এই নিবন্ধটি নেতিবাচক চরিত্রের ভারতীয় অভিনেত্রী সম্পর্কে। নায়িকা ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের জন্য
ঐশ্বর্যা রাই দেখুন।
ঐশ্বর্যা |
---|
জন্ম | শান্তা মীনা ভাস্কর (1971-04-07) ৭ এপ্রিল ১৯৭১ (বয়স ৫৩)
|
---|
পেশা | অভিনেত্রী |
---|
দাম্পত্য সঙ্গী | তানভীর (বি. ১৯৯৪; বিচ্ছেদ. ১৯৯৬) |
---|
সন্তান | আনইনা (জন্ম ১৯৯৫) |
---|
আত্মীয় | ওয়াই. ভি. রাও (মাতামহ) লক্ষ্মী (মাতা) ভাস্কর (পিতা) |
---|
ঐশ্বর্যা (জন্ম: ৭ এপ্রিল ১৯৭১) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, তিনি বেশ কয়েকটি মালয়ালম টেলিভিশন ধারাবাহিকের পাশাপাশি তামিল, মালয়ালম এবং তেলুগু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[১] তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী লক্ষ্মীর মেয়ে।[২] ২০১১ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (নেতিবাচক চরিত্র) বিভাগে এশিয়ানেট টেলিভিশন পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
কর্মজীবন
ঐশ্বর্যার প্রথম চলচ্চিত্র ওলিয়ামপুকাল মুক্তি পায় ১৯৯১ সালে, এরপরে মামাগারু (১৯৯১), রাসুকুট্টি (১৯৯২) এবং মীরা (১৯৯২) মুক্তি পায়। তিনি বাটারফ্লাই (১৯৯৩) এবং গারদিশ (১৯৯৩) ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন, এটি ছিল মালয়ালম ছবি কিরিদামের পুননির্মাণ। কর্মজীবনের শুরুর দিকে তিনি তিরুদা তিরুদা (১৯৯৩) ছবিতে মণি রত্নমের সাথে কাজ করার উল্লেখযোগ্য একটি সুযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।[৩]
১৯৯৪ সালে তার বিয়ের পরে ঐশ্বর্যা চলচ্চিত্র জগৎ ত্যাগ করেন এবং একটি পরিবার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়াকেই তিনি বেছে নেন। কিন্তু তারপরও তার বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং স্বামীর মাদকাসক্তির ফলে তিনিও মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন, যার ফলে ১৯৯৬ সালে তার বিবাহ বিচ্ছেদের পরে চলচ্চিত্র শিল্পে পুনরায় প্রবেশ করা তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার পরে, তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ১৯৯৭ সালে এনআইআইটির সাথে কাজ করার জন্য যোগ দিয়েছিলেন এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে তার কাজকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন।[৩] এরপরে তার বন্ধু অভিনেত্রী রেবতী তাকে রাজি করানোর পর তিনি সুরেশ চন্দ্র মেনন প্রযোজিত টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তার বিবাহ, সন্তানের জন্ম এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ফলস্বরূপ চলচ্চিত্র থেকে চার বছরের বিচ্ছিন্ন থাকার পরে ঐশ্বর্যা পার্থিবনের হাউসফুল (১৯৯৯) এ বোমা নিষ্পত্তি দলের দায়িত্বে থাকা একজন পরিদর্শকের চরিত্রে ফিরে আসেন।[৪] তিনি শতাব্দীর শুরুতে সয়ম্বরম (১৯৯৯), সত্যমেভা জয়তে (২০০০) এবং নরসিমহাম (২০০০) এর মতো চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় অব্যাহত রাখেন।[৩]
ব্যক্তিগত জীবন
মালয়ালি পিতা কে ভাস্করন এবং অর্ধ তামিল ও তেলুগু অভিনেত্রী লক্ষ্মীর ঘরে জন্ম নেন ঐশ্বর্যা, জন্মগ্রহণের সময় তার নাম ছিল শান্তা মীনা ভাস্কর, তার মায়ের তৃতীয় বিবাহের ফলে তার একজন সৎবোন ছিল। ১৯৯৪ সালে তিনি তানভীর আহমেদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ১৯৯৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এই দম্পতির অনাইনা নামে এক মেয়ে আছে, মেয়েটি ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করে।[৩][৫]
বহিঃসংযোগ
তথ্যসূত্র