“একটা ছিল সোনার কন্যা” ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি ছায়াছবি শ্রাবণ মেঘের দিন-এর একটি সঙ্গীত। লোকসঙ্গীত ধারার[১] এ গানের গীতিকার ছিলেন খ্যাতনামা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। মকসুদ জামিল মিন্টুর সুর ও সঙ্গীতায়োজনে এই গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সুবীর নন্দী।[২] গানটি ঐ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত জনপ্রিয় গান হিসেবে বিবেচিত।[৩] ঐ চলচ্চিত্রের অডিও এ্যালবামের অন্যান্য গানের সাথে সঙ্গীতা মিউজিক হতে প্রকাশিত হয়।[৪] চলচ্চিত্রে গানের দৃশ্যায়নে মাহফুজ আহমেদ ঠোঁট মিলিয়েছিলেন।[৫][৬] সঙ্গীতায়োজন ও কণ্ঠদানের জন্য মকসুদ জামিল মিন্টু ও সুবীর নন্দী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[৭]
পটভূমি
শ্রাবণ মেঘের দিনে-এর মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ, চলচ্চিত্রের গীতিকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন,[৮] তবে “একটা ছিল সোনার কন্যা” গানটি এই চলচ্চিত্রে ব্যবহারের জন্য রচনা করেননি।[৯] কাহিনীর সাথে সামঞ্জস্য থাকায় গানটি চলচ্চিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।[১০] হুমায়ূন আহমেদ এই গানে কণ্ঠ দেয়ার জন্য সুবীর নন্দীকে পূর্বে মনোনীত করে রেখেছিলেন। গান লেখার পর মকসুদ জামিলকে সুর করার জন্য গীত সরবরাহ করা হয়েছিল, মকসুদ জামিলের ভাষ্য অনুযায়ী তিনি এই গানের সুর করার কথা ভুলে গিয়েছিলেন।[৯]
ধারণ ও প্রকাশ
“একটা ছিল সোনার কন্যা” ১৯৯৮ সালে ঢাকার শান্তিনগরে সাসটেইন রেকর্ডিং স্টুডিওতে ধারণ করা হয়েছিল।[২] সাধারণত সঙ্গীত পরিচালকের সুরারোপের পর শিল্পীর কণ্ঠে গান ধারণ করা হয়। মকসুদ জামিল এই গানের কণ্ঠধারণের জন্য প্রাক-সঙ্গীতায়োজন করেননি। গীতির প্রতি ছত্রের সুরারোপ ও কণ্ঠধারণ একই সাথে করা হয়েছিল। প্রতি ছত্রে মকসুদের সুরারোপের পর সুবীর নন্দীর গলায় ধারণ ও রেকর্ড করা হয়েছিল।[৯]
গানটি শ্রাবণ মেঘের দিন চলচ্চিত্রের অডিও অ্যালবামের অংশ হিসেবে সঙ্গীতা মিউজিক হতে প্রকাশিত হয়েছিল। সঙ্গীতা মিউজিক গানটি ২০১৯ সালের ১১ মে ইউটিউবে একক সঙ্গীত হিসেবে অবমুক্ত করে।[৪] ইতোপূর্বে লেজার ভিশন ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর গানটির ভিডিও ইউটিউবে উন্মুক্ত করে।[১১]
অর্জন
“একটা ছিল সোনার কন্যা” ছিল সুরকার মকসুদ জামিল মিন্টু ও সুবীর নন্দীর প্রথম যৌথ কাজ।[৯] এই গানের জন্য মকসুদ জামিল ও সুবীর নন্দী ২৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে “সেরা সঙ্গীত পরিচালক” ও “সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী”-এর পুরস্কার পেয়েছিলেন।[২]
তথ্যসূত্র