কাতার রাজ্য এবং তুরস্ক প্রজাতন্ত্র ১৯৭২ সালে থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছে। [১] ২০১০ সাল থেকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সহযোগিতা ও সংলাপ চলছে। বিশেষ করে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ এবং মিশরীয় সংকটে। [২] গাদ্দাফি-পরবর্তী লিবিয়ায় উভয় দেশ একই দলকে সমর্থন করে।[৩] অতিসম্প্রতি ২০১৭ সালে কাতারের কূটনৈতিক সংকটের সময় তুরস্ক কাতারকে কূটনৈতিক ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করে।[৪]
কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক দাবি করেন যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কগুলি বেশিরভাগই রাজনৈতিক এবং সামরিক সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য চুক্তির পরিমাণ খুবই কম।[৫] কাতার ও তুরস্ক শক্তিশালী সামরিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। উভয়ের মধ্যে বেশ কিছু সামরিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং তুরস্ক কাতারে সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১২ সালের মার্চ মাসে তুরস্ক কাতারকে তার প্রথম ড্রোন বিক্রি করে[৬] এবং ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে তুর্কি যানবাহন নির্মাতা কোম্পানি বিএমসি কাতারকে ১,৫০০টি অ্যামাজন সাঁজোয়া যান সরবরাহ করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। [৭]
কাতারে তুরস্কের একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে [৮] এবং ২০১৭ সালের জুনে তুর্কি সংসদ কাতারে তুর্কি সেনা মোতায়েন অনুমোদন করে এবং [৯] তুরস্ক শেষ পর্যন্ত কাতারের মাটিতে ৩,০০০ সেনা মোতায়েন করার পরিকল্পনা করে। [১০]
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের দ্রুত উন্নয়ন ঘটেছে। কাতার এলএনজি রপ্তানি করার জন্য তুরস্কের সাথে চুক্তি করেছে এবং বেশ কয়েকটি তুর্কি নির্মাণ কোম্পানি কাতারের সাথে চুক্তি করেছে এবং এর মধ্যে অনেকগুলি ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ প্রকল্পের সাথে জড়িত। [১১] ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ইরান হয়ে কাতার ও তুরস্কের মধ্যে একটি নতুন বাণিজ্য লাইন রুট ঘোষণা করা হয়েছিল এবং একই সময়ে তুরস্কের মেরসিন বন্দর এবং কাতারের হামাদ বন্দরের মধ্যে একটি শিপিং পরিষেবাও চালু করা হয়েছিল। [১২]
তথ্যসূত্র