসক হিসাবে তার পিতা মোহাম্মদ বিন থানি'র পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি বাহ্যিক ফোর্স বাহিনীকে সরিয়ে দেন এবং সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে তাদের কার্যকলাপের বিরোধিতা করায় উক্ত উপদ্বীপের সাধারণ জনগণ তাকে একজন আদর্শ নেতা হিসাবেই মানেন। তিনি উপদ্বীপের একজন গৌরবোজ্জল স্বায়ত্তশাসকের উপাধি অর্জন করেছেন। [৪]
উক্ত ছুটির দিনটি স্থানীয় এবং বহিরাগতদের মধ্যে দিবসটির পরিচয়মুলক একটি জাতীয় বোধ চেতনার সৃষ্টি করে। [৬] এটা বহিরাগতদেরকে কাতার এর ঐতিহ্য জ্ঞান এবং উপলব্ধি উন্নত করতে সাহায্য করেছে।
[ কার দ্বারা?</span>
কাতারি তরুণদের সমালোচনা
২০০৯ সালে দেশে বসবাসকারী একজন বিদেশী অধ্যাপক কাতার লিভিং যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত দিবসটির প্রতিক্রিয়া করতে গিয়ে কাতারী যুবকদের সমালোচনা করেন। তিনি উক্ত ওয়েবসাইটে "শেইম অন কাতার অন কাতার ন্যাশনাল ডে" শিরোনামের স্টোরিতে কাতারি যুবকদের উদ্যতার সমালোচনা করেছিলেন, যারা নিয়মিতভাবে দুই চাকার যানবাহনের বেপরোয়া ড্রাইভিং করে এবং জাতীয় দিবস উদ্যাপনের সময় হতাশাজন ও বিদ্ঘুটে মাস্ক ব্যবহার করে। এর ফলে দেশটিতে সমালোচনাকারী জনসংখ্যার অধিকার নিয়ে জাতীয় সংলাপ শুরু হয়। বিতর্কটির জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শত শত লোক আকর্ষিত হয়ে অংশ গ্রহণ করে।[৭]
২০১৬ সালের সিরিয়ার আলেপ্পোয় গৃহযুদ্ধে শেষে কাতার সরকার এক ঘোষণার মাধ্যমে ডিসেম্বর ১৮ তারিখে সকল ধরনের অনুষ্ঠান বাতিল করে। এটি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে যুদ্ধাহতদের প্রতি সমর্থন জানাতে এ আদেশ জারী করা হয়।[৮]
চিত্রশালা
কাতার জাতীয় দিবস (২০১০) এর মধ্যে আতশবাজী উদ্যাপন